মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখা নিয়ে হাইকোর্টের রুল
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, আইজি প্রিজন্স, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন আসামির পক্ষে করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারির এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। গত ১৮ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৪ সেপ্টেম্বর রিট আবেদনটি করা হয়।
তিন রিট আবেদনকারী হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারির আদেশ দেয়া হয় আজ (মঙ্গলবার)।
বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তাদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন) হাইকোর্টে বিচারাধীন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শিশির মনির।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এই রুল চেয়েছেন রিট আবেদনকারীরা। আদালত এ রুল জরি করলে তা নিষ্পত্তির আগ অবধি আবেদনকারীদের কনডেম সেল থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় স্থানান্তরের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে অবেদনে। এছাড়া দেশের সব কারাগারে কনডেম সেলের আসামিদের বন্দি রাখার ব্যবস্থাপনা (সুযোগ, সুবিধা) নিয়ে প্রতিবেদন দিতে কারা মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, আইজি প্রিজন্স, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারকে বিবাদী করা হয়েছে আবেদনে।
রিট আবেদনে যুক্ত করা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, চলতি বছর হাইকোর্টে ২০১৫-১৬ সালের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি চলছে। সে হিসেবে এ বছরের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত।
গত বছরের হিসাব অনুযায়ী, হাইকোর্টে ৭৭৫টি ডেথ রেফারেন্স বিচারাধীন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়। তাছাড়া মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়েরের বিধান রয়েছে। আবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে (আপিল বিভাগে) আপিল করার সুযোগ রয়েছে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনার) আবেদনের সুযোগও রয়েছে। আবার রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করতেও পারেন আসামি। রাষ্ট্রপতি ওই ক্ষমার আবেদন গ্রহণ না করলে তবেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর আইনগত বৈধতা পায়।
আইনজীবী শিশির মনির আরো বলেন, কিন্তু দেশের বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেম সেলে বন্দি রাখা হচ্ছে। দেশে এখন ২ হাজার ৫ জন ফাঁসির আসামি কারাগারগুলোতে কনডেম সেলে রয়েছে বলে রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘সুনীল বাত্রা বনাম দিল্লি প্রশাসন (১৯৮০)’ মামলায় ভারতের সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে এ আইনজীবী বলেন, কখন একজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি করা হবে? বিচারিক আদালত সাজা ঘোষণার পর নাকি রাষ্ট্রপতি ক্ষমার আবেদন গ্রহণ না করার পর? ভারতের সুপ্রিমকোর্ট ওই মামলার রায়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, রাষ্ট্রপতি ক্ষমার আবেদন গ্রহণ না করার পর দণ্ডিত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বলা হবে। অর্থাৎ সব ধরনের আইনগত অধিকার সম্পন্ন হওয়ার পরই কেবল কোনো ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বলা যাবে এবং তাকে কনডেম সেলে রাখা যাবে।
জামান / জামান
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : পরিবারসহ হাসিনার মামলার রায় ১ ডিসেম্বর
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টের রায় ৪ ডিসেম্বর
শুধু আ.লীগ করার কারণে যেন বিচার না হয় : ট্রাইব্যুনালকে আমির হোসেন
২৭ নভেম্বর ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের রায় ২৭ নভেম্বর
গুমের মামলায় শেখ হাসিনার হয়ে লড়বেন জেডআই খান পান্না
মানবতাবিরোধী অপরাধ : ট্রাইব্যুনালে ১৩ সেনা কর্মকর্তা
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে : আইন উপদেষ্টা
সাকিব আল হাসানকে দুদকে তলব
মেজর সিনহা হত্যা : ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ
রাজসাক্ষী আবজালুলের জেরা ঘিরে ট্রাইব্যুনালে হট্টগোল
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল