মিজান-বাছিরের সর্বোচ্চ শাস্তি চায় দুদক

অবৈধ সম্পদ অর্জন, তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান মিজান ও দুদক পরিচালক (বরখাস্ত) খন্দকার এনামুল বাছিরের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।
এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন করতে সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ৩ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেন।
দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা সব সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছি। রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।
এর আগে ৩ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়।
২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে নারী নির্যাতনের অভিযোগে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। ওই বছরই ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন তৎকালীন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
মামলার তদন্তকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে দুদক পরিচালক এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন। এ অভিযোগ ওঠার পর এনামুল বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শেখ মো. ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক ফানাফিল্যা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি। গত বছরের ১৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ওই বছরের ১৬ এপ্রিল আদালত দুই আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারের আদেশ দেন। এরপর গত ১৯ আগস্ট মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও বাদী দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে করা অপর এক মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ চারজনের ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে বিচার চলছে। গত ২০ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন।
জামান / জামান

শেখ হাসিনার মামলায় তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তা

সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ঢাকা মো: রফিকুল ইসলামের সাথে কোর্ট রিপোর্টাস এসোসিয়েশন ঢাকার সৌজন্য সাক্ষাৎ

আনিসুল হকের সাবেক পিএস তৌফিকা করিমের ১১৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

কুষ্টিয়ায় ৬ হত্যা : ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি ১৪ অক্টোবর

আবু সাঈদ হত্যা : ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

শেখ হাসিনার মামলায় মূল তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

শেখ হাসিনার সঙ্গে তাপস-ইনু-কামালের ফোনালাপ শুনলেন ট্রাইব্যুনাল

বিসিবি সভাপতির চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত, নির্বাচনে বাধা নেই

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

বিচারের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের ফয়সালা করতে হবে : ট্রাইব্যুনালে নাহিদ

৫ আগস্ট পদত্যাগ করেননি শেখ হাসিনা, দাবি স্টেট ডিফেন্সের
