কিডনি ডায়ালাইসিসের রাসায়নিকে তৈরি হচ্ছে ‘গোলাপজল’ ও ‘কেওড়া জল’
বাজারে বিক্রি হওয়া গোলাপজল ও কেওড়া জল নামক সুগন্ধি পণ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য ব্যবহৃত অননুমোদিত রাসায়নিক! সম্প্রতি চালানো এক অভিযানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে, যা সাধারণ মানুষসহ খাদ্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) মোবাইল কোর্টের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এসব সুগন্ধি খাদ্যে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে, কিন্তু এর মধ্যে মানব শরীরের জন্য বিপজ্জনক রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত রয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তা আইন ও স্বাস্থ্য বিধির বিরুদ্ধে হলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব পণ্যের লেবেলে ‘খাবার উপযোগী’, ‘ফুড গ্রেড’, ‘খাদ্য আইন অনুসরণ করে প্রস্তুতকৃত’ এবং ‘ভেজিটেরিয়ান খাদ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে বাজারজাত ও বিক্রি করা হচ্ছে; যা সুপষ্ট আইনের লঙ্ঘন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গোলাপজল এবং কেওড়া জল নামের এই সুগন্ধি পণ্যগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ‘বিশুদ্ধ পানি’ এবং ‘গোলাপ/কেওড়া ফ্লেভার’ বা শুধুমাত্র ‘ফ্লেভার’ হিসেবে উপাদান উল্লেখ করা হলেও, আসলে এর উপাদান ঠিক কী তা স্পষ্ট নয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এই সুগন্ধি প্রস্তুত করতে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে, যা খাদ্যের জন্য অনুমোদিত নয়।
মোবাইল কোর্টের অভিযানে এই পণ্যের উৎপাদনকারীদের কারখানায় পাওয়া যায়, গোলাপজল ও কেওড়া জল প্রস্তুত করতে এমন রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে, যা কিডনি ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত হয়। এটি একদিকে যেমন মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে, অন্যদিকে খাদ্য আইনের কঠোর লঙ্ঘন ঘটাচ্ছে।
নিরাপদ খাদ্য আইন লঙ্ঘন
খাদ্য সংযোজন দ্রব্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য সুগন্ধির লেবেলে যদি ‘অনুমোদিত প্রাকৃতিক’, ‘অনুমোদিত কৃত্রিম’ বা ‘অনুমোদিত প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম’ সুগন্ধি হিসেবে উল্লেখ না করা হয় এবং কৃত্রিম সুগন্ধির ক্ষেত্রে ব্যবহার হওয়া উপাদানের সাধারণ নাম ও ইনডেক্স (আইএনএস) নম্বর উল্লেখ না করা হয়, তবে তা নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর ২৭ ও ৩২ ধারার কঠোর লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে বলে জানিয়েছে বিএফএসএ।
এক্ষেত্রে, খাদ্য ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তারা যেন গোলাপজল বা কেওড়া জল নামক সুগন্ধি পণ্যগুলো যেকোনো অবস্থাতেই খাদ্যে ব্যবহার না করে। এই ধরনের পণ্যের উৎপাদন এবং বিপণন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সরকারি সংস্থা বিএফএসএ।
খাদ্য প্রস্তুতকারকদের জন্য সতর্কতা
সব খাদ্য প্রস্তুতকারী বা সরবরাহকারী, যেমন- রেস্টুরেন্ট, বেকারি, কমিউনিটি সেন্টার, ক্যাটারিং সার্ভিস ইত্যাদি, তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এমন সুগন্ধি খাদ্যে ব্যবহার না করার জন্য। উপযুক্ত লেবেলিং ছাড়া এসব সুগন্ধি পণ্য ব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপদ তৈরি হতে পারে।
সর্বসাধারণের জন্য সতর্কতা
সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে বিএফএসএ জানিয়েছে, গোলাপজল ও কেওড়া জল নামে যেসব সুগন্ধি খাদ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলোর লেবেলে যদি সঠিক তথ্য না থাকে, তবে তা ক্রয় বা ব্যবহার না করার জন্য। খাদ্যের গুণমান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সঠিক লেবেলিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া, সব খাদ্য ব্যবসায়ী, প্রস্তুতকারী এবং সাধারণ জনগণকে এ ধরনের সুগন্ধি পণ্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবার সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।
এমএসএম / এমএসএম
গত ১০ মাসে ঢাকায় ১৯৮ খুন : ডিএমপি
শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকদের পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি
৬৭৮ কোটি মানিলন্ডারিং, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম : ভেতরে-বাইরে মিশ্র আলোচনা
কিডনি ডায়ালাইসিসের রাসায়নিকে তৈরি হচ্ছে ‘গোলাপজল’ ও ‘কেওড়া জল’
৬৭৮ কোটি মানিলন্ডারিং, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
শেখ হাসিনার রায় ঐতিহাসিক : অন্তর্বর্তী সরকার
রায়কে ঘিরে আতঙ্ক দেখতে পাচ্ছি না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২১ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাসে যান চলাচল সীমিত থাকবে
চ্যালেঞ্জ থাকলেও অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে প্রস্তুত ইসি : সিইসি
ধানমন্ডি ৩২-এ উত্তেজনা: লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতি সংক্রান্ত সাক্ষাৎ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন