ঢাকা বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫

আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের অংশগ্রহণ


আলী আবির photo আলী আবির
প্রকাশিত: ১৯-১২-২০২১ দুপুর ১২:১০

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের অংশগ্রহণ 

শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন দলের উপদেষ্টাপরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর)২০২১ তারিখ দুপুর বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি জননেতা নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক জননেতা আফজালুর রহমান বাবু'র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী দুপুর ২টায় শিল্পকলা একাডেমির মেইন গেট সংলগ্ন দূদক কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। বিজয় শোভাযাত্রা বিকাল সাড়ে ৫ টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সুসজ্জিত ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। বিজয় শোভাযাত্রায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের হাজার অসংখ্য নেতাকর্মী-সমর্থক অংশ নেন।

শোভাযাত্রা সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে এই দেশের স্বাধীনতাকে নসাৎ করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। দীর্ঘ সংগ্রামের পথপরিক্রমার মধ্য দিয়ে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করতে পারছি। তিনি বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে, অপূর্ণ সেই স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের ২৩ বছরে সাড়ে ১৩ বছর কারা নির্যাতন ভোগ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। দুই দুই বার ফাঁসির মঞ্চের আসামি হয়ে বাংলার মানুষের জীবনের জয়গান গেয়ে বাংলার মুক্তিপাগল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তি এনেছিলেন তিনি। তাঁরই আহ্বান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’-এ সাড়া দিয়ে ৩০ লাখ লোক আত্মাহুতি দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছে।”

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার উষালগ্নে বঙ্গবন্ধু যখন এই দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই মুহূর্তে তাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে নব্য পাকিস্তান সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এই দেশে দল ভাঙার রাজনীতি জিয়াউর রহমান শুরু করে। জিয়া এই দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হত্যা করে, দেশীয় চার মূলনীতি হত্যা করে। সেই মুহূর্তে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দেশে এসে হাল ধরেন। তার নেতৃত্বে আমরা যখন বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করছি, বারবার তার প্রাণনাশ করার চেষ্টা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতোই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে শেখ হাসিনা এগিয়ে গিয়েছেন। মহান রাব্বুলামিন তাকে বারবার রক্ষা করেছে। ১৯ বার মৃত্যুর মুখে পড়ে শেখ হাসিনা আজ জীবিত আছেন বলেই বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত কাজ, বাঙালিকে পৃথিবীর বুকে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করিয়েছেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধশালী জাতি হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করবে।’
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন। তার এই অগ্রযাত্রার মধ্য দিয়ে, এই রাষ্ট্রনায়কোচিত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তিনি পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। সেটা বাঙালি জাতির জন্য একটি গর্বের ব্যাপার।’

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। এখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির মাধ্যমে বাঙালির ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা চলছে। এখনো গণতন্ত্রের নামে অগণতান্ত্রিক শক্তি গণতন্ত্রকে নসাৎ করবার চেষ্টা করছে। আজকের দিনে সবাইকে নতুন করে শপথ নিতে হবে, সমস্ত অপশক্তির মোকাবিলা আমরা করব।’

শোভাযাত্রার উদ্বোধক আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডঃ জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দিপু মনি, হাছান মাহমুদ, কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস।

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী,ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। 

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে আয়োজিত এ শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও বিজয়ের আমেজে অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রায় নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, জাতীয় পতাকা নিয়ে ও ঢাকঢোল বাজিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে অংশ নেয়।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জননেতা নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ। তিনি বলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসাবে পাশে আছে এবং থাকবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আলোকোজ্জ্বল সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।

সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে  উন্নীত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে স্বেচ্ছাসেবক লীগ যেকোন ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি চক্রকে রুখে দিতে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের প্রতি আহবান জানান তিনি।

এমএসএম / এমএসএম

সুষ্ঠু-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন: আমীর খসরু

সামনে মহাপরীক্ষা, কোনো ষড়যন্ত্র যেন সফল না হয়: ফখরুল

দুই আঞ্চলিক শক্তি, এক বিশ্বমোড়ল দেশে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে: সালাহউদ্দিন

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে জাতিসংঘের সহায়তা চায় জামায়াত

অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি দৃঢ় থাকবে, ততই সন্দেহ চলে যাবে : তারেক রহমান

ইনশআল্লাহ দ্রুতই দেশে ফিরে আসব : তারেক রহমান

রাষ্ট্র কোনো ছেলে খেলা নয় : সালাহউদ্দিন

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা জনগণের কাছে ধরা পড়বে : রিজভী

সাংবাদিকদের লাঞ্ছিতের অভিযোগ, এনসিপির সংবাদ সম্মেলন বয়কট

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র তীব্রভাবে ক্রিয়াশীল হচ্ছে : রিজভী

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আর কোনও সংশয় নেই

নিবন্ধন পেল লেবার পার্টি, প্রতীক আনারস

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আরেকটি ফ্যাসিস্ট সরকার তৈরি হতে পারে