ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন

আ’লীগের মনোনয়ন চান বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিন


সিরাজুল ইসলাম photo সিরাজুল ইসলাম
প্রকাশিত: ১-৬-২০২৩ বিকাল ৫:৩

ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হচ্ছে আজ। এর আগেই মাঠে নেমেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী চলচ্চিত্র অভিনেতাসহ অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আওয়ামী লীগের ত্যাগী-নির্যাতিত নেতা, সমাজ সেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন।

তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-১৭তে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিনকে এমপি হিসেবে পেতে চান। তারা বলছেন, অত্যন্ত সৎ, বিনয়ী ও পরোপকারী এই ব্যক্তি এমপি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত আরও শক্তিশালী হবে। দেশের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তিনি অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারবেন। বেকার সমস্যা সমাধানে তিনি অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবেন বলে তারা মনে করেন। তারা বলছেন, ওয়াকিল উদ্দিন একজন কর্মী বান্ধব নেতা। যেকোনো সময় তার সঙ্গে সরাসরি দেখা করা যায়। তিনি কর্মীদের কথা শোনেন এবং সমস্যা তৎক্ষণাৎ সমাধান করেন। বিপদে-আপদে কর্মীরা তাকে সব সময় পাশে পেয়ে থাকেন।

জানা গেছে, ছাত্রজীবন থেকেই ওয়াকিল উদ্দিন একজন সমাজ সেবক এবং ছাত্রলীগের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত কর্মী। তিনি কর্মী থেকে ধীরে ধীরে নেতা হয়ে ওঠেন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি এ আসনে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে রেখেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এবং ঢাকা মহানগর (উত্তর) শাখার সহ-সভাপতি। তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঘরে ঘরে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ওয়াকিল উদ্দিন ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে এস এস সি পাশ করার পর তিনি তেজগাঁও কলেজে ভর্তি হন। তিনি তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে গুলশান থেকে বিশাল লাঠি মিছিল নিয়ে তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় যোগ দেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ভারতে গিয়ে ট্রেনিং সম্পন্ন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে খন্ডকালীন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি তৎকালীন বৃহত্তর গুলশান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে ঢাকা মহানগর যুবলীগ বৃহত্তর গুলশান থানার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই বছরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নির্মম হত্যাণ্ডের শিকার হন। এরপর আওয়ামী লীগ করায় তার বাড়িতে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়। তাকে না পেয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। ১৯৮৮ সালে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে জনগণের ভোটে তিনি কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে বৃহত্তর ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি ১৮ নং ওয়ার্ডের কমিশনার নির্বাচিত হন। বিএনপি সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন তিনি। ‘৯৩-৯৫ সালে সরকারের রোষানলে পড়েন তিনি। তার বিরুদ্ধে ২৫টি রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়। ‘৯৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি বৃহত্তর গুলশান থানা আওয়ামী লীগের সফল সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। তিনি সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করেন। ২০০৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর গুলশান থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১২-২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগ করে। তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে সেসময় ঢাকা-১৭ সংসদীয় এলাকায় বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিন সামাজিক সংগঠনেও সম্পৃক্ত। সমাজসেবক হিসেবেও তার সুখ্যাতি রয়েছে। তিনি স্বদেশ প্রপার্টিস লিমিটেড ও স্বদেশ গ্লোবাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বারিধারা এগ্রো এ্যান্ড ফুড প্রসেসিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক। 

সামাজিক কর্মকাণ্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিনের অবদান অসামান্য। ঢাকা-১৭ সংসদীয় এলাকার প্রতিটি পাড়া মহল্লায় অবকাঠামো উন্নয়ন, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা প্রতিষ্ঠাসহ গরীব-দুঃখীদের আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা ও কর্ম-সংস্থানের ব্যবস্থা করে জনগণের আস্থা ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি হিসাবে তার সুনাম রয়েছে। ১৯৮৩-৮৮ সাল পর্যন্ত খিলক্ষেত থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যাবস্থা, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগসহ ১৫টি পানির পাম্প স্থাপন করেন। একজন সফল কমিশনার হিসাবে জনগণের দেওয়া দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে পালন করেন তিনি। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগের প্রতি শতভাগ আনুগত্য থেকে ত্যাগ স্বীকার করে এখন পর্যন্ত দলের হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ কারণে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। এবার দল তাকে নিরাশ করবে না বলে তিনি আশা করেন। তারপরও দলের হাইকমান্ড যার প্রতি আস্থা রাখবে, তার হয়েই তিনি কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট ও ভাসানটেক থানা এবং ক্যান্টনমেন্ট ইউনিয়ন নিয়ে ঢাকা-১৭ আসন। এটি দেশের ভিআইপি আসন হিসেবে খ্যাত। এখানে কূটনৈতিক এলাকা এবং সেনানিবাসের অবস্থান হওয়ায় আসনটি রাজনীতিবিদদের কাছে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। এমপি আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। 

এমএসএম / এমএসএম

রুমিন ফারহানাসহ যে কোনো নারীর প্রতি স্লাটশেমিংয়ের বিরুদ্ধে হাসনাত

শোকজের জবাব দেবেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান

কাঠামোগত পরিবর্তন না এলে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করব: নাহিদ ইসলাম

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে ফিরোজায় পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী

পাঞ্জাবি পরা একজন আমাকে প্রথমে ধাক্কা দিয়েছেন : রুমিন ফারহানা

বিএনপির আ.লীগ বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা : হাসনাত আবদুল্লাহ

রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে ‘দখলের’ : মির্জা ফখরুল

নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদের আইনী স্বীকৃতি দিতে হবে, সংস্কার না করে পুর্বের নিয়মে নির্বাচন হতে পরে না-পীর সাহের চরমোনাই

যারা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র ফিরবে না: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সতর্ক থাকতে বললেন গয়েশ্বর

এনসিপির নেতার কথোপকথন ভাইরালঃ ‘দেখো আরও পাঁচ লাখ নিতে পারো কি না’

দল নিবন্ধনের প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এনসিপিসহ ১৬ দল