ছাত্রলীগে বিব্রত আ’লীগ

খুন, হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, চুরি, মাদক ব্যবসাসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যেটাতে ছাত্রলীগ জড়াচ্ছে না। বৃহৎ এই ছাত্র সংগঠনটি নিয়ে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। দীর্ঘ সময় ধরে দল ক্ষমতায় থাকা ছাত্রলীগ অনেকটা বেসামাল হয়ে গেছে। নানান ধরনের অপরাধে জড়াচ্ছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে দলটির শীর্ষ নেতারাও বেশ উদ্বিগ্ন।
সিট বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থী নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন কলেজ ছাত্রলীগের ২৫ নেত্রী । রিভা ও রাজিয়ার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নিলে এই ২৫ নেত্রী পদত্যাগের হুমকিও দিয়েছেন। গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
রিভা ও রাজিয়ার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ: ক্যানটিনের চাঁদাবাজি, ইন্টারনেট সার্ভিস থেকে চাঁদাবাজি, কলেজের মুদিদোকানে চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে শতাধিক কক্ষ দখল করে রাখা, বিভিন্নভাবে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ নানা অভিযোগ আছে তাদের (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী) বিরুদ্ধে।২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি নিষ্ঠুর ও নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ছাত্রলীগের নাম। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ছাত্রলীগের নিজেদের কোন্দলে নিহত হন ৩৯ জন। আর এই সময়ে ছাত্রলীগের হাতে প্রাণ হারান অন্য সংগঠনের ১৫ জন।
২০০৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আসাদ ওরফে রাজীবকে হত্যা করে লাশ বহুতল ভবন থেকে ফেলে দেওয়া হয়। ২০১০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিমকে নিজ সংগঠনের কর্মীরাই মারধর করে বহুতল ভবন থেকে ছুঁড়ে ফেলে হত্যা করেন। ২০১০ সালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আবুবকর সিদ্দিক। একই বছর ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারা যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। ২০১২ সালে ছাত্রলীগ নেতাদের চাপাতির কোপে প্রাণ হারান পুরান ঢাকার দরজি বিশ্বজিৎ দাস।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত বছর ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাথে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এই সব ঘটনায় ছাত্রলীগের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। ২০২০ সালে ছাত্রলীগ বনাম ছাত্রলীগ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ১৫টি। তাতে দু’জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। আর অন্য ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা তো আছেই।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের মধ্যে অন্তর্কলহের জেরে এক হামলায় গুরতর আহত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ^দ্যালয়ের (জাবি)’র ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্পাসে তীব্র আন্দোলনের মুখে তৎকালীন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। শিবির সন্দেহে গুজব ছড়িয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় তার বাবা রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। গতবছর ৮ নভেম্বর এ হত্যার ঘটনায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। আসামিদের সবাই বুয়েটের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের কর্মী। তাদের মধ্যে ২২ জনের উপস্থিতিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করে; বাকি তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের শাহ পরাণের মাজার ভ্রমণ করে ফেরার পথে মুরারিচাঁদ কলেজের ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়। স্বামীর কাছ থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের এই ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়, যাদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
২০১২ সালের মে মাসে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের কাছ থেকে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। পরের দিন মুক্তিপণ দেওয়ার ফাঁদ পেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে পুলিশ সাত অপহরণকারীকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে ছয়জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
বরগুনার বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বি এম আদনান খালিদের ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও গত ১৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, আদনান একটি কক্ষে বসে ইয়াবা সেবন করছেন। পাশে বসে তাকে সহায়তা করছেন আরেকজন।
ডাকসুর সাবেক ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যেকোনো দল ক্ষমতায় থাকলে তাদের নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছে এই কারণে ছাত্রলীগ এতটা বেপরোয়া আচরণ করছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ছাত্রলীগের এসব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একসময় ছাত্রলীগ করতেন। তিনিও ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত আছেন। দলের উচিত ছাত্রলীগের এসব অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা।’
অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে এত গুরুতর অভিযোগ নেই; যতটা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আছে- এ প্রশ্নের জবাবে নুরুল হক নুর বলেন, ‘অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ায় কারণে এমনটা হচ্ছে। ছাত্রলীগের বিভিন্ন অপকর্মের বিচার হচ্ছে না। ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের আচরণ অন্যরকম হওয়া উচিত ছিল কিন্তু তারা তা করছে না। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে নিতে হলে সুস্থ ধারার গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে, নির্বাচন দিতে হবে।’
ডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ভালো কিছু না। আমরা এ ধরনের ঘটনা ভালোভাবে দেখি না। ভালো কিছু করার জন্য আমরা উদ্যোগ নেব।’
ইডেন কলেজের পরিস্থিতিকে ‘চূড়ান্ত নৈরাজ্য’ হিসেবে উল্লেখ করে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বা দলটির শীর্ষ নেতারা শুধু সরকারি সব প্রতিষ্ঠানকেই ধ্বংস করেনি, নিজেদের প্রতিষ্ঠানকেও ধ্বংস করেছে। ছাত্রলীগের মতো একটি গৌরবময় সংগঠনকে তারা চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, দুর্নীতিসহ অনৈতিক সব কর্মকাণ্ডে অভ্যস্ত করেছে এবং ক্ষমতায় থাকার গার্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। এগুলোর বিরুদ্ধে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয় না। কারণ যতক্ষণ তাদের ক্ষমতায় থাকার জন্য সৈনিক হিসেবে ছাত্রলীগ পথে থাকবে, ততক্ষণ তারা সব অনাচার সহ্য করবে। এ বার্তাটিই যখন ছাত্রলীগ পায়, তখন তরুণ বয়সী ছেলে-মেয়েরা এটাই করবে। এরই উদাহরণ আমরা ইডেন কলেজে দেখছি। ইডেন কলেজের এসব ঘটনার সম্পূর্ণ দায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতির নামে আমাদের দেশে যা হচ্ছে, সেটা তো প্রকৃত অর্থে ছাত্ররাজনীতি না। ছাত্ররাজনীতি মানে শিক্ষা, শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের মঙ্গলের জন্য কাজ করার রাজনীতি। ইডেন কলেজে সিট নিয়ে, টাকা আয়ের জন্য, সুবিধা পাওয়ার জন্য যা করা হচ্ছে, সেটা তো ছাত্ররাজনীতি না, অন্যায়। এখন অন্যায় কাজগুলোকে আমরা ছাত্ররাজনীতি নাম দিয়ে দিচ্ছি। এ থেকে বোঝা যায় যে, জাতীয় রাজনীতির স্বার্থেই ছাত্ররাজনীতি চলছে। শিক্ষায় বরাদ্দ, শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোনো কথা হয় না। সেগুলো নিয়ে ছাত্রনেতাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।’
‘ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, এগুলো তো অপরাধীদের কাজ। অভিযোগ সত্য হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু, সেটা তো হবে না। কারণ, এসব নেত্রীরাই সরকারের প্রহরী, সৈন্য। কিংবা আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাদের ব্যবহার করবে। ছাত্ররাজনীতির নামে অপরাধ করা হচ্ছে। ইডেন কলেজে যেসব অন্যায় হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কাজ কল্পনা করা যায়?’, যোগ করেন তিনি।
ইডেন কলেজ প্রশাসনের গাফিলতিতেই সেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে এবং এরকম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যখন ছাত্রলীগ প্রশাসনে পরিণত হয়, তখন সেখানকার পরিস্থিতি এমনই হয়। ইডেন কলেজের প্রশাসন মোটেও কার্যকর নয়। ফলে সেখানে এ ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে।’
যখন প্রশাসন নিষ্ক্রিয় থাকে, তখনই সিট-বাণিজ্যের মতো ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে ঢাবির এই অধ্যাপক বলেন, ‘প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে সিট বণ্টন সুচারুভাবে করা। প্রশাসন না করে যখন নেত্রীরা সিট বণ্টন করে, তখনই সিট কেনা-বেচার ঘটনা ঘটে। সেটার প্রকাশ আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখি। সেটারই আরেকটা সংস্করণ ইডেন কলেজ।’
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের নেত্রীদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে বাধ্য করানোর অভিযোগ বিষয়ে অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান বলেন, ‘কলেজের শিক্ষকদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করার কথা। সেই আস্থা থেকেই অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের হলে থাকতে দেন। কিন্তু, যখন শিক্ষকরা অভিভাবকের ভূমিকা পালন না করে রাজনৈতিক কর্মী হয়ে ওঠেন, সরকারি ছাত্র সংগঠনের পক্ষে কাজ করেন, তখনই এ ধরনের সংকট তৈরি হয়।’
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি শুরু হলে এ ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের প্রচলিত যে রাজনীতি, সেটা তো আসলে অপরাধনীতি। এই অপরাধনীতিকে ঘিরে একটা ব্যবসায়িক চক্র তৈরি হয় অর্থ-শক্তি অর্জনের জন্য। রাজনীতির গুণগত মানের সেই জায়গাটায় পরিবর্তন না এনে যদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছাত্র সংগঠনগুলোর কার্যক্রম শুরু করা হয়, তাহলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরির শঙ্কা রয়েছে।’
এমএসএম / এমএসএম

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র তীব্রভাবে ক্রিয়াশীল হচ্ছে : রিজভী

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আর কোনও সংশয় নেই

নিবন্ধন পেল লেবার পার্টি, প্রতীক আনারস

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আরেকটি ফ্যাসিস্ট সরকার তৈরি হতে পারে

চাপে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে সাহস পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন

আগামী নির্বাচনে বিএনপিই রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে : আমান উল্লাহ আমান

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন: ডা. জাহিদ

মির্জা ফখরুল বিদেশি কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেননি : বিএনপি

তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে রাজপথে নামিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর গ্রেপ্তার

শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না এনসিপি
