ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

যেভাবে এলো ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৬-৩-২০২৩ দুপুর ৪:৫৭

দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে নারীদের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষায় অগ্রগতি, আয়বৈষম্য কমানো ও ব্যবসা করার সুযোগ সব দিক থেকেই বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। এমনকি কোনো কোনো সূচকে অন্যদেরও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের নারীর অগ্রগতির জোয়ার দৃশ্যমান। নারী আজ কৃষি, শিল্প, উৎপাদনব্যবস্থায় ও সেবা খাতসহ অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল ভুমিকা রাখছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ নির্বাহী ও উচ্চপদেও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা।

দেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পীকার, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সংসদের উপনেতা- সবাই নারী। যোগ্যতা বলে নারী হচ্ছেন উচ্চ আদালতের বিচারক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পুলিশ, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, সচিব, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা। পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে নারীরা রাখছে বিরাট অবদান।

নারীর অর্জনের ঝুলিতে দেশে-বিদেশে প্রতিবছরই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন মাইলফলক। সারাবিশ্বে নারীরা দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।বুধবার ৮ মার্চ, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ ইতিহাসের এক উজ্জ্বল দিন। লিঙ্গ-বৈষম্য দূর করা এবং নারীর অধিকার আদায়ে সোচ্চার ও সচেতন হওয়ার বিশেষ দিন । এই দিবসের সূচনা হয়েছিল শ্রমজীবী নারীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। ১৯০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রায় ১৫ হাজার নারী শ্রমিক অমানবিক কাজের অবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নেমে আসেন নিউইয়র্কের রাস্তায়। তাঁদের দাবি কাজের সময় কমাতে হবে, বেতন বাড়াতে হবে, কাজের অবস্থার উন্নতি ঘটাতে হবে। ইউক্রেনে জন্ম নেওয়া মার্কিন নারী অধিকারকর্মী ক্লারা লেমলিচ ওই আন্দোলনের  নেতৃত্ব দেন। এর পরের বছর আমেরিকার সমাজতান্ত্রিক পার্টি এই দিনটি ‘জাতীয় নারী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।

১৯১০ সালে জার্মানির সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিন এটিকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান। ডেনমার্কে ১৭টি দেশ থেকে আসা ১০০ নারী কর্মীদের সম্মেলনে এই প্রস্তাব পাস হয়। ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে নারী দিবস পালিত হয়। 
জাতিসংঘের হিসাব মতে, সেদিন ১০ লাখ নারী-পুরুষ এই র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, নারীদের জন্য ভোটাধিকার, কর্মাধিকার, পেশাগত প্রশিক্ষণ ও কর্মস্থলে লিঙ্গ-বৈষম্যের ইতি টানা।

১৯১১ থেকে ১৯১৭ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে মার্চের বিভিন্ন দিনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়ার নারীরা ১৯১৭ সালের ৮ মার্চ (জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দিনটি ছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রবল খাদ্যসংকট এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে ‘রুটি ও শান্তি’ নামে আন্দোলনে নামেন। এর কয়েকদিন পরই জারের রাজতান্ত্রিক শাসনের অবসান হয় এবং পরে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর নারীদের ভোটাধিকার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করার চল শুরু হয়। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ এই দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে দিনটি পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এবার ৮ মার্চ ডিজিটাল বিশ্বকে নিরাপদ, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সংগত করার প্রত্যয় জানিয়ে ইউএন উইম্যানের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েেেছ ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’।

এ প্রসঙ্গে সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া উপস্থাপনায় জানায়, বহুবিধ বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করে আমাদের একটি উন্নত ভবিষ্যৎ তৈরি করার সুযোগ রয়েছে। শুধু নারী ও মেয়েদের জন্য নয়, মানবিকতা ও বিশ্বের সকল জীবনের জন্য।

এমএসএম / এমএসএম

ভূমিকম্প প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক

কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের সামনে গাড়িতে আগুন

ঢাকা ছাড়লেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

ডেঙ্গুতে একদিনে ৮ মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৭৮

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী

৮০ দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে সংলাপে বসছে ইসি

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা নেই

সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা আজ

ঢাকায় ফের ভূমিকম্প

স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ ও ইন্টারনেট সংযোগে ভুটানের সঙ্গে দুই সমঝোতা

একইদিনে গণভোট করতে ইসিকে চিঠি সরকারের

ঢাকার পাশেই ভূমিকম্পের আঘাত, উৎপত্তিস্থল বাইপাইল

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস