ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

আদালতে আইনজীবী

এনামুল বাছিরের মামলা 'ডেড'


সাজেদা হক       photo সাজেদা হক
প্রকাশিত: ১৭-১১-২০২২ দুপুর ৩:২৫

দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কর্মকর্তা খোন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের মামলাটিকে ‘একটি ডেড কেস’ বলে আদালতকে জানিয়েছেন আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। সকালে বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক বেঞ্চে জামিনের আবেদন শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। 

আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি এনামুল বাছিরের জামিনের আবেদন শুনানির শুরুতে বিজ্ঞ বিচারক মামলার সিনোপসিস শুনতে চান। এসময় বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষী নম্বর ৭ নিয়ে আবারো কথা হয়। খোন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালেরর জুন মাসের ৯ তারিখে এটিএন নিউজে ইমরান হোসেইন সুমনের একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। তাতে দেখানো হয় আসামি এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে সাবেক ডিআইজি মিজানকে দায়মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এই মামলার বিচার চলাকালীন সময়ে সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিতে প্রতিবেদক ইমরান হোসেন সুমনকে বার বার সমন এমনকি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তিনি আদালতে হাজির হন নাই। অথচ তিনি ঢাকা জজকোর্ট বিচারিক আদালত থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে (বড় মগবাজার) বাস করেন, সেখান থেকে তিনি একটি বারও কোর্টে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করলেন না। 

ইমরান হোসেন সুমন কোনো লেম্যান নন, একজন সাংবাদিক এবং সচেতন মানুষ। তার এই অনাগ্রহ থেকেই বোঝা যায় যে তিনি সাক্ষ্য দিতে ইচ্ছুক নন। অথচ এই মামলায় ইমরান হোসেন সুমন একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য/ ভাইটাল সাক্ষ্য। সাক্ষ্য আইনেই বলা আছে, কোনো সাক্ষ্য যদি সাক্ষ্য না দেন, তা হলে তিনি তার দাবি প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন বলে আদালতে গণ্য হবেন। সেই গ্রাউন্ডেই বিচারিক আদালতের এনামুল বাছিরকে খালাস দেয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু বিচারিক আদালত বিষয়টিকে আমলে নেন নাই। যে কারণে মহামান্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী।  

 এছাড়াও যেসব সাক্ষীর সাক্ষ্যে খোন্দকার এনামুল বাছিরকে সাজা দেয়া হয়েছে তাদের সকলেই সাবেক ডিআইজি মিজানের খাস লোক, একজন ড্রাইভার, একজন অর্ডারি, একজন বডিগার্ড আর একজন ছিলেন সাবেক ডিআইজি মিজানের স্ত্রীর দোকানের সেলসম্যান। এই চারজন সরাসরি ঘুষ নিতে দেখেননি। পরস্পরের সাক্ষ্যেও অনেক অমিল। সব মিলিয়ে মামলাটি একটি ‘ডেড মামলা’। দ্য কনভিকশন ইজ নট বেইজড অন অ্যাভিডেন্স। অর্থ্যাৎ আদালত যে সাজা দিয়েছে তা সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত নয়। সো দিস ইজ অ্যা ডেড কেস বলে বিজ্ঞ আদালতকে জানান আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী।  

চাকরিতে খোন্দকার এনামুল বাছিরের পদোন্নতি পাওয়ার কথা ছিলো, বার বার আবেদন করার পরও এ বিষয়ে কর্ণপাত না করায়, বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই ঘটনায় প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এই মামলার উৎপত্তি বলেও আদালতে জানিয়েছেন আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। 

আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী বলেন, কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার কারণে ষড়ড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আজ ৪০ মাস কারাভোগ করছেন খোন্দকার এনামুল বাছির। এটি ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আবারো বিজ্ঞ আদালতের কাছে জামিন এবং খালাস চান আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। 

এই মামলায় বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে তার পক্ষ রাখবেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন বিজ্ঞ আদালত।

 

এমএসএম / এমএসএম

তৌহিদ আফ্রিদির ৭ দিনের রিমান্ড চায় সিআইডি

ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু সামাসহ দুইজন কারাগারে

শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সপ্তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা খারিজ, প্রতিবাদে বিচারক সম্পর্কে কটূক্তি

তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৪ সেপ্টেম্বর

সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ

জুলাই গণহত্যা : শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি চলছে

সব উপজেলা হাসপাতালে সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সরবরাহের নির্দেশ

ধানমন্ডির সেই ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বরাদ্দে স্থিতাবস্থা হাইকোর্টের

জুলাই গণহত্যা : শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হতে পারে অক্টোবরে

জিকে শামীমের খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন

লুট হওয়া পাথর আগের জায়গায় ফেলতে হাইকোর্টের নির্দেশ