ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপ, এপ্রিলেই বেইজিং যাচ্ছেন ট্রাম্প


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫-১১-২০২৫ দুপুর ১০:৪৬

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই আগামী বছরের এপ্রিল মাসে বেইজিং সফরে যেতে সম্মত হয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে তিনি শি জিনপিংকেও আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ফোনালাপে বাণিজ্য থেকে শুরু করে ইউক্রেন যুদ্ধ ও তাইওয়ানসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ট্রাম্প ও শি জিনপিং প্রায় এক মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠক করেছিলেন। সর্বশেষ এই ফোনালাপে তারা বাণিজ্য, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ, ফেন্টানিল এবং তাইওয়ানসহ নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ট্রাম্প তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়!”
অন্যদিকে চীনের সরকারি বার্তাসংস্থা জানায়, দুই দেশই সমতা, সম্মান ও পারস্পরিক লাভের ভিত্তিতে ইতিবাচক অগ্রগতির গতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে।
এর আগে গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে দুই নেতার বৈঠকে শুল্ক নিয়ে এক ধরনের ‘যুদ্ধবিরতি’ হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র তখন ফেন্টানিলের প্রবাহ কমাতে আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্ক অর্ধেকে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও চীনা পণ্যে শুল্ক এখনো আছে এবং তা গড়ে প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি।
চীনের বিবৃতিতে বলা হয়, “সেই বৈঠকের পর থেকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক মোটের ওপর স্থিতিশীল ও ইতিবাচক পথে এগোচ্ছে এবং এটি দুই দেশসহ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত।”
এ সময় যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি প্রত্যাহার করে, আর চীন নতুন বিরল ধাতু রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা পিছিয়ে দেয়।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, সোমবারের ফোনালাপ প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল এবং সেখানে মূলত বাণিজ্যকেন্দ্রিক আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, “চীনের পক্ষ থেকে আমরা যা দেখছি, তাতে আমরা সন্তুষ্ট এবং তারাও একই বিষয় অনুভব করছে।”
বাণিজ্যের পাশাপাশি ট্রাম্প ও শি জিনপিং রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ এবং তাইওয়ান ইস্যুও আলোচনা করেন। প্রেসিডেন্ট জিনপিং ট্রাম্পকে বলেন, তাইওয়ানের “চীনে প্রত্যাবর্তন” যুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় চীনের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনায় রয়েছে চীন। এছাড়া জাপান যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এই মাসের শুরুতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি বলেন, তাইওয়ানে চীনের কোনো হামলা হলে জাপান সামরিক প্রতিক্রিয়ায় যেতে বাধ্য হতে পারে।
তবে ফোনালাপ নিয়ে ট্রাম্প তার পোস্টে তাইওয়ানের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি।

 

Aminur / Aminur

নিরাপত্তা শঙ্কায় ফের ভারত সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ১ লাখ মানুষ, বলছে জার্মান গবেষণা

জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপ, এপ্রিলেই বেইজিং যাচ্ছেন ট্রাম্প

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চায় বাংলাদেশ, বড় বাধা ভারত

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চায় বাংলাদেশ, বড় বাধা ভারত

ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনায় বড় অগ্রগতি, শিগগির সমাধানের আশা যুক্তরাষ্ট্রের

পশ্চিমবঙ্গে ‘বাবরি মসজিদ’ তৈরির ঘোষণা, ক্ষুব্ধ বিজেপি

এবার মিয়ানমার উপকূলে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প

টাইটানিকের যাত্রীর মরদেহে থাকা স্বর্ণের ঘড়ি নিলামে সাড়ে ২৮ কোটিতে বিক্রি

৩০ বছর পর ইংল্যান্ডে প্রথমবারের মতো রেলভাড়া না বাড়ানোর ঘোষণা

পাকিস্তানে গ্লুয়ের ফ্যাক্টরিতে বিস্ফোরণে ১৬ জন নিহত

তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য: বন্ধ শত শত স্কুল, ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়

ভিয়েতনামে টানা বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা, নিহত কমপক্ষে ৪১