৪০ পার হলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে
চল্লিশের পরে অবাঞ্ছিত ওজন বৃদ্ধি নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। এই সময় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহের সবকিছু কিছুটা নরম হতে শুরু করে এবং চামড়া ঝুলতে শুরু করে। জামাকাপড় হঠাৎ করে খুব ছোট হয়ে গেছে এবং শরীরের অযাচিত মেদ এবং চর্বির ভাঁজগুলো ফুটে উঠছে। চল্লিশোর্ধ বেশিরভাগ মানুষের সাথেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। ধীর গতির বিপাক এবং কম ব্যায়ামের কারণেই এই সমস্যা হয়ে থাকে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাকে একধাপ এগিয়ে রাখে তাদের হরমোন। তাদের এই সমস্যা মূলত রজোবন্ধের ঠিক আগের বছরগুলো থেকেই শুরু হয়। এসময় পেশির অনুপাত অপ্রত্যাশিত ভাবে পরিবর্তিত হয়। অন্যদিকে আপনার দেহে পেশি যত কম হবে তত কম মেদ পুড়বে।
ইন্টারনেট, পত্রপত্রিকার সূত্রে ওজন কমানোর হাজারটা পদ্ধতির হদিশ আমাদের সবার কাছেই আছে৷ কিন্তু ঠিক তার কোনটা আপনার শরীরে কাজে দেবে সেটা বোঝা কঠিন৷ তাই সবচেয়ে ভালো হয় একজন ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিতে পারলে৷ আপনার রোজের কাজকর্মে কতটা ক্যালোরি খরচ হয়, দৈনন্দিন রুটিন ঠিক কেমন, সে সব হিসেব করে তিনি একটা খাদ্যতালিকা ঠিক করে দেবেন৷
এই সময় থেকে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়, হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে, সে সব মাথায় রেখে রোজের প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণটা ঠিক করতে হবে৷
৪০-এর আগে নিয়মিত হাঁটলে বা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ় করলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে৷ ৪০ বছর বয়সের পর কিন্তু সেটুকুতে হবে না৷ তিন ধরনের ব্যায়াম আপনার রোজের শরীরচর্চার রুটিনে রাখতেই হবে, তবেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন, মাসলের টোনিং হবে এবং আপনি ভিতর থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন৷ তাই কার্ডিওর পাশাপাশি ওয়েট ট্রেনিং আর স্ট্রেচিংও করতে হবে নিয়ম করে৷ সবচেয়ে বড়ো কথা, হাতে-নাতে ফল পাচ্ছেন না বলে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না৷ এই বয়সে এসে চট করে রেজ়াল্ট দেখতে পাবেন না, ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে৷
ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে কিছু নিয়ম মেনে চলুন। রোজের জীবনধারায় আনুন পরিবর্তন। তবেই মেদ ঝরবে। সুস্থ থাকবে শরীর।
সাধারণত ৪০-এর পরে হজমশক্তি দুর্বল হতে থাকে। সঙ্গে আসে হরমোনের কিছু পরিবর্তন। ফলে এত দিন যে ভাবে চলত শরীর, এখন আর সে ভাবে চলে না। কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার এই সময় থেকে। যাতে হজমশক্তি কমলেও, তার প্রভাব না পড়ে কর্মক্ষমতার উপর।
দিনের বেলা অপরিমিত চা-কফি বা চিনিমিশ্রিত শরবত/ প্যাকেটজাত পানীয়/ নরম পানীয় খাওয়া বন্ধ করতে হবে৷ তাজা শাকসবজি-ফলমূল খাওয়ার উপর জোর দিন৷ ময়দা, সাদা ভাতের বদলে লাল চালের ভাত, ভুষিসমেত আটা, রোলড ওটসের মতো জটিল কার্বোহাইড্রেট রাখুন খাদ্যতালিকায়।
রান্নায় তেল-মশলার পরিমাণ কমান, ভাজাভুজি বা মিষ্টিও চলবে না৷ তবে ডায়েটিশিয়ান অনুমতি দিলে শুকনো ফল ও বাদাম খেতে পারেন৷ জনপ্রিয় ডায়েট টেকনিক মানার চেয়ে সুস্থ জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ করার দিকে বেশি জোর দিন, কারণ বাকি জীবনটা আপনাকে সেটাই মেনে চলতে হবে ।
খাদ্যে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ান। তাতে হজমপ্রক্রিয়ার গতি বাড়ে। খাবার ভাল হলে মেদ কম জমে শরীরে। ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
সারাদিনের খাবারেই মন দিতে হবে। তবে প্রাতরাশে বিশেষ ভাবে যত্ন নেওয়া জরুরি। ভরপুর প্রাতরাশ সকাল থেকে কাজের শক্তি জোগায়, আবার সারাদিনের খাবার হজম করতেও সাহায্য করে।
গ্রিন টি আপনার বিপাকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে এবং এটি প্রাকৃতিক ফ্যাট বার্নারের কাজ করে। এছাড়াও এটি আপনার দেহের আর্দ্রতার ভারসাম্য খুব সুন্দরভাবে বজায় রাখতে সহায়তা করে।
রোজ কিছু ক্ষণ হাঁটুন। কাজ আর সংসারের চাপে নিয়মিত ব্যায়াম করার সময় না-ই হতে পারে। তবে কিছু ক্ষণ হাঁটাচলা করলেও কিছুটা শরীরচর্চা হয়।
সপ্তাহে তিন দিন ব্যায়াম করুন। তাতে শুধু ওজন কমবে না, সঙ্গে হজমশক্তি বাড়বে। সুস্থ থাকবে মনও। সব মিলে চেহারা সুন্দর দেখাবে।
পেশী যত বেশি হবে, তত বেশি চর্বি পুড়বে। এমনকি সেটা ঘটবে বিশ্রামের সময়ও। এর জন্য প্রয়োজন শক্তি প্রশিক্ষণ। আরে শক্তি প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজন জিমে যাওয়া। জিমে গিয়ে শক্তি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কার্ডিও নিয়মিত করতে হবে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে শক্তি প্রশিক্ষণ দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর।
প্রীতি / প্রীতি
শীতে এসি যত্নে রাখার কৌশল জানেন তো?
সুজির পুডিং তৈরির সহজ রেসিপি জেনে নিন
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে যে ফলগুলো খাবেন
ঘুমের আগে আদা চা খাবেন যে কারণে
জীবনে সুখী হওয়ার জন্য যে ৪ কাজ করতে হবে
অতিরিক্ত হাসিই হতে পারে মৃত্যুর কারণ!
শীতের আগেই হাত খসখসে হয়ে যাচ্ছে?
পেট ভালো রাখতে আপনাকে যা করতে হবে
ডিমের বিস্কুট পিঠা তৈরির রেসিপি জেনে নিন
মাছের ভর্তা তৈরির রেসিপি জেনে নিন
লিভার ভালো রাখতে যে তিনটি ফল খাবেন
শুরু হচ্ছে রিয়েলিটিশো ‘সিক্রেট বিউটি এক্সপার্ট’ সিজন–২