ঢাকা সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

একমাত্র তুরস্কের ওপরই ভরসা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: এরদোয়ান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪-৬-২০২১ দুপুর ১২:১০

আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর পর দেশটিতে স্থিতিশীলতা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র যে দেশটির ওপর নির্ভর করতে পারে, সেটা হচ্ছে তুরস্ক। রোববার (১৩ জুন) তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান একথা বলেন।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আরও বলেন, ব্রাসেলসে ন্যাটো সম্মেলনের অবসরে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তিনি এই ইস্যুতে আলোচনা করবেন। সোমবার (১৪ জুন) ন্যাটোর সদস্য এই দেশ দু’টির দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে পারে। অবশ্য ন্যাটো মিত্র হলেও সাম্প্রতিক সময়ে উভয় দেশের সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না।

ব্রাসেলসের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর আগে রোববার ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগিরই আফগানিস্তান থেকে বিদায় নিচ্ছে। আর সেখান থেকে মার্কিন সেনাদের চলে যাওয়ার পর থেকে একমাত্র তুরস্কই আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রও এ বিষয়ে তুরস্কের ওপরে ভরসা করতে পারে।’

বর্তমানে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটিতে থাকা সকল সেনাকে সরিয়ে নেবে বাইডেন প্রশাসন।

রোববার এরদোয়ান আরও বলেন, মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার পর সেখানে তুরস্কের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইতোমধ্যেই আলোচনা করেছেন তুর্কি কর্মকর্তারা। তুর্কি প্রেসিডেন্টের ভাষায়, (পরিকল্পনা শোনার পর) যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট ও খুশি হয়েছে। আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আরও আলোচনা করবো।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে গেলেও দেশটিতে নিজেদের সেনাদের রাখতে আগ্রহী তুরস্ক। এছাড়া আফগানিস্তানে পশ্চিমা কূটনীতিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের প্রবেশ ও প্রস্থানের প্রধান দ্বার কাবুল বিমানবন্দরকে রক্ষায় দেশটিতে সেনা রাখতেও প্রস্তুত বলেও তুরস্ক জানিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা চালায় জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা। সেই হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এরপরই আল কায়দার পৃষ্ঠপোষক তালেবান গোষ্ঠীকে দমন করতে আফগানিস্তানে হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র ও সামরিক জোট ন্যাটো।

অভিযানে দেশটির তৎকালীন তালেবান সরকারের পতন হলেও তালেবান গোষ্ঠীকে নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। পরিসংখ্যান বলছে, দীর্ঘ প্রায় দু’দশকের এই যুদ্ধে ২ হাজারেরও বেশি মার্কিন সেনা এবং এক লাখেরও বেশি আফগান নাগরিক নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম এই যুদ্ধটির পেছনে দেশটি এ পর্যন্ত ব্যয় করেছে প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন ডলার।

সূত্র: এএফপি

এমএসএম / এমএসএম

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি চুক্তির সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলি

ভারতে ছোট কাপড় পরা মডেলদের শাসাল হিন্দু শক্তি সংগঠন

উত্তাল ইউরোপের এক দেশ, নেপথ্যে নির্বাচন

হামাস সম্মতি দিলেই সঙ্গে সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর: ট্রাম্প

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি

গাজায় সামরিক অভিযান থামিয়েছে ইসরায়েল

গাজায় অভিযান বন্ধ : ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া নেতানিয়াহুর

ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি ও গাজা যুদ্ধ বন্ধে আগ্রহী হামাস

ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে বললেন ট্রাম্প

গাজা সিটিতে সবাইকে ‘সন্ত্রাসী’ বলল ইসরায়েল, নিহত আরও ৫৩

ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক পেজ হ্যাকড, ওয়েবসাইটে হামলার হুমকি

মার্কিন সরকারে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শাটডাউন

গাজায় পৌঁছানোর আগেই ফ্লোটিলার যাত্রা ‘শেষ’