চেয়ারম্যানকে বরখাস্তসহ ৯ দাবি এনবিআর কর্মচারীদের
বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ও প্রথম সচিব (কর প্রশাসন) মো. শাহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সুবিধাবাদী কর্মকর্তাদের বরখাস্ত এবং প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে না আনাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মচারীরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এক সংবাদ বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০তম-২০তম গ্রেডের বৈষম্য বিরোধী সব কর্মচারীরা এসব দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে এনবিআরের এক কর্মচারী সকালের সময়কে বলেন, আমাদের ৯ দফা দাবি অবিলম্বে পূরণ করতে হবে। অন্যথায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সব বৈষম্যবিরোধী কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ, কর্মবিরতি, কলম বিরতি, প্রটোকল পালনে বিরত থাকা থেকে শুরু করে কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
কর্মচারীরা বলছেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা বৈষম্যবিরোধী কর্মচারীরা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা, পরিশ্রম এবং সাধনা দিয়ে রাষ্ট্রের মূল কোষাগার তথা রাজস্ব ভাণ্ডারে রাজস্ব আদায়ে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রাজস্ব বোর্ডের প্রাণস্পন্দন এবং শক্তিশালী হাত আমরা কর্মচারীরা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, স্বৈরাচারী শাসকের ঘনিষ্ঠ সহচর এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ও প্রথম সচিব (কর প্রশাসন) মো. শাহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সুবিধাবাদী এবং কার্যত স্বৈরাচারী কর্মকর্তারা বছরের পর বছর আমাদেরকে চরমমাত্রায় ভীতি প্রদর্শন করে নিয়োগে অনিয়ম, বদলি বাণিজ্য, পদায়ন বাণিজ্য, পদোন্নতি বাণিজ্যসহ অবসরকালীন সুবিধার মতো ক্ষেত্রগুলোতে স্বেচ্ছাচারীত্বের এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। নিজেদের ব্যক্তিগত হীন স্বার্থ বছরের পর বছর ধরে পরিপূর্ণ করে চলেছে। আমাদের কর্মচারীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে তথা দেশকে বাঁচাতে দাবিগুলো বিবেচনা করার আবেদন করেছেন এনবিআরের কর্মচারীরা।
দাবিগুলো হলো
১। প্রশাসন ক্যাডার থেকে কোনো কর্মকর্তা প্রেষণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পদায়ন করা যাবে না।
২। স্বৈরাচারী শাসকের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে অবিলম্বে পদ থেকে বরখাস্ত করে আয়কর/কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ক্যাডার থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে হবে।
৩। অবিলম্বে স্বৈরাচারী চেয়ারম্যানের দোসর এবং প্রিয়পাত্র প্রথম সচিব (কর প্রশাসন) মো. শাহিদুজ্জামানকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করে কর ক্যাডারের কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে।
৪। দুই বছর পর পর বদলি বাণিজ্য বন্ধ করে আয়কর আইন-২০২৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং আয়কর আদায়ের স্বার্থে অতীতের মতো রাজস্ব বান্ধব এবং প্রযোজ্যতা সাপেক্ষে বদলি করতে হবে।
৫। অবৈধ নিয়োগ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
৬। সব কর্মচারীদের পদায়ন কর্মচারীদের জন্য প্রণীত জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা ও আইন অনুযায়ী করতে হবে।
৭। আয়কর অনুবিভাগের ১০তম-২০তম গ্রেডের সব শূন্য পদে পদোন্নতি দিতে হবে এবং সব পদ পদোন্নতিযোগ্য হতে হবে, কোনো পদ ব্লক রাখা যাবে না।
৮। কর্মচারীদের নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে পরামর্শ করে কর্মচারীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সিদ্বান্ত গ্রহণ করতে হবে, অন্যথায় কোনো সিদ্ধান্ত মানা হবে না।
৯। সর্বশেষে আয়কর অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের সিদ্ধান্ত শুধু আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা নেবে।
T.A.S / T.A.S
এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে নিচের সড়কে গাড়ি, প্রাণ গেল পথচারীর
হাসিনা-কামালকে ফিরিয়ে দিতে ভারতকে চিঠি দিতে যাচ্ছে সরকার
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু
নির্বাচনের আগে ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ
আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৮৮
নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার : প্রধান উপদেষ্টা
সাংবাদিক সোহেলের সঙ্গে ব্যক্তিগত বা পেশাগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই
নির্বাচন সফল করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাই বড়: সিইসি
দেশে ফিরেছেন আলী রীয়াজ
বিজয় দিবসে অস্থিরতার আশঙ্কা নেই, এবারও প্যারেড হচ্ছে না