হামাসপ্রধান সিনওয়ারকে হত্যা: যা বলল ইরান ও হিজবুল্লাহ

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পর ইরান জানিয়েছে, এতে প্রতিরোধ বাহিনীগুলোর চেতনা আরও শক্তিশালী হবে। অন্যদিকে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধকে নতুন ও গতিশীল ধাপে নিয়ে যাওয়া হবে। খবর রয়র্টাসের।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে। এরপর থেকেই অবরুদ্ধ গাজায় অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, মৃতদেহ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার করার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজও বলেছেন, সিনওয়ারকে হত্যা করা হয়েছে।
যদিও হামাসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। তবে সংগঠনটির সূত্রগুলো বলছে, যে সব ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সিনওয়ারকে হত্যা করেছে।
পশ্চিমা নেতারা বলেছেন, সিনওয়ার মৃত্যু সংঘাতের অবসানের একটি সুযোগ দিয়েছে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যে হামাস জঙ্গিদের দ্বারা আটক জিম্মিদের ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। বৃহস্পতিবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রেকর্ড করা এক ভিডিও বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, বুধবার রাফার একটি ভবনে হামাসের কয়েকজন যোদ্ধাকে প্রবেশ করতে দেখে ইসরায়েলি সেনারা। এর পর সেখানে হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। হামলার পর সেনারা সেখানে যাওয়ার পর সিনওয়ারের মতো দেখতে এক যোদ্ধাসহ মোট তিনজনের লাশ পায়। এর পর গতকাল নিশ্চিত হওয়া গেছে ওই লাশটি সিনওয়ারেরই ছিল।
হামাসের দুটি সূত্র সৌদির সংবাদমাধ্যম আশরাক আল-আসওয়াতকে সিনওয়ারের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো জানায়, গাজার ভেতর এবং বাইরে থাকা নেতাদের সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছেন, সিনওয়ারের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কয়েক দিন আগে সবার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সিনওয়ারের লাশের তিনটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যাচ্ছে, তিনি একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছেন। তাঁর মাথায় গভীর ক্ষত রয়েছে। ওই সময় সিনওয়ার নিরাপত্তা ভেস্ট এবং হাতে একটি ঘড়ি পরা ছিলেন। রাফার এই বাড়িতেই প্রবেশ করেছিলেন সিনওয়ার। বাড়িটির ধ্বংসস্তূপ থেকে তাঁর লাশ বের করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা।
বিবিসি ছবিগুলো যাচাই-বাছাই করে বলেছে, মরদেহটির চোখের ভ্রু, চোখের নিচের একটি দাগ এবং দাঁতের সঙ্গে সিনওয়ারের আগের ছবির সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। এর অর্থ, এটি সিনওয়ারেরই মরদেহ ছিল। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সিনওয়ারের মৃত্যুর তথ্য ঘোষণা করেছেন।
সিনওয়ার ১৯৬২ সালে গাজার খান ইউনিস শরণার্থী ক্যাম্পে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২২ বছর দখলদার ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন। ১৯৮৮ সালে দুই ইসরায়েলি সেনাকে জিম্মি এবং তাদের হত্যা করায় সিনওয়াকে আটক করা হয়েছিল। ২০১১ সালে বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি পান তিনি। ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি থাকার সময় হিব্রু ভাষা আয়ত্ত করেন সিনওয়ার।
২০১৭ সালে হামাসের গাজা শাখার প্রধান হন তিনি। গত জুলাইয়ে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া ইরানে গুপ্তহত্যার শিকার হলে তিনি সংগঠনের প্রধান নির্বাচিত হন। দখলদার ইসরায়েলে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যে ভয়াবহ হামলা চালায়, তার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে অভিহিত করা হয় সিনওয়ারকে।
T.A.S / T.A.S

প্রতিবেশী দেশগুলোতে কী ঘটছে দেখুন : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

এবার ফ্রান্সে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে তরুণদের সংঘর্ষ

ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে কাতারকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল : হোয়াইট হাউস

নেপালে অরাজকতা, দেশজুড়ে কারফিউ ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি

ইসরায়েলের হামলায় কাতারের কূটনীতি প্রতিহত হবে না : কাতারি প্রধানমন্ত্রী

কাতারে ইসরায়েলি হামলায় অসন্তুষ্ট ট্রাম্প

কাতারে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৬, হাইকমান্ড অক্ষত : ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী

অস্থিরতা না কমায় নেপালের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিলো সেনাবাহিনী

কাতারে ইসরায়েলের হামলা আমার সিদ্ধান্ত ছিল না: ট্রাম্প

কাতারে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৬, হাইকমান্ড অক্ষত : ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী

নেপালের পার্লামেন্টে আগুন ধরিয়ে দিলেন বিক্ষোভকারীরা

বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল: সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী ওলি
