মৌ-পিয়াসা আটকের পর তালা ঝুলছে অভিজাত এলাকার ম্যাসাজ-বিউটি পার্লারে

বিতর্কিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ গ্রেপ্তাররের পর রাজধানীর গুলশান-বনানীর অধিকাংশ ম্যাসাজ ও বিউটি পার্লারে এখন তালা ঝুলছে। এসব ম্যাসাজ ও বিউটি পার্লারে যারা কাজ করেন তারা বেশিরভাগই নারী। তারা পুরুষদের শরীর ম্যাসাজসহ অনৈতিক কাজে জড়িত।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার হাতে রয়েছে গুলশান-বনানী এলাকার ম্যাসাজ ও বিউটি পার্লারের তালিকা। এর মধ্যে কেবল গুলশানেই এমন ৩০টি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যার ১০টিতে অনৈতিক কাজ হয়। এসব অনৈতিক কাজে থাই নাগরিকসহ বিদেশিরাও জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই এখন তালা ঝুলছে। ভবনগুলোর নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, লকডাউনেই প্রতিষ্ঠানের মূল গেট বন্ধ করে ভেতরে তাদের কাজ চলত। তবে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিষ্ঠানটির মালিক, কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতা কেউই আসছেন না।
অনৈতিক কাজ করা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- গুলশান-বনানী রোডের একটি ভবনের ১১ তলার একটি ‘হেলথ ক্লাব অ্যান্ড স্পা’, যাতে ১৬ জন স্টাফ রয়েছেন। এরমধ্যে ১০ জনই মহিলা, যাদের দিয়ে পুরুষদের শরীর ম্যাসাজসহ অনৈতিক কাজ করা হয়। গুলশান-২-এর ৪১নং সড়কের একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকা ‘স্পা ম্যাসাজ পার্লার’-এ ৯ জন স্টাফের ৮ জনই নারী, যারা অনৈতিক কাজে জড়িত।
নাম রয়েছে গুলশান-২-এর ৩৫নং সড়কের একটি ভবনের চতুর্থ তলার ‘রোজ স্পা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের, যেখানে ৮ জন স্টাফের ৫ জনই মহিলা। গুলশান-২-এর ৪১নং সড়কের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ‘স্পা এন্ড সেলুন’-এর নাম রয়েছে তালিকায়। এর মালিক একজন থাই নাগরিক, যেখানে ১৬ জন স্টাফের মধ্যে ১৩ জনই মহিলা। মালিকসহ এখানকার চারজনই থাই নাগরিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তালিকায় আরো নাম রয়েছে গুলশান-১-এর একটি টাওয়ারের ‘হেলথ ক্লাব স্পা এন্ড সেলুন’-এর। যেখানে ৬ জন স্টাফের ৪ জনই মহিলা। গুলশান-১-এর আরেকটি টাওয়ারের লিফট-২০-এর ‘রেসিডেন্স সেলুন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে কেবল দুজন পুরুষ আছে। এখানে বহিরাগত মহিলাদের এনে অনৈতিক কাজ হয় বলে উল্লেখ রয়েছে।
গুলশান-১-এর ১৬নং সড়কের একটি ভবনের পাঁচতলায় ‘শাইনিং স্পা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ৯জন স্টাফ রয়েছে, যার মধ্যে ৬ জন মহিলা ও ৩জন পুরুষ। গুলশান-২-এর ৪৪নং সড়কের একটি ভবনের চতুর্থ তলায় ‘থাই স্পা’ নামেেএকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাতে ৭ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ কাজ করে। গুলশান-১-এর ১৩১নং সড়কের একটি বাড়ির চতুর্থ তলার ‘বিউটি কেয়ার’-এর নামও রয়েছে তালিকায়, যেখানে ৬ জন পুরুষ ও ৮ জন মহিলা কাজ করে থাকেন।
কেবল স্পা সেন্টার ও বিউটি পার্লারই নয়, ভয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে অনেক পার্টি হাউস ও সিসা লাউঞ্জের নিয়ন্ত্রকরা।
জানা গেছে, কেবল বনানীর ১১ নম্বর সড়ক ঘিরেই ১৩টি সিসা লাউঞ্জ গড়ে ওঠে। এদের কয়েকটি অবৈধভাবে মাদক কারবারেও জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠানের পাঁচটির মূল ফটকে তালা ঝুলছে। এরমধ্যে রয়েছে- ব্লক-ডি-এর একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি, ব্লক-ই-এর একটি, ব্লক-এইচ-এর একটি। ভবন সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত মডেলরা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই এই লাউঞ্জগুলো বন্ধ। সেখানে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথাও স্বীকার করেন তারা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, ম্যাসাজ পার্লার, বিউটি পার্লার, সিসা লাউঞ্জ বা পার্টি হাউস; যে নামই আসুক না কেন, কোনো অনৈতিক বা অপরাধমূলক কাজের খবর পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। যারাই জড়িত থাকুক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অভিযানের মাধ্যমে অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জামান / জামান

শেখ হাসিনার মামলায় মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্য শুরু

শেখ হাসিনার মামলায় মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্য শুরু

সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

চার বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত চলমান : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন

চার বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত চলমান : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন

বিচারপতি আক্তারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি

জাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ২য় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে সিজারের রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনব না : হাইকোর্ট

‘র্যাবের বন্দিশালায় থাকা ব্যারিস্টার আরমানের মুক্তির চেষ্টা করেছি’

জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
