ঢাকা বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিধিনিষেধে ঘরমখো মানুষে জমজমাট আমিনবাজার


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২-৭-২০২১ দুপুর ২:০

করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। এ সময়ে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে বন্ধ রাখা হয়েছে দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন। কিন্তু এরপরও সবকিছু উপেক্ষা করেই ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকা ছাড়ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ভিড় করছেন ঢাকার সঙ্গে অন্য জেলাগুলোর বিভিন্ন সংযোগ সড়কগুলোতে।

সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে সড়ক একেবারেই ফাঁকা থাকার কথা। কিন্তু সোমবার (১২ জুলাই) আমিনবাজার ব্রিজ পার হলেই দেখা গেছে ভিন্নচিত্র। হাজার হাজার মানুষ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। সেখানে সহজেই মিলছে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল।

পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে কুষ্টিয়া যাবেন হাসেম। আমিনবাজার এসে তিনি গাড়ির অপেক্ষা করছেন। হাসেম জানান, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে আগেভাগেই বাড়ি চলে যাচ্ছি। কিন্তু সরকারের কড়াকড়িতে ভোগান্তি হচ্ছে। আমিনবাজার থেকে সহজেই ঘাট পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে। ঘাটে গিয়ে ছোট লঞ্চ, ট্রলারে নদী পাড়ি দেব। নদী পার হতে পারলেই আর কোনো চিন্তা নেই।

ব্রিজ পার হলেই পাওয়া যাচ্ছে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার সরেজমিনে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে চেপেই যাত্রীরা যাচ্ছেন আরিচা-পাটুরিয়া ঘাটের দিকে। এজন্য প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে জনপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। মোটরসাইকেলে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। তবে প্রশাসনের তৎপরতায় যাত্রীদের গাবতলী থেকে হেঁটে আমিনবাজার গিয়েই ঘাটের গাড়ি ধরতে হচ্ছে।

মিন্টু যাবেন পাবনা। বোনকে নিয়ে রওনা হয়েছেন অনিশ্চিত যাত্রায়। লঞ্চ ও ট্রলার চলছে কিনা তাও জানেন না। তিনি বলেন, বাড়িতে যাচ্ছি অসুস্থ মায়ের জন্য। মা অসুস্থ না থাকলে এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে যেতাম না। মূলত মাকে দেখতেই বাড়ি যাচ্ছি।

মো. রফিক নামে সাটুরিয়াগামী এক যাত্রী বলেন, গাড়ি চলাচল না করায় বিপদে পড়েছি। ফার্মগেট থেকে মোটরসাইকেলে গাবতলী এসেছি। গাবতলী থেকে আমিনবাজার পায়ে হেঁটে এসেছি। এখান থেকে লেগুনা করে যাব।

জরুরি ছাড়া এবং মানবিক বিষয় ছাড়া কাউকে গাবতলীর বাইরে যেতে দিচ্ছে না পুলিশএ বিষয়ে গাবতলী ট্রাফিক সিগন্যালের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা মো. মাহবুব  বলেন, গাবতলী থেকে আমরা কাউকে ছাড়ছি না। একেবারে জরুরি ছাড়া এবং মানবিক বিষয় ছাড়া কাউকে গাবতলীর বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না। তবে কেউ পায়ে হেঁটে যেতে চাইলে আর না করতে পারছি না।

গত ২৪ জুন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে’র সুপারিশ করা হয়। কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। যা চলমান অবস্থায় গত ৫ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে আরও সাত দিন বাড়ানো হয়।

এমএসএম / জামান

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মানুষের ঢল

সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় পৌঁছেছে খালেদা জিয়ার মরদেহ

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার

ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর

ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় ৫০ প্লাটুন আনসার ও টিডিপি মোতায়েন

২১ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ

খালেদা জিয়ার ইন্তেকাল

খুলে দেওয়া হলো জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার প্রবেশ পথ

খালেদা জিয়ার জানাজা : সকাল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানুষের ঢল

খালেদা জিয়ার মরদেহ জানাজাস্থলে নেওয়ার সময় শ্রদ্ধা জানানো যাবে

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, প্রজ্ঞাপন জারি

বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর