ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

আম, মির্জা গালিব আর নাসিরুদ্দিন শাহর ছেলেবেলা


ডেস্ক রিপোর্ট  photo ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৪-৬-২০২১ দুপুর ২:১৯

বলিউডের গুণী অভিনেতা নাসিরুদ্দীন শাহ। উর্দু স্টুডিওর আয়োজনে মনীষ গুপ্তকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকা আম খেতে খেতে এই অভিনেতা জানান, তাঁর ছোটবেলা কেটেছে আম, উর্দু আর ফারসি ভাষার বিখ্যাত কবি মির্জা গালিবকে সঙ্গী করে।

মির্জা গালিবও নাকি আম খেতে খুবই পছন্দ করতেন। এ নিয়ে একটা গল্পও বলেন তিনি। আম নিয়ে মির্জা গালিবের গল্পটা এ রকম—একদিন মির্জা গালিব তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে বসে আম খাচ্ছিলেন আর গল্প করছিলেন। এর ভেতর এক বন্ধু আবার আম খেতে পছন্দ করেন না। সবাই আগ্রহ নিয়ে আম খাচ্ছেন আর গল্প করছেন। এসব দেখে তিনি একটু বিরক্ত। পাশেই একটা গাধা বাঁধা ছিল। তিনি ওই গাধার দিকে কয়েকটা আম ছুড়ে দিলেন। আর মীর্জা গালিবকে বললেন, ‘দেখেছো, গাধাও আম খায় না।’ শুনে মির্জা গালিব হেসে বলেছিলেন, ‘বন্ধু, একমাত্র গাধাই আম খায় না।’ শুনে ওই বন্ধু চুপ হয়ে গিয়েছিলেন।


 মির্জা গালিবের আমপ্রীতি নিয়ে নাকি দিল্লিতে এ রকম অসংখ্য গল্প চালু আছে। এমনকি ঊনবিংশ শতকের এই কবির আঁকা একাধিক ছবিতেও রয়েছে আম।
 নাসিরউদ্দিন মির্জা গালিবের আমপ্রীতি নিয়ে আরও একটি গল্প বলেন। একবার মির্জা গালিব আর মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ বা বাহাদুর শাহ জাফর দিল্লির রাস্তায় হাঁটছিলেন। হঠাৎ লালকেল্লার পাশে একটা আমবাগানের সামনে এসে দাঁড়ালেন দুজন। গাছে সুস্বাদু রসাল আম ঝুলছে। মির্জা গালিব কিছুক্ষণ আমগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলেন। 

গালিবের আমপ্রীতি নিয়েও গল্প শুনিয়েছেন তিনি

তাই দেখে কিছুদূর এগিয়ে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি এত মন দিয়ে কী দেখছিলেন?’ উত্তরে গালিব বলেছিলেন, ‘দানায় দানায় লেখা থাকে, ওই খাবার কে খাবে (দানে দানে পে লিখা হ্যায় খানেওয়ালে কা নাম)। তাই দেখছিলাম, ওই আমগুলোর গায়ে আমার বাবা/ দাদার নাম লেখা আছে কি না।’ মির্জা গালিব কী বোঝাতে চাচ্ছেন, তা বুঝলেন সম্রাট। তিনি যতকাল বেঁচে ছিলেন, আমের সময়ে মির্জা গালিবকে আম পাঠাতেন।

মামার বাড়ির গল্পও বলেছেন তিনি

নাসিরুদ্দীন শাহ বলেন, তাঁর ছোটবেলাও কেটেছে দিল্লিতে, মামাবাড়িতে। তাঁর মামার ছিল আমের বাগান। তখন তো ফ্রিজ ছিল না। ছোটবেলায় তাঁরা প্রায়ই গাছ থেকে পাকা আম পেড়ে বালতিতে কলের পানিতে চুবিয়ে রাখতেন। তারপর ছিলে ছিলে খেতেন। 

কফিল / কফিল