আন্দোলন দমনে পুলিশ প্রবিধান অনুসরণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেছেন হাইকোর্ট। নির্দেশনায় একইসঙ্গে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিক্ষোভকারী বা আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রিটটি খারিজ করে রোববার (৪ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দেন।
আইনজীবীরা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি (লাইভ রাউন্ড) না চালাতে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কথিত আটক’ ছয় সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে,আন্দোলন দমনে পুলিশকে পিআরবি অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তারা জানান, পিআরবিতে বলা আছে, গুলি করার আগে পুলিশকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। জীবন রক্ষার্থে সর্বশেষ ধাপ হিসেবে পুলিশ গুলি করতে পারবেন। তবে নির্বিচারে গুলি করা যাবে না।
এর আগে রিট আবেদনটি রোববারের কার্যতালিকার ১০ নম্বর ক্রমিকে বিষয়টি (ফর অর্ডার) আদেশের জন্য ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানি হয়।
এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ওইদিনই আইনজীবীরা বলছেন, ‘আমাদের মনে এখনো প্রশ্ন রয়েছে, কেন ও কোন ক্ষমতার অধীনে তাদের (ছয় সমন্বয়ক) এত দিন ধরে রাখা হলো।
নিরাপত্তা হেফাজত বলতে কী বোঝানো হয়েছে- এখনো রয়েছে। ছয়দিন ধরে ছয়জন সমন্বয়ককে তাদের কোন ক্ষমতায় ও আইনের বলে ধরা রাখা হয়েছিল-এটা আমাদের পুরো জাতির জানা দরকার। তাদের জীবনের ছয়দিন যেভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, কারা এটা করেছে—তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত ও জবাবদিহি করা উচিত।
এর আগে ২৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী এ রিট করেন। তারা হলেন- আইনজীবী মনজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি।
রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রুলে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি তাজা গুলির ব্যবহার কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাজা গুলি ব্যবহার না করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে তথাকথিত নিরাপত্তার নামে হেফাজতে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দ্রুত মুক্তি দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রিটে সে মর্মেও রুল চাওয়া হয়েছে।
২৯ জুলাই ও ৩০ জুলাই এ রিটের ওপর শুনানি হয়। গত ৩১ জুলাই রিটটি আদেশের জন্য বেঞ্চটির কার্যতালিকায় ওঠে। তবে বেঞ্চের একজন বিচারপতি অসুস্থতার কারণে ছুটিতে থাকায় সেদিন দ্বৈত বেঞ্চ বসেনি। একই কারণে গত বৃহস্পতিবার দ্বৈত বেঞ্চ বসেনি। তাই শুনানি হয়নি।
T.A.S / T.A.S
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের রায় ২৭ নভেম্বর
গুমের মামলায় শেখ হাসিনার হয়ে লড়বেন জেডআই খান পান্না
মানবতাবিরোধী অপরাধ : ট্রাইব্যুনালে ১৩ সেনা কর্মকর্তা
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে : আইন উপদেষ্টা
সাকিব আল হাসানকে দুদকে তলব
মেজর সিনহা হত্যা : ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ
রাজসাক্ষী আবজালুলের জেরা ঘিরে ট্রাইব্যুনালে হট্টগোল
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল
‘ওসি সায়েদ ও এএসআই বিশ্বজিৎ ছয়টি মরদেহ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেন’
ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যাবে হাসিনার রায়ের কপি
৫ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও সেনা-বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা