গণপরিবহন না থাকায় হেঁটেই গন্তব্যে ছুটছে মানুষ
দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে দিন শুরু হয়েছে রাজধানীতে কর্মস্থলে যাওয়া নাগরিকদের। করোনার সংক্রমণ বাড়ায় সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। তাই বাসার বাইরে বের হয়ে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য রিকশা ছাড়া ভরসা একমাত্র পায়ে হাঁটা। বাধ্য হয়ে সোমবার সকাল থেকে তেমনটাই করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এর বাইরেও যে যেভাবে পারছেন কেউ পিকআপে, কেউবা ভ্যানে চেপে বসে ছুটেছেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে।
কর্মজীবী মানুষরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের আনা নেয়া করতে সরকারি নির্দেশনা দেয়া হলেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই তা করেনি। অন্যদিকে শুধুমাত্র রিকশা চলার সুযোগ থাকায় চালকরা হাঁকাচ্ছেন বাড়তি ভাড়া। ফলে গন্তব্যে পৌঁছাতে সবাইকে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। অনেক জায়গায় চালকদের সঙ্গে যাত্রীদের বাকবিতণ্ডায় জড়াতেও দেখা গেছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই ২২ জুন থেকে ঢাকার আশপাশের সাতটি জেলায় বিশেষ লকডাউন শুরু হয়। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে অনেক জেলায় লকডাউন চলছে। এরইমধ্যে রবিবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে- যেখানে আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কিছু শর্তাবলী সংযুক্ত করে ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এতে যেসব শর্ত আছে তা হলো- ১. সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ২. সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। ৩. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেক ওয়ে) করতে পারবে। ৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে। ৫. জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কর্মজীবী মানুষ বলছেন, গণপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ থাকলেও অফিস খোলা আছে। তাই চাকরি বাঁচাতে বাধ্য হয়ে দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে ঘরে থেকে বেরিয়েছেন তারা।
সাজ্জাদ নামে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী শ্যামলী থেকে মতিঝিলের অফিসে আসতে দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে বলেন, 'এভাবে চলতে পারে না। অফিস খোলা রেখে পরিবহন বন্ধ করে দিলেন মানুষগুলো আসা-যাওয়া করবে কিভাবে? কিছু পথ হেঁটে, অনেকটা রিকশায় এভাবে করে কয়েকগুণ বেশি টাকা খরচ করে মতিঝিল আসতে হলো। এই খরচটা কে দেবে? '
পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০ টাকায় রিকশা চলাচল করলেও সোমবার ১০০ টাকার নিচে কোনো চালকই প্যাডল ঘুরাতে রাজি হননি। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা করতেও দেখা গেছে।
প্রীতি / প্রীতি
আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত’ : প্রধান উপদেষ্টা
শাহবাগে যানচলাচল বন্ধ, ডাইভারশনে ধীরগতিতে চলছে গাড়ি
জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর করতে বিজিবিকে প্রস্তুতির নির্দেশ
কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজি বিরোধী মানববন্ধনে হামলা
নির্বাচনকে টার্গেট করে অবৈধ অস্ত্র ঢুকছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন
আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাদি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে
এবার ভারতে সংখ্যালঘু হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ জানাল বাংলাদেশ
নির্বাচনকে সামনে রেখে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
ফয়সাল দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, স্বীকার করলো পুলিশ
শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী
ফের শাহবাগ অবরোধ ইনকিলাব মঞ্চের