ঐক্যমত্যেকে অনৈক্যের কমিশন বললেন জিএম কাদের

এনসিপি আইনি নোটিশ দিয়েছে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য। এ প্রসঙ্গে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় মহাজোটসঙ্গী জাতীয় পার্টির কাছে। তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) বলেছেন আমরা ১৪ দলের শরিক নয়। তবে আমরা মহাজোটে ছিলাম। তবে আমরা একটি আলাদা রাজনৈতিক দল, আমরা সব সময় নিজেদের দলের স্বকীয়তা বজায় রেখে রাজনীতি করেছি, নির্বাচন করেছি।
আমাদের দলীয় প্রতিক লাঙ্গল, এটা নিয়েই নির্বাচন করেছি। ১৪ দল আমাদের সঙ্গে ছিল। জোটগত ভাবে ছাড়াও আমরা এককভাবে নির্বাচন করেছি। ঐক্যমত্য কমিশন প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, প্রথম কথা হল উনারা ঐক্যমত্য কমিশন করছেন, সেখানে আমাদের বাদ দেয়া হয়েছে, এটা কোন ন্যয়নীতির মধ্যে পড়ে না, নিয়মের মধ্যে পড়ে না। আমরা একটি রাজনৈতিক দল, আমরা সব সময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম, এখনো আছি থাকবো। আমাদেরকে অফিসিয়ালি কোন জায়গায় বাতিল করা হয়নি। সব মিলিয়ে ওনারা ৫০শতাংশ মানুষ আলাপ আলোচনার বাইরে রেখেছে। এটা কোন ঐক্যমতের কমিশন হয়নি, এটা অনৈক্যর কমিশন হয়েছে। তারা কি করছে আমরা কিছুই জানিনা।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, যেসক কারণে আমাদের দোষী করা হচ্ছে তার সঙ্গে আমরা জড়িত না। হয়তো তাদের ধারণার ভুল আছে এজন্য তারা আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে। উনারা আমাদের দোষ দিচ্ছে। আর যারা এসব করছে তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে এখোনো কোন বৈধতাই পাইনি। এটা সরকার কিভাবে দেখছে সেটা তাদের বিষয় কিন্তু আইনি কাঠামোতে যদি যেতে হয় তাহলে সবকিছু আইনী ভাবেই দেখতে হবে। আমরা ১৯৯১ ও ৯৬ সালে এককভাবে নির্বাচন করছি। আমাদের নিজস্ব স্বকীয়তায় রাজনীতি করছি। ২০০৮ সালে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোটের নির্বাচন করছি। ২০১৪ সালে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি, আমি এবং এরশাদ সাহেব মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন চিঠি দিয়েছিলাম কিন্তু তা গ্রহণ করা হয়নি। তছাড়া ২৭০ জনের মতো মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন। নির্বাচনের পর মন্ত্রী করতে চেয়েছিল কিন্তু আমি হইনি। ২০১৮ সালে সবাই নির্বাচন করেছে। ২০২৪ সালে একটি বিশেষ কারণে আমাকে নির্বাচন করতে হয়েছে। পরবর্তীকালে সকল আন্দোলনে জনগণের সঙ্গে ছিলাম। যদি বলা হয় নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন তো কোন বেআইনী কিছু নয়। ২০১৪ সালে যদিও বিএনপি নির্বাচনে আসেনি, তারা সেই সময় সরকারকে অবৈধ সরকার বললেও তাদের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল।
সেই নির্বাচন কমিশনকে, সেই নির্বাচনকে, সবাই বৈধতা দিয়েছিল। ২০১৮ সালের সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। ২০২৪ এর কথা যদি বলা হয় তাহলে আমরা বিশেষ কারণে নির্বাচন করেছিলাম। আমরা আইন বিরুদ্ধ কোন কাজ করিনি। কোন আইন ভঙ্গ করছি তাও নয়। যদি বলা হয় যে জনগণের প্রত্যাশা ছিল আপনারা নির্বাচন করবেন না তাহলে এই বিচারের এখতিয়ার জনগণের আছে। জনগণ চেয়েছিল কিনা চেয়েছিল। কি প্রেক্ষিতে নির্বাচন করতে হয়েছিল সে বিচার জনগণ করবে। এটাকে নির্বাহী আদেশে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবে না। আর যদি অন্যায় ভাবে কিছু করা হয় তাহলে তার শাস্তি সময় মতো পাবে।
