শিশুকে সুস্থ রাখতে জন্মের পর প্রথম ৬ মাস অবশ্যই বুকের দুধ দিতে হবে

জন্ম গ্রহনের পরে পরিপূর্ণ সুস্থ সবল শিশুর জন্য মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই। জন্মের সাথে সাথে মায়ের শাল দুধই শিশুর প্রথম টিকা ও খাবার। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সংক্রামক থেকে শিশুকে দ্রুত রক্ষা করে। শিশুকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে হলে জন্মের প্রথম ৬ মাস অবশ্যই বুকের দুধ দিতে হবে। আর কিছুই দেয়া যাবে না। এর পর দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি ঘরে তৈরি শিশুর উপযোগী তরল সুষম ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। তাহলে শারীরিক-মানসিক বিকাশ সাধনসহ শিশুটি বুদ্ধিমান হবে। কিন্তু মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে যে সব গুঁড়াদুধ বাজারে বিক্রি হয় সেগুলো শিশু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বুকের দুধের পরির্বতে এগুলো খাওয়ালে শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে ও বিভিন্ন জঠিল রোগে আক্রান্ত হয়। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত মাতৃদৃগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও উহা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ ও বিধি ২০১৭ এবং পুষ্টিখাতের অর্জন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় কর্মশালার আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর খুব দ্রুত শাল দুধ খাওয়ালে মায়ের রক্তক্ষরণ কম হয় ও গর্ভফুল পড়তে সাহায্য করে। ফলে মা রক্তস্বল্পতা থেকে রক্ষা পায়। দেশী-বিদেশী কিছু অসাধু কোম্পানী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে শিশুদের জন্য মায়ের দুধের পরির্বতে গুঁড়াদুধের প্রচার প্রচারণা চালায়। তারা এক শ্রেণির ডাক্তারদের চুিক্ততে শিশুদের জন্য মায়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবস্থাপত্রে গুঁড়াদুধ লেখানোর জন্য বাধ্য করে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাসপাতাল ও কিনিক্লগুলোতে গুঁড়াদুধের প্রচারণা বন্ধে ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। মা ও শিশুকে সুস্থ রাখতে হলে গুঁড়াদুধ বর্জন করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, সন্তান প্রসবের পর কোন মা মারা গেলে শুধুমাত্র ঐ শিশুর জন্য বুকের দুধের পরিবর্তে রেজিষ্ট্রার্ড শিশু চিকিৎসকেরা তাদের ব্যবস্থাপত্রে কারণ উল্লেখ করে বিকল্প হিসেবে ভালোমানের গুঁড়াদুধ দিতে পারবে। মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে কোন কোম্পানী তাদের উৎপাদিত গুঁড়াদুধের প্রচার-প্রচারণা চালালে তাদেরকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে। মাতৃদুগ্ধের বিকল্প গুঁড়াদুধের বিরুদ্ধে প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। তাদেরকে হাসপাতাল ও ডাক্তারের চেম্বার বা ক্লিনিক থেকে বয়কট করতে হবে। কর্মশালায় উপস্থিত বিশেষ অতিথিরাএই আইনটি বাস্তবায়নে সর্বত্র প্রচার-প্রচারনা ও সচেতনতামুলক অনুষ্টানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহাখালীস্থ জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমের জাতীয় পুষ্টিখাতের অর্জন বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের পরিচালক ডা. তাহেরুল ইসলাম ও মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন ২০১৩ ও বিধি ২০১৭ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শোয়াইব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল-মাসুম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজান হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হায়দার হেনরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উ-পরিচালক মোঃ সেলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মাহমুদা আক্তার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আহমেদ তানজিমুল ইসলাম, ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. নাবীল চৌধুরী, বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. জিল্লুর রহমান, সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. আবদুল মজিদ ওসমানী, লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ, চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. শাহীন হোসাইন চৌধুরী, হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা এএসএম ইমতিয়াজ হোসাইন, সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোঃ নুর উদ্দিন, বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোঃ শাফিউর রহমান মজুমদার, রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা মোঃ নুর আলম দ্বীন, আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা আবু জাহিদ মোঃ শরফুদ্দিন, মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা শব্যসাচী নাথ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এফ এম জাহিদ, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, এডভোকেট সেলিম চৌধুরী, ডা. রুমি দাশ, ডা. রুমানা রশিদ, ডা. ফারিয়া সিলভী, ডা. নারগীস আক্তার সিদ্দিকী, ডা. ফাহিমা আফরিন প্রমুখ।
কর্মশালায় বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সগণ অংশ নেন। -বিজ্ঞপ্তি
জামান / জামান

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু

চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১০০ ছুঁইছুঁই

সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি, নতুন ব্যাখ্যায় নিহত ৩৪

বিএসএমএমইউয়ে নতুন নামের ব্যানার, বাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

মেডিকেলে থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭ রোগী

ডেঙ্গুতে ঢাকায় কর্মক্ষম মানুষের মৃত্যু বেশি

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৮

বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষায় অশনি সংকেত অটোমেশন; ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

ইডেন মাল্টি কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ

ক্যানসার রহস্যের জট খোলার নতুন ‘সূত্রের’ সন্ধান মিলেছে

বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির ইসি গঠনে সাত সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি
