পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভায় আরও সাংসদ হারাচ্ছে বিজেপি!
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সদ্যই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ ও সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সেই সঙ্গে বিধানসভায় ক্রমেই সাংসদ সংখ্যা কমছে বিজেপির। বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসনে জেতা বিজেপি ইতোমধ্যেই নেমে দাঁড়িয়েছে ৭১-এ। এখন আশঙ্কা অদূর ভবিষ্যতে না ছয়ের ঘরে চলে যায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, বিজেপি এখনো না ছাড়লেও শুক্রবার রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী দলবদলের কথা জানিয়েছেন। যদি ষাটের ঘরে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা চলে আসে তাহলে রাজ্যসভায় ভোট নিয়ে সমস্যায় পড়বে দল। কৃষ্ণর দূরত্ব বাড়ানোর ঘোষণার দিনেই পরিষদীয় বৈঠকে গরহাজির ছয় সাংসদ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য খড়্গপুর সদরের সাংসদ অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাকে নিয়ে গেরুয়া শিবিরের চিন্তার বড় কারণ হচ্ছে তিনি এক সময়ে তৃণমূলের সক্রিয় ছিলেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েই প্রার্থী হন এবং ভোটে জেতেন।
সদ্যই রাজ্য বিজেপির সভাপতি হয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার সাংসদদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বটেই, ছিলেন সাবেক রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সেখানে হিরণের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনার পিছনে আরও কারণ রয়েছে।
এক সময় খড়্গপুর সদরের সাংসদ থাকা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপের সঙ্গে হিরণের সম্পর্ক ইদানীং ভাল নয় বলেই বিজেপির অন্দরের খবর। তবে কি তিনি দলবদল করতে পারেন। এই প্রসঙ্গে বিধানসভায় বিজেপির মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, 'হিরণকে নিয়ে এমন জল্পনার কোনো কারণ নেই। চিকিৎসার জন্য তিনি এখন দক্ষিণ ভারতে গিয়েছেন। সেটা দল জানে। পরিষদীয় দলকেও তিনি সেটা জানিয়েছেন।'
শুক্রবারের বৈঠকে ছিলেন না আসানসোল দক্ষিণের সাংসদ অগ্নিমিত্রা পাল, ইংরেজবাজারের শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, দার্জিলিংয়ের নীরজ জিম্বা, কোচবিহার উত্তরের সুকুমার রায়, সোনামুখীর দিবাকর ঘরামি। এর মধ্যে ধরা হয়নি শুক্রবারই বিজেপি ছাড়ার কথা বলা কৃষ্ণ কল্যাণীকে৷ বাকিদের নিয়ে কি চিন্তিত বিজেপি?
মনোজ বলেন, 'এদের কাউকে নিয়েই চিন্তার কোনো কারণ নেই। শুক্রবার নতুন রাজ্য সভাপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় দলের পক্ষে। সেই ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন অগ্নিমিত্রা। বাকিরাও শারীরিক অসুস্থতার কথা আগেই জানিয়ে বৈঠকে আসেননি।'
কৃষ্ণ কল্যাণী প্রসঙ্গে অবশ্য কিছু বলেননি মনোজ। তবে আগেই শুভেন্দু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'উনি ইস্তফা দিন। রায়গঞ্জের মানুষ আবার ভোট দিক।'
রাজ্য বিজেপির হিসেব অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় দু’জন সাংসদ পাঠাতে গেলে কমপক্ষে ৬৯ জন বিধায়ক সঙ্গে থাকা দরকার। কিন্তু যেভাবে বিজেপির সাংসদরা লাইন দিয়ে শাসক তৃণমূলে যেতে (বা ফিরতে) শুরু করেছেন, তাতে সেই সংখ্যা থাকা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে পদ্মশিবিরে।
শুরু হয়েছিল মুকুল রায়কে দিয়ে। ফল ঘোষণার পর এক মাস কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। যা সত্যি প্রমাণ করে গত ১১ জুন পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে তৃণমূলে ফেরেন মুকুল। এরপরে একে একে আরও তিন সাংসদ বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস আর কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমুলে গিয়েছেন। আগেই সাংসদ পদ ধরে রাখতে সাংসদ পদ ছাড়েন জগন্নাথ সরকার ও এখন মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। আর তাতেই বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ৭৭ থেকে নেমে এখন ৭১। কৃষ্ণর পরে হিরণও বিজেপি ছাড়লে বিধানসভায় ৬৯-এ নেমে যাবে গেরুয়া শিবির।
প্রীতি / প্রীতি
১৫ বছর পর বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ফের চালু করছে জাপান
ভেনেজুয়েলার আরও এক ট্যাংকার জাহাজ জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বের দীর্ঘতম রাস্তা : ৩০ হাজার কিলোমিটার পথ, নেই কোনো ইউ-টার্ন!
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে এক দিনে ৯৪ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার
ইউক্রেনের বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৭
পর্তুগালে নাগরিকত্ব আইনের কিছু ধারা আটকে দিল আদালত
যুক্তরাষ্ট্রে বিমান দুর্ঘটনা, ক্রীড়া তারকাসহ নিহত ৭
সৌদিআরবে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৫ পালন
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন এফবিআই উপপ্রধান
মেড ইন সৌদি ২০২৫ এক্সপোতে সৌদি–বাংলাদেশ বাণিজ্যে নতুন অধ্যায়
২০২৫ সালে ৫,০০০০০ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন : রাশিয়া
ফিলিস্তিনি ও ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা