দেশের ৩ স্থলবন্দর বন্ধ ও একটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা

দেশের তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ ঘোষণা ও একটি বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ৪০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বন্ধ ঘোষণা হওয়া স্থলবন্দর তিনটি হচ্ছে, নীলফামারীর চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর এবং রাঙ্গামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর। অন্যদিকে, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২ মার্চ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিনটি অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন স্থলবন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ এবং একটি স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধের সুপারিশ করা হয়। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আটটি স্থলবন্দর কার্যকর বা অকার্যকরের বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত যাচাই কমিটি এ সুপারিশ করে।
কমিটি প্রতিবেদনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বাণিজ্য সম্ভাবনা বিবেচনায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ, রাঙ্গামাটির তেগামুখ স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালুর জন্য অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন নেই বলে সুপারিশ দেয়। এছাড়া হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের কেদারকোটে নির্মিত স্থলবন্দরের ভারতীয় অংশে কোনো অবকাঠামো ও সড়ক না থাকায় চালু করা সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে বাল্লা স্থলবন্দরের অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রাখা যেতে পারে বলে সুপারিশ করে। একই সঙ্গে কমিটি ময়মনসিংহের গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরের দুটি স্থানের পরিবর্তে একটি স্থানে কার্যক্রম চালু রাখার সুপারিশ করে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বিগত সরকারের আমলে নির্মিত দেশের অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন বিভিন্ন স্থলবন্দরগুলোর বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গত ৬ নভেম্বর ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দর, ময়মনসিংহের গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর, জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর, হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দর, বিরল স্থলবন্দর, নীলফামারীর চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর এবং রাঙ্গামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর কার্যকর বা অকার্যকর করার বিষয়ে এ কমিটি করা হয়।
কমিটি এ আটটি স্থলবন্দর সরেজমিন পরিদর্শন করে। সরেজমিন পরিদর্শন, প্রাপ্ত তথ্যাদি, আনুসঙ্গিক সুবিধা ও অসুবিধা, অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক কি না- এসব বিষয় পর্যালোচনা করে কমিটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে।
এমএসএম / এমএসএম

৬০ দিন আগে তফসিল, ভোট ছাড়া কিছু ভাবছি না: ইসি সচিব

নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় আছে র্যাব : মহাপরিচালক

রোডম্যাপ ঘোষণা: সংলাপ ও পোস্টাল ভোট নিয়ে ইসির যত পরিকল্পনা

বিশ্বের প্রথম এইডস টিকা তৈরি করছে রাশিয়া

দেশের ৩ স্থলবন্দর বন্ধ ও একটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

সেপ্টেম্বরে নতুন দলের নিবন্ধন, হবে সংলাপ

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে লতিফ সিদ্দিকী

সিইসি-মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক দুপুরে

দুপুরের মধ্যে ৬ জেলায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

৪ কারণে ভেঙেছিল চট্টগ্রামের সেই ব্রিজ, তদন্ত কমিটির ৪ সুপারিশ

কমিটি প্রত্যাখ্যান, ৫ দফা দিলেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা
