পার্থ গোপালকে জামিন দেয়ায় ক্ষমা চাইলেন বিচারক
দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিককে জামিন দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে হাইকোর্টের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন। একইসঙ্গে এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতিও চেয়েছেন তিনি।
হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে লিখিত ব্যাখ্যা দেন বিচারক ইকবাল হোসেন। রোববার (২২ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
লিখিত ব্যাখ্যায় বলা হয়, ফৌজদারি আপিল নং (১০৫৩৪/১৯) মামলায় গত বছরের ২ নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে পার্থ গোপাল বণিকের মামলার বিচার ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্নের জন্য জজ ইকবাল হোসেনকে নির্দেশ দেন। এই আদেশ যথাসময়ে না পৌঁছায় ছয় মাসের সময়সীমা অতিক্রম হয়েছে বলে আসামির আইনজীবী বিশেষ আদালতকে জানান।
এছাড়া ফৌজদারি রিভিশন (১৪৫/২১) মামলায় গত ২৫ জানুয়ারি অপর এক আদেশে মামলাটির বিচার এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে বলা হয়। গত ১০ মার্চ এই আদেশের অনুলিপি পান। এই আদেশে উল্লিখিত সময়সীমার মেয়াদ এখনো রয়েছে। বিশেষ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন ব্যাখ্যায় বলেছেন, তিনি হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালনে সদাসচেষ্ট রয়েছেন।
এর আগে গত ১৭ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের ভার্চুয়াল আদালত ১৫ জুলাই পর্যন্ত পার্থের জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর গত ২৮ জুন পার্থ গোপাল বণিকের জামিনের রায়ের বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করেন হাইকোর্ট।
দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানান, গত বছরের ৪ নভেম্বর পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। একই বছরের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ডিআইজি পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এতে মোট ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। রাজধানীর নর্থ রোডের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল দুদক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, পার্থ গোপাল বণিকের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৮০ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। অর্থাৎ তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮০ লাখ টাকা উপার্জন করে পাচারের উদ্দেশ্যে বাসায় লুকিয়ে রেখেছেন বলে প্রমাণিত হয়।
এতে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালে তিনি ৩১ হাজার ২৫০ টাকা বেতন স্কেলে কারা উপ-মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তার এই বেতন স্কেলের সঙ্গে এত টাকা অর্থ উপার্জন অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তা উত্তোলন করেননি বা তিনি কখনো এই অর্থ আয়কর বিবরণীতেও প্রদর্শন করেননি, যা দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ গোপাল বণিককে। ঘুষ ও দুর্নীতির কয়েক লাখ নগদ টাকা তার বাসায় রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে এদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেপ্তারের দিন থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
প্রীতি / প্রীতি
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : পরিবারসহ হাসিনার মামলার রায় ১ ডিসেম্বর
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টের রায় ৪ ডিসেম্বর
শুধু আ.লীগ করার কারণে যেন বিচার না হয় : ট্রাইব্যুনালকে আমির হোসেন
২৭ নভেম্বর ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের রায় ২৭ নভেম্বর
গুমের মামলায় শেখ হাসিনার হয়ে লড়বেন জেডআই খান পান্না
মানবতাবিরোধী অপরাধ : ট্রাইব্যুনালে ১৩ সেনা কর্মকর্তা
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে : আইন উপদেষ্টা
সাকিব আল হাসানকে দুদকে তলব
মেজর সিনহা হত্যা : ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ
রাজসাক্ষী আবজালুলের জেরা ঘিরে ট্রাইব্যুনালে হট্টগোল
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল