ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এইউবি’র সাবেক ভিসি সাদেকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ


সকালের সময় ডেস্ক photo সকালের সময় ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২-১-২০২৩ দুপুর ২:৫৭

চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এইউবি)’র সাবেক ভিসি এবং ভুয়া অ্যামেরিটাস অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। মুক্তিযুদ্ধের সময় আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকের যুদ্ধাপরাধের ধরন এবং তার দ্বারা সংঘটিত অপরাধসমূহ তদন্ত করবেন তারা। 

আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত, রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং বিচারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে দুইজন নাগরিকের পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে এই তদন্ত হচ্ছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) দেওয়া পৃথক আবেদনের সঙ্গে যেসব তথ্য প্রমাণ সংযুক্ত করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার জামুকা বরাবর এইউবির সিন্ডিকেট সদস্য সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রধান  ড. আনিছুর রহমান এবং  সাংবাদিক শামীম আহমেদ নামে ওই দুই নাগরিকের দেওয়া আবেদনে বলা হয়-  মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক (এনআইডি নং ৪৬০০১৭৪৪৭০), বর্তমান ঠিকানা নিজস্ব বাড়ি নং ১৪, রোড ২৮, সেক্টর ৭, উত্তরা, ঢাকা ১২৩০ এবং গ্রামের বাড়ি ও জন্মস্থান: গ্রাম: পীরপুর, ইউনিয়ন: মির্জাপুর, উপজেলা: রায়পুরা, জেলা: নরসিংদী। তিনি একজন চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ছাত্র সংঘের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং পূর্ব পাকিস্তান কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নেতৃত্বে নরসিংদীর রায়পুরার মির্জাপুর ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। তার নেতৃত্বে এমন সব অপরাধ সংঘটিত হয়, যা আঁতকে উঠার মতো। তার হাত থেকে নিকটাত্মীয়া যুবতী মেয়েরাও রক্ষা পায়নি। তার বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- এক. ১৯৬৮ থেকে ১৯৭১ সময়কালে তৎকালীন সরকারি টেলিভিশনে ‘জীবনের আলো’ নামে আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সরাসরি স্বাধীনতার বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। দুই. স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তার বাবা আব্দুল খালেক ‘ঈমান-আকিদা সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন। সাদেক, তার বাবা ও বড় ভাই আবু ফারাহ মোহাম্মদ ফারুকের নেতৃত্বে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে স্বাধীনতা বিরোধীদের সংগঠিত করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর আক্রমণ করেন। তাছাড়া ওই এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ জড়িত হন। তাদের পীরপুরের গ্রামের বাড়ি ছিল রাজাকারদের ক্যান্টনমেন্ট। একসময় তাদেরকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা আটক করেছিলের ওইসময় এক নিকটাত্মীয়া। বীর মুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে প্রাণে বেঁচে যায় ওরা। তিন. স্বাধীনতার পর তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে শাহাদত বরণের পর তারা আবারো এলাকায় ফিরে আসেন। এরপর জিয়াউর রহমানের আমলে ‘ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ’ নামে স্বাধীনতা বিরোধীরা যে রাজনৈতিক দল গঠন করেছিল সেটার নরসিংদী জেলার দায়িত্বে ছিলেন এই সাদেক। এরপর ১৯৯৬ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ গড়ে তুলে সমাজের মূলধারার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। সেইসাথে স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ আড়াল করে দুর্নীতি করে দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। 

চার. সাদেকের বিরুদ্ধে আনীত জঙ্গিবাদে অর্থায়নের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা বাহিনী সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে। এরপরও বহাল তবিয়তে আছেন সাদেক। পাঁচ. জন্মস্থান: নরসিংদীর পীরপুরে সাদেকের গ্রামের বাড়িটিও ছিল এক হিন্দু লোকের। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় নারায়ণ নামের ওই ব্যক্তিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে সেখানে নিজেরা বাড়ি তৈরি করেন। যার খতিয়ান নং- ২৯২ এবং রায়পুরা উপজেলার মৌজা নং- ২৪৯। শুধু তাই নয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে শাহাদতবরণের পর তারা আবারো এলাকায় ফিরে আসেন। অনেক হিন্দু পরিবারকে তাড়িয়ে সেখানে মসজিদ ও মাদ্রাসা তৈরি করে বিশাল মাঠ গড়ে তুলেছেন। ছয়. স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সাদেক, তার বাবা আব্দুল খালেক ও বড় ভাই আবু ফারাহ মোহাম্মদ ফারুকের ভূমিকা নিয়ে দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক সংবাদ, সাপ্তাহিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমাসহ বেশ কিছু পত্রিকা বিভিন্ন সময়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সাত. যুদ্ধাপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত সাদেক শুধু নিজের যুদ্ধাপরাধকেই আড়াল করেনি, রোটারি ইন্টারন্যাশনালের আড়ালে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীসহ অনেক মন্ত্রী-এমপির সাথেও ছবি তোলেন। আট. গত ১৬ ডিসেম্বর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত সাদেক প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করেন। এর ঘটনারও তদন্ত দাবি করেন অভিযোগকারীরা। নয়. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পদে না থাকলেও সবকিছুই চলছে তার ইশারায়। এমন কি যার বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চলছে সেই সাদেককেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত ভিসি ও ট্রেজারার অজ্ঞাত কারণে নীরব থেকে ওইসব অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। যা রাষ্ট্রের প্রোটোকল বিরোধী। এটা রাষ্ট্র অবমাননার সামিল। 

রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর কর্তৃক নিযুক্ত ভিসি প্রফেসর শাহজাহান খান এবং ট্রেজারার প্রফেসর নূরুল ইসলাম মূলত সাদেকের বাল্যবন্ধু ও ছাত্রসংঘের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন মিটিংয়ের কথা বলে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে মূলত জঙ্গিদের সাথে ধারাবাহিক গোপন বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতেই ভিসি প্রফেসর শাহজাহান খান এবং ট্রেজারার প্রফেসর নূরুল ইসলামকে উচ্চ বেতন প্রদান করা হচ্ছে। তারা সরকার বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এছাড়া সাদেকের ভুয়া অ্যামেরিটাস প্রফেসর পদের এক্সটার্নাল ছিলেন এই শাজাহান খান। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে বিশাল দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে মরিয়া। সেইসঙ্গে পরস্পরের যোগসাজসে এখনো বিদেশে অর্থ পাচার অব্যাহত রয়েছে। দশ. এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সার্টিফিকেট বাণিজ্য, জঙ্গিবাদে অর্থায়ন, বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার, দুর্নীতি-অনিয়ম, অনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ নানাভাবে দেশ ও জাতির সাথে প্রতারণা করে আসছে আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক এবং তার সঙ্গে জড়িতরা।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভাইস চ্যান্সেলর এবং ট্রেজারার নিয়োগ হলেও এখনো আর্থিক-প্রশাসনিক অনিয়ম-দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। ২৭ বছর ধরে যারা দুর্নীতি অনিয়ম এবং লুটপাট করে আসছিলেন তাদেরই তাবেদারি করছেন বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর শাজাহান খান এবং ট্রেজারার প্রফেসর নূরুল ইসলাম। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা নানাভাবে গঞ্জনার শিকার হচ্ছেন।
আবুল হাসান এম সাদেক (এনআইডি নং ৪৬০০১৭৪৪৭০), ট্রাস্ট চেয়ারম্যান জাফার সাদেক (১৯৭৯২৬৯৯৫০১০০০০৫৪), ট্রাস্ট সদস্য সালেহা খাতুন (বাড়ি নং ১৪, রোড ২৮, সেক্টর ৭, উত্তরা, ঢাকা ১২৩০) এবং এসএম ইয়াসিন আলী আয়কর ফাঁকি দিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার ও নামে-বেনামে কয়েক শতাধিক এফডিআর করেছেন। ঢাকাসহ আশেপাশে ১০০ বিঘার উপরে জমি, নামে-বেনামে ফ্ল্যাট-বাড়ি কিনে অবৈধ সম্পদের কালো পাহাড় গড়ে তুলেছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, তারা অন্তত দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণের সমপরিমাণ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ড থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এ যেন দুর্নীতির মচ্ছব। এছাড়া ট্রাস্ট বোর্ড বর্তমানে একটি অকার্যকর ট্রাস্ট বোর্ড। এই অকার্যকর ট্রাস্ট বোর্ডকে ব্যবহার করেই তারা হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, সাদেক ক্যাম্পাসে অনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ নানান অপরাধ করে যাচ্ছেন। এগার. রাজাকার সাদেকের বিরুদ্ধে ইতঃপূর্বেও একাধিক অভিযোগ দেওয়া হয় বিভিন্ন দপ্তরে। এমন কি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের জন্য গঠিত প্রসিকিউশন বিভাগ তার বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করে। এমনকি তিন তিনবার সাদেকের গ্রামের বাড়ি পীরপুরে গিয়ে সাক্ষ্য প্রমাণও গ্রহণ করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘদিন থেকে সেটি থমকে গেছে। সাদেক যুদ্ধাপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করলেও অজ্ঞাত কারণে অবৈধ অর্থের  বিনিময়ে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। 

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জহুরুল ইসলাম রোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকালের সময়কে বলেন, মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে দুই ব্যক্তি পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ দায়ের কপি আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনসম্মতভাবেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকের নামে সরকারি বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন দপ্তরে শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এগুলো ক্ষতিয়ে দেখছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। 

 

এমএসএম / এমএসএম

শেখ হাসিনার মামলায় তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তা

সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ঢাকা মো: রফিকুল ইসলামের সাথে কোর্ট রিপোর্টাস এসোসিয়েশন ঢাকার সৌজন্য সাক্ষাৎ

আনিসুল হকের সাবেক পিএস তৌফিকা করিমের ১১৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

কুষ্টিয়ায় ৬ হত্যা : ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি ১৪ অক্টোবর

আবু সাঈদ হত্যা : ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

শেখ হাসিনার মামলায় মূল তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

শেখ হাসিনার সঙ্গে তাপস-ইনু-কামালের ফোনালাপ শুনলেন ট্রাইব্যুনাল

বিসিবি সভাপ‌তির চি‌ঠির কার্যকারিতা স্থগিত, নির্বাচনে বাধা নেই

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

বিচারের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের ফয়সালা করতে হবে : ট্রাইব্যুনালে নাহিদ

৫ আগস্ট পদত্যাগ করেননি শেখ হাসিনা, দাবি স্টেট ডিফেন্সের

ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন আবু সাঈদকে বাঁচাতে আসা সেই আয়ান