ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন গায়ক নোবেল

অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব শুনানি শেষে জামিনের এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২২ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার আইনজীবী মো.খলিলুর রহমান জামিনের আবেদন করেন। এদিন বিচারক নোবেলের উপস্থিতিতে জামিন শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। এদিন নোবেল ও ভিকটিমের উপস্থিতিতে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। নোবেল জামিন জামিন পেলে ভিকটিমের আপত্তি নেই বলে আদালতে জানান। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
জামিন আবেদনে বলা হয়, মামলার আসামি নোবেল গত ২০ মে হতে জেলহাজতে আটক আছেন। যেহেতু বাদিনী ও আসামির মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় বাদিনী মামলাটি দায়ের করেছেন। বাদিনী ও আসামির মধ্যে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি অঙ্গীকারনামা দ্বারা স্বীকার করেছেন। বাদিনীর জিম্মায় আসামি জামিন পাইলে বাদিনীর কোন আপত্তি নাই। আসামি জামিন পাওয়ার পর বিবাহ রেজিস্ট্রি করে নেবেন। এর আগে গক ১৮ জুন উভয়ের সম্মতি সাপেক্ষে তাদের বিয়ে সম্পাদন করে আদালতকে অবগত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় কারা কর্তৃপক্ষকে।
গত ১৯ মে রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে বাসাবাড়িতে আটকে রেখে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর ডেমরা থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগী ইডেন কলেজের ছাত্রীর সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ১২ নভেম্বর গায়ক নোবেল তার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ভুক্তভোগীকে ডেমরা থানাধীন তার বাসায় নিয়ে যায় আসামি নোবল। এরপর কয়েকজন আসামির সহায়তায় ওই ছাত্রীকে আটকে রাখে। এরপর ১২ নভেম্বর রাত অনুমান ৮টার সময় ভুক্তভোগীকে আটক করে রাখে এবং তার মোবাইল নিয়ে নেয়। বাদী তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য আসামিকে মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়ার জন্য বললে নোবেল ওই ছাত্রীর ফোন ভেঙে ফেলে। এরপর আসামি নোবেল তার ঘরে আটক রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। নোবেলের কথামতো বাসায় না থাকলে তার মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। তাই বাদী আসামির ভয়ে কাউকে কোনো কিছু বলার সাহস পাননি।
আরও জানা যায়, আসামি নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর থেকে গত ১৯ মে পর্যন্ত বাদীকে মারপিট করতো। আসামি তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরো ২ থেকে ৩ জনের সহায়তায় বাদীকে সিঁড়ি দিয়ে চুলের মুটি ধরে টানাহেঁচড়া করে অপর একটি কক্ষে আটক করে রাখে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বাদীর পিতা-মাতা বাদীকে চিনতে পারে। এরপর তার পরিবার পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে
গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই তরুণী।
এমএসএম / এমএসএম

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন গায়ক নোবেল

সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার

পুলিশকে মারধর করে পালালেন হত্যা মামলার আসামি

শেখ হাসিনাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি ট্রাইব্যুনালের

সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

বিস্ফোরক মামলায় বিএনপি নেতা এ্যানিসহ ৯ জনকে খালাস

গুমবিষয়ক একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করা হবে : আইন উপদেষ্টা

স্বামীসহ সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে: আইন উপদেষ্টা

শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা : ৪ আসামি ট্রাইব্যুনালে

রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা : ৪ আসামি ট্রাইব্যুনালে