বিরাজনীতি করণ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, একটি দেশের ৫০ ভাগ মানুষের মতামতকে তারা বাদ দেয়ার বন্দোবস্ত করেছে। এগুলো কিছু সংকীর্ণ স্বার্থের দৃষ্টিতে করা হচ্ছে। এটা আমার ধারণা। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কাউকে রাখবো না খালি মাঠে গোল দেব। এ ধরনের মানসিকতা থেকে এ কাজগুলো আসে।
জুলাই আগস্ট প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, দল হিসাবে দলকে নিষিদ্ধ করা উচিত নয় এর পক্ষে আমি না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে যখন নিষিদ্ধের কথা আসলো তখন আমি এর বিরোধীতা করেছি। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ দোষী নাকি সেটার বিচার জনগণ করবে। এটা জনগন নির্ধারণ করবে। জনগণ যদি তাদের দোষী মনে করে তাহলে তাদেরকে ভোট দিবে না, কিন্তু নির্বাহী আদেশ দিয়ে এটা বন্ধ করা আমরা পছন্দ করি না। এতে একটা বড় ধরনের সমস্যা হয়, তা হলো যাদের সাংগঠনিক ভিত্তি আছে, জনসমর্থন আছে তাদেরকে যদি এভাবে নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে তারা আন্ডার গ্রাউন্ডে গিয়ে সরকার কে বিতিব্যস্ত রাখার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম করে। বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সৃষ্টি করে। স্বাভাবিকভাবে আমাদের দেশের মানুষ নরম মনের, কেউ যদি দেখে কোন মানুষ নির্যাতনের স্বীকার তখন তারা মজলুম পক্ষে দাঁড়ায়। তাদের প্রতি মানুষ সহানুভূতিশীল হয় এবং তাদের পক্ষে দাঁড়ায়। এজন্য আমি মনে করি স্বাভাবিক কায়ক্রমকে অস্বাভাবিক করার জন্য নির্বাহী পাওয়ার ব্যবহার করা উচিত না।
সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা কোন পরিবর্তন করতে পারবেন না। হয়তো ছোটখাটো কিছু করতে পারেন। সেগুলো যেহেতু জনগণের সমর্থন নেই, এগুলো করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত হবে, এ ব্যাপারে আমার সংশয় আছে।
সংস্কার কার্যকর হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, প্রশ্নই আসে না। এখানেও আমার সংশয় থেকে যায়। এই সংস্কারের সঙ্গে যেহেতু জনগণের বড় অংশ বাহিরে আছে এটা কিভাবে স্থায়ী হবে আমার জানা নাই। সংসদ নির্বাচন হওয়ার পরে এই সংস্কারের কিছু থাকবে বলে আমার মনে হয় না। যদি সকল দল মিলে নির্বাচন করতে পারে তাহলে হয়তো ভালো কিছু হবে, না হয় একতরফা নির্বাচনের পর ভালো ফল বয়ে আনবে না।
এমএসএম / এমএসএম

জামায়াত আমিরের হার্টের বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন, আইসিইউতে স্থানান্তর

আহসানুল্লাহ চৌধুরী হাসান একজন প্রকৃত রাজনীতিবিদের জীবনের গল্প

জামায়াত আমিরের হার্টের বাইপাস সার্জারি চলছে

জামায়াত আমিরের হার্টের বাইপাস সার্জারি চলছে

জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে দ্বিধা কাটিয়ে এক জায়গায় পৌঁছা যাবে

ফখরুলের বক্তব্য সত্য নয়, জাতীয় সরকারের প্রস্তাবে রাজি হননি তারেক

সাদিক কায়েম সমন্বয়ক ছিল না, ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় ব্যবহার করেছে : নাহিদ

ফখরুলের বক্তব্য সত্য নয়, জাতীয় সরকারের প্রস্তাবে রাজি হননি তারেক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ

জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি এনসিপি ও জামায়াতের

পদ্মা ব্যারেজ-দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন
