জেলহত্যা দিবসে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বুধবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ও সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ জাতীয় নেতাদের সমাধিতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন।
সংগঠনের সভাপতি জননেতা নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, ৩ নভেম্বর ইতিহাসের আরেক কলঙ্কময় দিন। যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে অন্যতমটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের এই দিনে। বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ জাতির চার মহান সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পরিচালক, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে খুনি মোশতাক ও জিয়া চক্র। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। জেলহত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে দণ্ড কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সরিবারে হত্যা করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ এই চার সহচরকে গ্রেফতার করে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করে খুনি মোশতাক ও জিয়া চক্র। পরবর্তী অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্যু-পাল্টা ক্যুর রক্তাক্ত অধ্যায়ে মানবতার শত্রু ও বঙ্গবন্ধুর খুনি চক্র ওই একই পরাজিত শক্তির দোসর বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য কারাগারে ঢুকে চার জাতীয় নেতাকে নির্মম-নৃশংসভাবে হত্যা করে। ’৭৫-এর পর থেকে বছরের পর বছর বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ও জেল হত্যাকান্ডের নেপথ্যের কুশীলব হিসেবে খুনি জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার প্রমাণ আত্মস্বীকৃত ঘাতকদের মুখ থেকেই বেরিয়ে এসেছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু ও ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতা হত্যা ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িত খুনি চক্র একই সূত্রে গাঁথা। খুনি চক্র এক ও অভিন্ন। মীরজাফর বিশ্বাসঘাতক খুনি মোশতাক জিয়া গং ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি চক্র একে অপরের পরিপূরক। পৃথিবীর ইতিহাসে জেলহত্যা বর্বোরচিত ঘৃণিত অধ্যায় হয়ে থাকবে। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, কামারুজ্জামানের আত্মার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি চক্র দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যে কোনো মূল্যে তাদের প্রতিহত করা হবে মর্মে ঘোষণা দেন। তিনি জেলহত্যা মামলার পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
এমএসএম / জামান
অনির্বাচিত সরকারের বন্দর বা এলডিসি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই
বিভক্তির কারণে সাংবাদিকরা নিজেরাই রাজনীতিকদের পকেটে ঢুকে যান
তরুণ থেকে বুড়ো, সবার ভিড় এনসিপির সাক্ষাৎকারে
নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখতে পাচ্ছি না : নাহিদ ইসলাম
ক্ষমতায় গেলে পিআর বাস্তবায়ন করবো : জামায়াত আমির
গণভোটের ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ মানুষ বুঝতে পারছে না : মির্জা ফখরুল
সেনানিবাসে খালেদা জিয়া, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত আলাপ
গণতন্ত্র বজায় রাখতে তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহালের রায় ইতিবাচক : রিজভী
একদিকে রায় অন্যদিকে মবক্রেসি, কীসের আলামত জানি না: মির্জা ফখরুল
কেউ ভোট হাইজ্যাক করতে চাইলে যুবক হয়ে বিস্ফোরিত হবো
ডিসি-এসপিদের লটারির মাধ্যমে বদলির দাবি জামায়াতের
হাসিনার বিচার স্বচ্ছ হয়েছে, প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই: জামায়াত
রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে : সালাহউদ্দিন আহমেদ
Link Copied