ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

আদালতে এনামুল বাছিরের আইনজীবী

২০১৪ সালের জব্দ তালিকা মামলা ২০১৯ সালে


সাজেদা হক       photo সাজেদা হক
প্রকাশিত: ১৬-১১-২০২২ দুপুর ৪:৩৬

দুদকের সাবেক কর্মকর্তা খোন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করে ২০১৯ সালে। অথচ মামলায় ২০১৪ সালের জব্দ তালিকা যুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নজরে আনলে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিজ্ঞ আদালত। এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিজ্ঞ আদালতকে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন খোন্দকার এনামুল বাছিরের আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। সকালে বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক বেঞ্চে দুদকের সাবেক কর্মকর্তা খোন্দকার এনামুল বাছিরের জামিনের আবেদন শুনানিতে এসব বিষয় আলোচিত হয় বলে জানান তিনি। বুধবার পরবর্তী শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন বিজ্ঞ আদালত।

আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি এনামুল বাছিরের জামিনের আবেদনটি আদালতের ১৮ নম্বর সিরিয়ালে আছে। মঙ্গলবার এ মামলার শুনানিতে অংশ নিই। অংশগ্রহণের এক পর্যায়ে বিজ্ঞ বিচারক তার সন্তুষ্টির স্বার্থে সাক্ষীগুলো আবার রিডআউট করার জন্য বলেন। প্রথমে ১৪ থেকে ১৬তম সাক্ষীর জবানবন্দি পড়ে শোনানোর পর আবারও ১ থেকে ৮ নম্বর সাক্ষীর জবানবন্দি পড়ে শোনানোর জন্য বলেন। ১ থেকে ৭ ছিলো দুদকের নিজস্ব কর্মকর্তা, যাদের সাক্ষ্য আসলে কোনো ফ্রুটফুল অ্যাভিডেন্স না। দুদকের কর্মকর্তারা কেবল নথি সংক্রান্ত এবং জব্দ সংক্রান্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন কিন্তু ঘুষ লেনদেন বা অপরাধ বিষয়ে কোনো সাক্ষ্য দেন নাই। ১৩ থেকে ১৬তম সাক্ষীর সকলেই সাবেক ডিআইজি মিজানের খাস লোক, একজন ড্রাইভার, একজন অর্ডারি, একজন বডিগার্ড আর একজন ছিলেন সাবেক ডিআইজি মিজানের স্ত্রীর দোকানের সেলসম্যান। এই চারজন সরাসরি ঘুষ নিতে দেখেছেন বলেও সাক্ষ্য দেননি। একই সাথে ড্রাইভারের জবানবন্দির সাথে সেলসম্যানের জবানবন্দির কোনো মিল নেই, আবার অর্ডারির বক্তবের সাথে ড্রাইভারের জবানবন্দির অমিল অনেক। সব মিলিয়ে প্রসিকিউশন অংশের যে মামলা এটি একটি ডেড মামলা। কারণ অভিযোগের সাথে সাক্ষীর কোনো মিল নেই। কাজেই দেয়ার ইস নো কেইস, নো প্রসিকিউশন। সো, দ্য কনভিকশন ইজ নট বেইজড অন অ্যাভিডেন্স। অর্থাৎ আদালত যে সাজা দিয়েছে তা সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত নয়। সো দিস ইজ অ্যা ডেড কেস বলে বিজ্ঞ আদালতকে জানান আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী।  

চাকরিতে খোন্দকার এনামুল বাছিরের পদোন্নতি পাওয়ার কথা ছিলো, বার বার আবেদন করার পরও এ বিষয়ে কর্ণপাত না করায়, বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্ত হন। সেই ঘটনায় প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এই মামলার উৎপত্তি বলেও আদালতে জানিয়েছেন আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। 

বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষী নম্বর ৭ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। খোন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের জুন মাসের ৯ তারিখে এটিএন নিউজে ইমরান হোসেইন সুমনের একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। তাতে দেখানো হয় আসামি এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে সাবেক ডিআইজি মিজানকে দায়মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এই মামলার বিচার চলাকালীন সময়ে সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিতে প্রতিবেদক ইমরান হোসেন সুমনকে বার বার সমন এমনকি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তিনি আদালতে হাজির হন নাই। অথচ তিনি ঢাকা জজকোর্ট বিচারিক আদালত থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে (বড় মগবাজার) বাস করেন, সেখান থেকে তিনি একটি বারও কোর্টে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করলেন না। 

ইমরান হোসেন সুমন কোনো লেম্যান নন, একজন সাংবাদিক এবং সচেতন মানুষ। তার এই অনাগ্রহ থেকেই বোঝা যায় যে তিনি সাক্ষ্য দিতে ইচ্ছুক নন। অথচ এই মামলায় ইমরান হোসেন সুমন একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য/ ভাইটাল সাক্ষ্য। সাক্ষ্য আইনেই বলা আছে, কোনো সাক্ষ্য যদি সাক্ষ্য না দেন, তা হলে তিনি তার দাবি প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন বলে আদালতে গণ্য হবেন। সেই গ্রাউন্ডেই বিচারিক আদালতের এনামুল বাছিরকে খালাস দেয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু বিচারিক আদালত বিষয়টিকে আমলে নেন নাই। যে কারণে মহামান্য হাইকোর্টে আপীল আবেদন করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী।  
 
আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছরের কর্মজীবনে খোন্দকার এনামুল বাছির দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় সাক্ষী হাজিরার হার ২৭% থেকে ৫৪% এ উন্নীত করেন। সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে বিচার নিষ্পত্তির হার বাড়ান এবং সাজার হার ২৬% থেকে ৪৮% এ উন্নীত করেন। প্রায় ৪ হাজার ২৪৮টি অভিযোগ অনুসন্ধান/তদন্ত সম্পন্ন করেন, বিভিন্ন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংরক্ষিত তালিকার বাইরে ২ হাজার ৭৩৯টি নথি খুঁজে বের করে অনুসন্ধান/তদন্ত সম্পন্ন করেন। এসব মামলায় দেশের বিখ্যাত সব রাঘব-বোয়াল ছিলেন। খোন্দকার এনামুল বাছিরের ইউনিট থেকে ২২টি মামলা রুজু, ১ হাজার ৪১৫টি মামলার চার্জশীট বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন, যা সমগ্র দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত ইউনিটসমূহের একাধিক বছরের সর্বমোট সাফল্যের সমান। তার এই সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়েই কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার কারণে ষড়ড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন খোন্দকার এনামুল বাছির, যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে দাবি করেছেন আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। 

অন্যদিকে, বিশেষ জজ আদালত ৬ এ সাবেক ডিআইজি মিজানের ট্রায়াল চলছে, যার বিশেষ মামলা ০৫/২০, এ মামলায় মোট সাক্ষী ২৬ জন। অক্টোবরের ২০ তারিখে এই মামলায় সাক্ষ্য দেবেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদ। ২০১৯ সালের জুন মাসের ১৩ তারিখে তৎকালীন কর্মকর্তা খোন্দকার এনামুল বাছিরের কাছ থেকেই মামলাটি পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তা মনজুর মোর্শেদ। 

 

এমএসএম / এমএসএম

তৌহিদ আফ্রিদির ৭ দিনের রিমান্ড চায় সিআইডি

ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু সামাসহ দুইজন কারাগারে

শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সপ্তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা খারিজ, প্রতিবাদে বিচারক সম্পর্কে কটূক্তি

তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৪ সেপ্টেম্বর

সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ

জুলাই গণহত্যা : শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি চলছে

সব উপজেলা হাসপাতালে সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সরবরাহের নির্দেশ

ধানমন্ডির সেই ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বরাদ্দে স্থিতাবস্থা হাইকোর্টের

জুলাই গণহত্যা : শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হতে পারে অক্টোবরে

জিকে শামীমের খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন

লুট হওয়া পাথর আগের জায়গায় ফেলতে হাইকোর্টের নির্দেশ