ঢাকা সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ইজিপিতে বছরে সাশ্রয় ৬০ কোটি ডলার: সিপিটিইউ


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯-১২-২০২২ রাত ৮:১৬

২০১১ সালে শুরু হয় ই-জিপি কার্যক্রম। অনলাইনে দরপত্র কার্যক্রম চলার কারণে বছরে দেশের সাশ্রয় হচ্ছে ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি ডলার। সাশ্রয়ের পাশাপাশি এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বছরের সরকারের আয় হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার সিপিটিউতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এসব তথ্য দেন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ সোহেলার রহমান চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণ বিভাগের (আইএমইডি) বিদায়ী সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।

এ সময় মোরশেদ জামান বলেন, ইজিপি অনেক কাজ করছে, অনেক পরিবর্তনও এসেছে। বিশ্বব্যাংক এটিকে পছন্দ করেছে। বিভিন্ন দেশকে তারা পরামর্শ দিচ্ছে বাংলাদেশের ই-জিপি কার্যক্রম অনুসরণ করার জন্য। মোজাম্বিকের একটি দল ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণের জন্য এসেছে।

তিনি বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটিই এখন কাগজবিহীন হয়েছে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনায় বড় অংশীদারিত্ব সিপিটিইউর। ইতোমধ্যে আইএসও সনদ ও ডিরেক্টর অ্যাওয়ার্ড এর বড় অর্জন।

সিপিটিইউ মহাপরিচালক সোহলার চৌধুরী বলেন, বর্তমানে ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে আহবানকৃত দরপত্রের বিজ্ঞাপন ও চুক্তির শতভাগ প্রকাশিত হচ্ছে। দরপত্রের ৯৯ শতাংশ নির্ধারিত দরপত্র মেয়াদের মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হচ্ছে। এ সিস্টেম হতে বছরে ৪০০-৪৫০ কোটি টাকা আয় হয়। এ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বেমোট আয় ১ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা।

তিনি বিশ^ব্যাংকের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ইজিপি চালুর পর ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময় ৮৬ দশমিক ৭ দিন থেকে ৫৮ দিন হয়েছে। ই-জিপি সিস্টিম ব্যবহারের ফলে বার্ষিক ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে, দরদাতাদের ৪৯৭ মিলিয়ন কিলোমিটার ভ্রমণ দূরুত্ব কমেছে, ১ হাজার ৫৩ মিলিয়ন পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে এবং ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৯ টন কার্বন নিসরন কম হয়েছে।

সোহেলার চৌধুরী আরও বলেন, চলতি ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ই-জিপিতে আহ্বানকৃত দরপত্রের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ (৬.৫ লক্ষ)। নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যাও এক লাখের বেশী। ৫৯টি ব্যাংকের ৬ হাজার ৫০০ শাখার অধিক সারাদেশে দরদাতাদের পেমেন্ট সেবা দিচ্ছে। অনলাইনেও পেমেন্ট চলছে। বিশ্বব্যাপী কডিভ পরিস্থিতিতেও ই-জিপির একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। ইতোমধ্যে এ সিস্টেমটি আইএসও সনদ পেয়েছে।

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কাজের বাস্তবায়ন মান সম্মত হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে স্থানীয় নাগরিকগণের মাধ্যমে নির্বাচিত ক্রয় কাজের পরিবীক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৮ বিভাগের, ১৬ জেলার ৪৮ উপজেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ৪৮টি উপজেলায় ৩১৬টি চুক্তি বা কাজ পরিবীক্ষণ করা হয়েছে। উল্লিখিত বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনের পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে ইতোমধ্যে সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা সংক্রান্ত মডেল চূড়ান্ত করা হয়েছে। “ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং এন্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট”-শীর্ষক প্রকল্পটি জুলাই ২০১৭- ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। প্রকল্পটি প্রতি বছর প্রায় ১০০% লক্ষ্য (ভৌত ও আর্থিক) অর্জন করছে এবং বিশ্বব্যাংক কর্তৃক স্যাটিসফ্যাকটরি প্রকল্প হিসেবে অভিহিত হচ্ছে। 

সুজন / সুজন

বরবটি-করলার সেঞ্চুরি, কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি

ব্রয়লার ১৬৫, ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম চড়া

৩০ বছর পর মাতারবাড়ী-মহেশখালীকে সাংহাই-সিঙ্গাপুরের মতো দেখতে চাই

এলপি গ্যাসের দাম কমলো ৩ টাকা

সবজির পর দাম বেড়েছে মুদি পণ্যের, চড়বে আলুর বাজারও

চট্টগ্রাম বন্দরে জট কমাতে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ১০০০ কনটেইনার বিক্রি

ডিজিটাইজেশন না হওয়ায় সময়ের কাজ সময়ে হয় না: এনবিআর চেয়াম্যান

ন্যূনতম কর একটা কালাকানুন: এনবিআর চেয়ারম্যান

শাহজালালে নারী যাত্রীর লাগেজ থেকে ১৩০ কোটি টাকার কোকেন জব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়বে ৪১ শতাংশ, বৈঠকে বসছে নৌ মন্ত্রণালয়

ইলিশের দেখা মিললেও দামে হাত পোড়ার জোগাড়

৮০ টাকার নিচে নামছেই না সবজি

এক মোটরসাইকেলে ৪ জন, প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ৩