বছরে ১০০ কোটি টিকা তৈরি করবে ভারত বায়োটেক
করোনাভাইরাসের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে ভারতের দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। উদ্ভূত এমন পরিস্থিতিতে ‘কোভ্যাক্সিনের’ সরবরাহ বাড়াতে উদ্যোগ নিল ভারত বায়োটেক। গুজরাট রাজ্যের অঙ্কলেশ্বরে অবস্থিত অঙ্গপ্রতিষ্ঠান চাইরন বেহরিং টিকা উৎপাদন করা হবে কোভ্যাক্সিনের।
দেশে টিকাদান প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ভারত বায়োটেক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বছরে ১ বিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করার লক্ষ্য তাদের।
দেশে টিকাদান প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোভ্যাক্সিনের উদ্ভাবক ভারত বায়োটেক। এছাড়া সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বছরে এক বিলিয়ন অর্থাৎ একশ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করার লক্ষ্য তাদের।
ভারত বায়োটেকের সব ‘জিএমপি’ কারখানাতেই কোভ্যাক্সিন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আর চাইরন বেহরিংয়ের মতো কারখানাগুলোতে বছরে ২০০ মিলিয়ন অর্থাৎ বিশ কোটি ডোজ কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন করবে ভারত বায়োটেক।২০২১ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে অঙ্কলেশ্বরে উৎপাদন শুরু হবে কোভ্যাক্সিনের। সার্বিকভাবে বছরে ১০০ কোটি কোভ্যাক্সিনের ডোজ তৈরি করার উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে ভারত বায়োটেক।
ভেরো সেল প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়া এই টিকাটি জিএমপি এবং বায়োসেফটি মান বজায় রেখে উৎপাদন করা হবে এসব ফেসিলিটিতে।
ইতোমধ্যে ভারত বায়োটেক বিভিন্ন ‘প্রোডাকশন লাইনকে’ এই টিকার উৎপাদনের জন্য কাজে লাগিয়েছে। হায়দরাবাদ এবং বেঙ্গালুরুর প্রোডাকশন লাইনে এ পর্যন্ত উৎপাদন হচ্ছে কোভ্যাক্সিনের। এবার গুজরাটের অঙ্কলেশ্বরের চাইরন বেহরিংয়ে তৈরি হবে কোভ্যাক্সিন।
এদিকে গত ৭ দিন ধরে ভারতে টিকা দেওয়ার গড় হার নিম্নমুখী। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যে গড় টিকাদান কমে যাওয়াটা খুব চিন্তার বিষয় অভিহিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, গতকাল বৃহস্পতিবার মাত্র ১১ লাখ ৬৬ হাজার জন টিকা নিয়েছেন।
রিয়াদ / রিয়াদ