ঢাকা বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

সাংবাদিক সোহেলের সঙ্গে ব্যক্তিগত বা পেশাগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯-১১-২০২৫ দুপুর ১:৫৪

দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে ডিবি পুলিশ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, তার সঙ্গে নিজের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ সহকারী এ দাবি করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দিনগত রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় বলে খবর পাওয়া যায়। এর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে একটি ভিত্তিহীন প্রচারণা চালানো হয়েছে; যা সকালে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেখানে এনইআইআর বাস্তবায়নের সঙ্গে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে সত্যের অপলাপ করা হয়েছে।

বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের বরাতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‌‌রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থেই আমরা এনইআইআর বাস্তবায়ন করছি। অবৈধ হ্যান্ডসেটের লাগাম টানতে সংক্ষুব্ধ পক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি বৈঠকও করেছে। এতকিছুর পরও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমার ওপর দায় চাপিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তাদের উদ্দেশেই আমার বক্তব্য- এটা অনভিপ্রেত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করে। এখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকার অবকাশই নেই। অথচ একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই সাংবাদিককে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, সাংবাদিক মিজানুর রহামানের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বা পেশাগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তারপরও এমন ‘প্রোপাগান্ডা’ মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতাকেই ভুলুণ্ঠিত করছে। আমরা মনে করি, এ ধরনের অসত্য তথ্য প্রচার জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তাই আশা করি, এরপর আর কেউ এ ধরনের লেখায় বিভ্রান্ত হবেন না।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বাড্ডার বাসা থেকে সাংবাদিক সোহেলকে ডিবির (গোয়েন্দা পুলিশ) পোশাক গায়ে দেওয়া পাঁচ ব্যক্তি নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী সুমাইয়া সীমা।

সোহেলের স্ত্রীর ভাষ্য, ওই পাঁচজনের একজন নিজেকে আশরাফুল পরিচয় দিয়ে বলেন, সোহেলের সঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান কথা বলতে চান। এজন্য তাকে নিতে এসেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার তাকে ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে।

এদিকে, বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিজানুর রহমান সোহেলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলকে তাদের পেশাগত সংগঠনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এমএসএম / এমএসএম

সাংবাদিক সোহেলের সঙ্গে ব্যক্তিগত বা পেশাগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই

নির্বাচন সফল করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাই বড়: সিইসি

দেশে ফিরেছেন আলী রীয়াজ

বিজয় দিবসে অস্থিরতার আশঙ্কা নেই, এবারও প্যারেড হচ্ছে না

শেখ হাসিনার রায় ঘিরে দেশে কোনো অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইসি ওয়াদাবদ্ধ : সিইসি

গত ১০ মাসে ঢাকায় ১৯৮ খুন : ডিএমপি

শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকদের পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতি

৬৭৮ কোটি মানিলন্ডারিং, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম : ভেতরে-বাইরে মিশ্র আলোচনা

কিডনি ডায়ালাইসিসের রাসায়নিকে তৈরি হচ্ছে ‘গোলাপজল’ ও ‘কেওড়া জল’

৬৭৮ কোটি মানিলন্ডারিং, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

শেখ হাসিনার রায় ঐতিহাসিক : অন্তর্বর্তী সরকার