করোনা থেকে ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ
করোনা থেকে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা। যারা এই টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন তারা বর্তমানে প্রাণঘাতী এই রোগটি থেকে এই পরিমাণ সুরক্ষা ভোগ করছেন বলে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড অঞ্চলের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের হিসেব অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর থেকে দেশটিতে শুরু হওয়া গণটিকাদান কর্মসূচিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা ব্যবহারের ফলে অন্তত ১৩ হাজার সম্ভাব্য মৃত্যু প্রতিরোধ করা গেছে। মৃত্যুর মুখে থাকা এই ব্যক্তিদের সবারই বয়স ৬০ কিংবা তার উর্ধ্বে।
সম্ভাব্য মৃত্যু রুখে দেওয়ার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকেও বাঁচিয়ে দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ডোজ। পাবালিক হেলথ ইংল্যান্ডের হিসেব অনুযায়ী এই সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের এই হিসেব সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এক বিবৃতিতে দেশের জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘নতুন এই তথ্যগুলো আমাদের স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে যে এই টিকার ডোজ করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কতটা কমিয়ে দিয়েছে।’
Google News
গুগল নিউজ-এ ঢাকা পোস্টের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।
‘বর্তমানে বিশ্বে করোনাভাইরাসের কয়েকটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। এই মূহুর্তে আমাদের এবং বিশ্ববাসীর জন্য সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো করোনা টিকার ডোজ নেওয়া।’
ইউরোপের যে কয়েকটি দেশে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাজ্য। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণানালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪৪ রাখ ৫৫ হাজার ২২১ জন এবং মারা গেছেন মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৭০১ জন।
অবশ্য গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া গণটিকাদান কর্মসূচিতে ব্যাপক জোর দেওয়ায় বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের হার। দেশটির টিকাদান কর্মসূচি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ করোনা টিকার দুই ডোজই নিয়েছেন। এছাড়া দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রহণ করেছেন টিকার প্রথম ডোজ।
দেশটির জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে আগামী আগস্টের মধ্যেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে যুক্তরাজ্যের জনগণ।
সূত্র: ব্লুমবার্গ
রিয়াদ / রিয়াদ