ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

মিশরের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহুর অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’, জর্ডান-কাতারের কড়া জবাব


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪-৯-২০২৪ দুপুর ১:৪১

মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে মিশরের বিরুদ্ধে করা ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জর্ডান এবং কাতার। নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছিলেন, মিশর গাজা যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টায় বাধা দিচ্ছে, যা বর্তমান সংঘাতের সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি মিশরকে অভিযুক্ত করে বলেন, দেশটি গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করছে। তার দাবি, মিশর ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে, যা ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতকে আরও দীর্ঘায়িত করছে।

জর্ডান ও কাতারের প্রতিক্রিয়া:
নেতানিয়াহুর এই অভিযোগের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জর্ডান ও কাতার উভয়ই মিশরের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মিশর বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নেতানিয়াহুর এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ কেবল এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে।’

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে মিশরের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মিশর সবসময় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। নেতানিয়াহুর এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই, এবং এটি কেবলমাত্র সংঘাতের সমাধানকে জটিল করে তুলবে।’

জর্ডান এবং কাতারের এই সমর্থন মিশরের জন্য একটি শক্তিশালী কূটনৈতিক বার্তা, যা প্রমাণ করে মিশর এখনও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রচেষ্টার একটি মূল অংশীদার। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের অভিযোগের মাধ্যমে ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে তার নিজের কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করতে চাচ্ছে। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে এ অঞ্চলের শান্তি প্রচেষ্টাকে বিপর্যস্ত করতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় জর্ডান, কাতার এবং মিশরসহ অন্যান্য দেশের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলে চলমান সংঘাতের সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

সার্বিক প্রেক্ষাপট:
মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং সংবেদনশীল। নেতানিয়াহুর এ ধরনের মন্তব্য শুধু রাজনৈতিক উত্তেজনাই বাড়িয়ে তুলবে না, বরং তা এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। মিশর, জর্ডান, কাতার, এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর যৌথ প্রচেষ্টা চলমান সংকট থেকে উত্তরণের একটি উপায় হতে পারে। তবে এজন্য প্রয়োজন পারস্পরিক আস্থা এবং সহযোগিতার একটি শক্তিশালী ভিত্তি। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

T.A.S / T.A.S

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যেই’ সম্ভব : ট্রাম্প

গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনা থমকে গেছে

বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

গাজায় খাবারের অপেক্ষায় দাঁড়ানো ৩৪ জনসহ আরও ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

নেতানিয়াহুকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে: সাবেক ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী

এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় রহস্যের ইঙ্গিত ককপিট কথোপকথনে

পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

দিল্লিতে ধসে পড়ল চারতলা ভবন, বহু মানুষ আটকে পড়ার শঙ্কা

দুই মাসে ৬ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত

কিছু বিষয় অমীমাংসিত রেখেই শেষ হলো দ্বিতীয় দিনের আলোচনা