মহাকাশে রকেট পাঠাল মাস্কের স্পেসএক্স, দাঁড়িয়ে দেখলেন ট্রাম্প
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে পরবর্তী প্রজন্মের স্টারশিপ রকেট পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা স্পেস এক্স। টেক্সাসের ব্রাউনসভিলের বোকা চিকা লঞ্চপ্যাড থেকে এ রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
মার্কিন নির্বাচনের দ্বিতীয়বার জয় পাওয়া রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ইলন মাস্কের। নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরকারেও তার অংশগ্রহণ চোখে পড়ছে। এবার ট্রাম্পকে সঙ্গে নিয়ে তার উপস্থিতিতে মহাকাশে রকেট উৎক্ষেপণ করেছে স্পেসএক্স।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেসএক্স তাদের রকেটের ষষ্ঠ পরীক্ষা চালিয়েছে। এ পরীক্ষা চালানোর সময় যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজেও বিষয়গুলো দেখেছেন। টেক্সাসের ব্রাউনসভিলের বোকা চিকা উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে এটিকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রথম পরিকল্পনা অনুসারে এটিকে পৃথিবীতে আবার ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা ছিল। পঞ্চমবার চালানো পরীক্ষায় স্পেসএক্স এ ধরনের পরীক্ষায় সাফল্যও পেয়েছে। তবে কারিগরি কারণে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তারা।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, স্পেসএক্স বুস্টারটি ধরার পরিকল্পনা বাদ দিয়েছে। ফলে এটিকে সমুদ্রে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি মেক্সিকো উপসাগরে পড়েছে।
প্রায় এক দশক আগে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স স্টারশিপ রকেট তৈরির প্রস্তাব করেছে। তাদের দাবি, এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং গতিময় যান। এটি এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে নজিরবিহীন সময়ে পাড়ি দিতে পারবে। এছাড়া প্রতি যাত্রায় এটি এক হাজারের বেশি যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, স্টারশিপে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে টরন্টো যেতে ২৪ মিনিট সময় লাগবে। এছাড়া লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক ২৯ মিনিটে, সানফ্রান্সিসকো থেকে নয়াদিল্লি ৩০ মিনিটে এবং নিউইয়র্ক থেকে সাংহাই ৩৯ মিনিটে পাড়ি দেওয়া যাবে।
মাস্ক বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারলে ব্যবসায়ী ও ভ্রমণপিপাসুদের অনেক সময় বেঁচে যাবে। তবে এ ভ্রমণের পেছনে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হবে।
T.A.S / T.A.S