ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের ছয় বছর


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫-৮-২০২৩ দুপুর ১:১৭

মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধন শুরু করলে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত অতিক্রম করে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা। এর আগেও কয়েক দফায় আসা রোহিঙ্গা মিলে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে এখন সাড়ে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর বাস। 

২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ ও বাড়িঘর পুড়িয়ে রাজ্যজুড়ে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি করেছিল মিয়ানমার বাহিনী। প্রাণ বাঁচাতে নাফ নদ ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় এসব রোহিঙ্গা। পরে তাদের ঠাঁই হয় উখিয়া-টেকনাফের পাহাড়ের ৩১টি ক্যাম্পে।

এদিকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের ছয় বছরে তাদের প্রত্যাবাসনের কয়েক দফা উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমারের টালবাহানা ও রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন শর্ত-অজুহাতে বার বার আটকে যায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। ২০১৮ সালে প্রত্যাবাসনের নির্ধারিত দিনে সব ধরনের প্রস্তুতির পরও তালিকায় নাম থাকা রোহিঙ্গারা হঠাৎ মত পাল্টালে উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। পরের বছর ২০১৯ সালে প্রত্যাবাসনের দ্বিতীয় উদ্যোগও বিভিন্ন অজুহাতে ভেস্তে গেছে। তখন রোহিঙ্গারা দেশে ফিরতে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিল।

এরপর সবশেষ এ বছরের শুরুর দিকেও বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসনের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করে। এর আওতায় ১১৪০ জন রোহিঙ্গাকে প্রথম পর্যায়ে প্রত্যাবাসনে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এতে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিসহ ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের রাখাইনে প্রস্তুত করা গ্রামগুলো পরিদর্শনেও যায়। তবে শেষ মুহূর্তে ওই প্রক্রিয়াও ভণ্ডুল হয়।

কুতুপালং মধুরছরার এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড ও বিশৃঙ্খলায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাত রয়েছে বলে আমরা শুনেছি। ইয়াবা ব্যবসায় যুক্ত রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করছে। আমাদের দাবি যত দ্রুত সম্ভব মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন, মিয়ানমারের বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইন বাতিল, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এছাড়া প্রত্যাবাসনের পর আইডিপি ক্যাম্পের পরিবর্তে নিজস্ব গ্রামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ ও বসবাসের পরিবেশ হলে; আমরা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে প্রস্তুত।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দাবিতে সমাবেশ করেছে কক্সবাজারবাসী।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। তবে এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনো আশার আলো দেখছি না।

এমএসএম / এমএসএম

ডেঙ্গুতে একদিনে ৮ মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৭৮

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী

৮০ দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে সংলাপে বসছে ইসি

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা নেই

সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা আজ

ঢাকায় ফের ভূমিকম্প

স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ ও ইন্টারনেট সংযোগে ভুটানের সঙ্গে দুই সমঝোতা

একইদিনে গণভোট করতে ইসিকে চিঠি সরকারের

ঢাকার পাশেই ভূমিকম্পের আঘাত, উৎপত্তিস্থল বাইপাইল

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে

সশস্ত্র বাহিনীকে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান ড. ইউনূসের