ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

প্রবাসী উদ্যোক্তার গল্প

আমেরিকায় সফল ব্যবসায়ী জিয়া


ফয়েজ রেজা  photo ফয়েজ রেজা
প্রকাশিত: ৫-১২-২০২২ বিকাল ৭:১১

জিয়া। একজন নতুন উদ্যোক্তা। জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশে। চাকুরিসূত্রে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। এখন আমেরিকার বিখ্যাত প্রসাধনী ব্র্যান্ড ‘কালারম্যাক্স’ এর পরিচালক। বাংলাদেশেসসহ পৃথিবীর ৩৭টি দেশে পাওয়া যায় কালারম্যাক্স এর প্রসাধনী পণ্য।

আমেরিকায় প্রথমে চাকুরি ও পরে ব্যবসা করার সুবাধে ব্যবসায়ীদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এই বন্ধুত্বেও সুবাধে এক সময় কালারম্যাক্স এর উদ্যোক্তারা জিয়াকে তাদের ব্যবসায়ীক অংশীদার হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেন। ভালোমানের পণ্য বিবেচনা করে কালারম্যাক্স এর সাথে যুক্ত হয়েছেন তিনি। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেছেন কালারম্যাক্স এর ব্র্যান্ড পরিচালক। একটি ভালো প্রসাধনী ব্র্যান্ড কালারম্যাক্স কিভাবে আরও ভালো প্রসাধনী ব্র্যান্ড হতে পারে? সে চেষ্টা করছেন তিনি।

নিজের জন্মভূমি বাংলাদেশের জন্য কিছু করার প্রেরণা, জন্মভূমির মানুষের উপকারের জন্য কাজ করার ইচ্ছা থেকে বাংলাদেশেও শুরু করেছেন কারারম্যাক্স এর প্রসাধনী পণ্য বিপণনের কাজ।

গত এক বছর ধরে অনলাইনে ক্রেতাদের কাছে ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতিতে পৌঁছে দিচ্ছেন কালারম্যাক্স এর প্রসাধনী পণ্য। এই এক বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সকালের সময়কে বলেন-  এক বছরে বাংলাদেশে কালারম্যাক্স এর পণ্যের অসংখ্য গ্রাহণ তৈরি হয়েছে। করোনাকালীন অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করে এবং পণ্যের গুণ ও মানের নিশ্চয়তা দিয়ে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি পেয়েছেন। ক্রেতাদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে ঢাকার ধানমন্ডিতে গড়ে তুলেছেন নতুন একটি শো-রুম।

প্রথমত ক্রেতার সন্তুষ্টি, দ্বিতীয়ত ভালো মানের পণ্য, তৃতীয়ত লাভ, এই তিনটি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন জিয়া। তিনি মনে করেন- ক্রেতারা যদি পণ্য ও পণ্য সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানকে ভালোভাবে গ্রহণ করে, তাহলে নিশ্চিত ব্যবসা আসবে। গত এক বছরে ভালো সফলতা পেয়েছেন। ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যপক সাড়া পেয়েছেন। এখন দেশের ৭২ টি স্টোর নিয়মিত আস্থার সাথে নিচ্ছে কালারম্যাক্স এর পণ্য।

বাজারে প্রসাধনী পণ্য নকল হওয়ার আশংকা থাকে। অসাধু ব্যবসায়ী চক্র যাতে কালারম্যাক্স এর পণ্য নকল করতে না পারে, সে জন্য হলোগ্রামযুক্ত পণ্য বেচার পরিকল্পনা করছেন। আশা করছেন এতে ক্রেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।

প্রসাধনী পণ্য উৎপাদনের জন্য পৃথিবীজুড়ে সুনাম আছে ইউরোপের। কালারম্যাক্স এর পণ্য তাই ইউরোপে উৎপাদিত হয়। বিপণন করা হয় পৃথিবর বিভিন্ন দেশে। বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া, আবহাওয়া অনুযায়ী ত্বকের বৈচিত্র ও ত্বকের ধরণ বিবেচনায় রেখে কালারম্যাক্স এর প্রসাধনী পণ্যগুলো তৈরি করা হয়। ফলে পৃথিবীর যে কোনো দেশের মানুষ আস্থার সাথে ব্যবহার করতে পারে কালারম্যাক্স এর পণ্য।

তিনি জানান- বাংলাদেশে প্রসাধনীর বাজার অনেক বড়। বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করার জন্য কাজ করছে কালারম্যাক্স। পাশাপাশি চেষ্টা করছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের প্রসাধনী পণ্যের চাহিদা পূরণ করার জন্য।

আমেরিকায় নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি মনে করেন, আমেরিকায় ব্যবসা করার জন্য রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা অনেক ভালো পাওয়া যায়। কালারম্যাক্স এর পণ্য ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়, তাই যে কেউ ব্যবহার করতে পারবেন কালারম্যাক্স এর পণ্য।  

সুজন / সুজন

ইলিশের দেখা মিললেও দামে হাত পোড়ার জোগাড়

৮০ টাকার নিচে নামছেই না সবজি

এক মোটরসাইকেলে ৪ জন, প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ৩

পেঁয়াজের ঝাঁজে পুড়ছে ক্রেতার পকেট, খুচরায় কমেনি দাম

আন্দোলনের জেরে এনবিআরের আরও ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত

সরবরাহ বাড়ার পরও ইলিশের কেজি ২ হাজারের বেশি

জ্বালানি তেল কিনে গত বছর সাশ্রয় ১৪০০ কোটি টাকা: ফাওজুল কবির

বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনও সবজি নেই

প্রথম ১০ দিনে ১ লাখ করদাতার ই-রিটার্ন দাখিল

চাপে ভারতের অর্থনীতি, বাণিজ্য ঘাটতির রেকর্ড

১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ১০৫ কোটি ডলার

ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : অর্থ উপদেষ্টা

লিটারে ১৯ টাকা কমলো পাম অয়েলের দাম