চট্টগ্রামে একদিকে পাহাড়ে উচ্ছেদ অন্যদিকে ওয়াসার সংযোগ!
চট্টগ্রমে পাহাড় কাটার মহোৎসব ঠেকাতে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও জেলা প্রশাসন যখন কঠোর অবস্থানে গিয়ে একের পর এক অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করছে, এই সময়ে পাহাড়খেকোদের ওয়সার সংযোগ দিয়ে নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওযাসার দায়িত্বরত কর্মকর্তারাও বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন লালখান বাজারের সাবেক কাউন্সিলর এএফআই কবির আহমেদ মানিকের যোগসাজসে তাঁর প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমে ওয়াসার সংযোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এমন নির্দেশ দেওয়া আইনসম্মত কিনা জানতে চাইলে বলেন আইনসম্মত নয়, তা তিনি করতে পারেননা তবু অন্যায়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে মতিঝর্ণা এলাকায় পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের অনেকগুলো ওয়াসার সংযোগ দিয়েছেন, এর ফলে তারা আরো পাহাড় কাটা বা দখল করায় উৎসাহিত হয়েছে এটা পরিবেশ ধ্বংসে সহায়তা করার সামিল।
জানা গেছে নগরীর মতিঝর্ণা এলাকার ৭নং গলিতে সরকারি পাহাড় কাটার অপরাধে চট্টগ্রাম মহানগর পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ২০২০ সালে জরিমানা করা হয় আবু তাহেরকে। সেই পাহাড় ধ্বংস করা স্থানে অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে ওয়াসার সংযোগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সরকারি পাহাড় কাটার অপরাধে জরিমানা করার দুই বছর পর সেই পাহাড়েই ওয়াসার বিক্রয় বিভাগ অবৈধ সুযোগের বিনিময়ে পানির সংযোগ দিয়েছে। যা ৬ নং বালামের ৪২৭ নং সিরিয়ালে তার নাম লেখা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতিঝর্না ৭নং গলির মৃত নুরুল কবিরের ছেলে আবু তাহের এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হন। তার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলেন না। তিনি বিভিন্ন সময় সরকারি পাহাড় কেটে বিশাল কলোনি গড়ে তুলেছেন। পাহাড় কেটে কলোনি করায় বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এই কলোনিতে মিটার দেওয়া না হলেও ওয়াসা সেখানেই সংযোগ দিয়েছে।
এব্যপারে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন জমির মালিকানাসহ যাবতীয় কাগজ-পত্র থাকলেও ওয়াসার সংযোগ পেতে নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয় অথচ পাহাড়ে জমির মালিকানা সংক্রান্ত কোন কাগজ-পত্র না থাকলেও তারা নির্বিঘ্নে সংযোগ পেয়ে যায় ওয়াসার এহেন আচরণেই প্রমাণিত হয় তারা অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে অপকর্মে করে বেড়ায়। এসব অপকর্মের বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক আবু সাফায়েত মুহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম ও বিক্রয় বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রুবাইয়াতুল কাদের অসুস্থ থাকায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এব্যপারে কথা বলতে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহর অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি, তিনি ঢাকায় আছেন বলে তাঁর অফিস থেকে জানানো হয়েছে। তবে এসব বিষয় উল্লেখ করে একাধিক বার্তা পাঠালেও তিনি কোন জবাব দেননি।
উল্লেখ্য ২০২০ সালে চট্টগ্রাম মহানগর পরিবেশ অধিদপ্তর ৭নং গলির মতিঝর্নায়
সরকারি পাহাড় কাটার অপরাধে আবু তাহেরকে জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা কম হওয়াতে বিভিন্ন পত্রিকায় সেই সময় নিউজ করা হয়েছিল
এমএসএম / এমএসএম
লটারিতে ৬৪ জেলার এসপি পদায়ন করলো সরকার
সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সব বাহিনী প্রস্তুত : সিইসি
আগুনে ভস্মীভূত ঘর, দাঁড়িয়ে আছে শুধু সিঁড়িটি
বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় জার্মানি
মাসের পর মাসের চেষ্টায় জমেছিল দেড় লাখ টাকা, আগুনে সব শেষ
৫ ঘণ্টা পর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের কারণ শর্ট সার্কিট : প্রেস সচিব
যানজটে ৪০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, কাজ করছে ৭ ইউনিট
দুদককে চাপ প্রয়োগ করলে তালিকা প্রকাশ করা হবে : দুদক চেয়ারম্যান
পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন
ভালো নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে : সিইসি
ইতিহাসের সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালে : সানাউল্লাহ
Link Copied