৬ মাসের জামিন পেলেন দুদকের সাবেক পরিচালক এনামুল বাছির
দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য নথি প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জামিনাদেশের ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের এককবেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। তিনি বলেন, সত্য কখনো চাপা থাকে না। কর্মকালীন সময়ে দুদকের সুনাম বয়ে আনে এমন অনেক কাজ করে সফল হয়েছিলেন খোন্দকার এনামুল বাছির। তিনি ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছিলেন, সেই বিষয়টি বিজ্ঞ আদালতকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। বিজ্ঞ আদালত আমাদের উপস্থাপনে সন্তুষ্ট হয়ে জামিন দিয়েছেন।
একই আদালতে মূল মামলা চলবে বলেও নথি প্রস্তুতের আদেশ দিয়েছেন। যদিও দুদকের পক্ষে বলা হয়েছিলো যে, খোন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা চলমান, কিন্তু আমরা বিজ্ঞ আদালতকে জানিয়েছি কোনো টাকা জব্দ নাই, এমনকি দুই মোবাইল এবং সিমের কথা মামলাতে উল্লেখ থাকলেও সেগুলোও জব্দ নাই, সুতরাং এ মামলা পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। অপরদিকে দুদকের পক্ষে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ২০১৯ সালের ৯ জুন এটিএন নিউজ-এপ্রচারিত প্রতিবেদনে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে এনামুল বাছিরকেঘুষ দেন বলে দাবি করেন সাবেক ডিআইজি মিজান।
এ প্রতিবেদনকে সূত্র উল্লেখ করে দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে আছেন। অপরদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেফতার করা হয়।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি দুদকের সাবেক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৮ বছর ও পুলিশের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ডদেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন।
পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল এবং জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান খন্দকার এনামুল বাছির। এরপর গত ১৩ এপ্রিল তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা স্থগিত করেন উচ্চ আদালত।
পরে গত ২৩ আগস্ট তার জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। তবে সে আদেশ পরদিন (২৪ আগস্ট) প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে পুনরায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান বাছির। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ৬ মাসের জামিন পেলেন দুদকের সাবেক পরিচালক খোন্দকার এনামুল বাছির।
প্রীতি / প্রীতি
কাদের-আরাফাতসহ ৭ নেতার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
১২ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ
দুই মামলায় আব্বাস-আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি
ট্রাইব্যুনালে নিজের বিচার টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করতে ইনুর আবেদন
সালমান-আনিসুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ
ছাড়া হচ্ছে না সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে, আদালতে পাঠানো হবে আজই
হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
ট্রাইব্যুনালে হাজির ১৫ সেনা কর্মকর্তা, নিরাপত্তা জোরদার
জোট করলেও নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে, হাইকোর্টের রায়
সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্র : ৫ দিনের রিমান্ডে শওকত মাহমুদ
ইসির সিদ্ধান্ত অবৈধ, বাগেরহাটে চারটি আসন পুনর্বহাল