পুরনো আইনগুলো সময়োপযোগী করছে সরকার : আইনমন্ত্রী

সময়ের পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের ধরন বদলে যাচ্ছে। এসবকে এড্রেস করার জন্য সরকার নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করছে, পুরাতন আইনগুলো সংশোধন করে সময়োপযোগী করছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ডেস্কবুকের খসড়া উপস্থাপন বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্মশালাটির আয়োজন করে।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় তৈরি করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি নির্মাণ করেছে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন বাংলাদেশের মূল সংবিধানসহ তার আমলে প্রণীত আইনসমূহের সাথে ঐতিহাসিকভাবে সম্পৃক্ত। বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে না থাকলেও সামাজিক শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তার দর্শনের আলোকে আইন প্রণয়ন করা রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম স্লোগান হচ্ছে, ‘আইনের মাধ্যমে উন্নয়ন, জনগণের ক্ষমতায়ন’। সরকারের এ স্লোগানকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলার লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয় দ্রুত মানসম্পন্ন ও সময়োপযোগী আইন প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
আনিসুল হক বলেন, সময় প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা, আচার- আচরণ, দাবি-দাওয়া সহ সকল বিষয়ে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে, বিনিয়োগ পরিবেশ পরিবর্তন হচ্ছে, নতুন শিল্প বিপ্লব ঘটছে, কানেকটিভিটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরাধের ধরন বদলে যাচ্ছে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। বিশ্বায়ন হচ্ছে। এসবকে এড্রেস করার জন্য সরকার নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করছে, পুরাতন আইনগুলো সংশোধন করে সময় উপযোগী করছে। সময়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার করোনার প্যান্ডেমিক পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করার জন্য আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ সহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, আইনের খসড়া প্রস্তুত ও ভেটিংয়ের কাজ সহজ বিষয় নয়। এ ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের নীতি ও কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। আইনের প্রত্যেকটি শব্দের অর্থ এবং গুরুত্ব আছে। তাই আইনের বাক্যে শব্দ ব্যবহার করার ব্যাপারে পদ্ধতিগত অভিজ্ঞতা এবং অনুশীলনের প্রয়োজন। লেজিসলেটিভ ভাষা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চর্চা, বিভিন্ন লিগ্যাল সিস্টেম যেমন- কমন ল, সিভিল ল, সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও ইসলামিক লিগ্যাল সিস্টেম সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং টেকনিক, টুলস্, লেজিসলেটিভ ব্যাখ্যা, চুক্তি সম্পাদন পদ্ধতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হয়। এ ধারণা যতবেশি গভীর ও বিস্তৃত হয় আইনের গুণগত মান ও গ্রহণযোগ্যতা তত ভালো হয়। তাই উল্লিখিত নীতি, কর্মপদ্ধতি, চুক্তি সম্পাদন পদ্ধতি ইত্যাদি সুলিখিত ও সুবিন্যস্ত আকারে হাতের কাছে থাকা প্রয়োজন। থাকলে আইনের খসড়া প্রস্তুত ও ভেটিং কার্য দ্রুত ও দক্ষতার সাথে করা যায়।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব ও প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বক্তব্য দেন। কর্মশালায় লেজিসলেটিভ ডেস্কবুকের খসড়া উপস্থাপন করেন ডেস্কবুকের খসড়া প্রস্তুতকারী টিমের টিম লিডার এ.কে. মোহাম্মদ হোসেন।
প্রীতি / প্রীতি

জাতীয় নির্বাচনকে ডাকসুর সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যাবে না

ডাকসুর মধ্য দিয়ে নির্বাচনের ট্রেনে উঠলো বাংলাদেশ

ডাকসু নির্বাচন গণতন্ত্র অভিমুখী বিশাল পদযাত্রা : আসিফ নজরুল

সারাদেশে ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ, বসানো যাবে না মদ-গাঁজার আসর

রাজধানীতে ‘মঞ্চ ৭১’ ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সাবেক সচিবসহ গ্রেপ্তার ৬

৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম অনুভূত হচ্ছে ৪১ ডিগ্রির

ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে: ইসি আনোয়ারুল ইসলাম

জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করুন, পুলিশকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিগগির ১৫০ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে মিড ডে মিল

ঢাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, স্বস্তি মিলতে পারে গরম থেকে

মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে

বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো লতিফ সিদ্দিকীর ভাইকে
