ঢাকা শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫

যে কোনো শর্তে হাজী সেলিমের জামিনের আবেদন


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২-৫-২০২২ দুপুর ১২:৩২

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিচারিক আদালতে আজ (রোববার) আত্মসমর্পণের পর যে কোনো শর্তে জামিনের আবেদন করেছেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিম।

রোববার (২২ মে) বিচারিক আদালতের হাইকোর্টের রায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল থাকায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে এ আবেদন করেন হাজী সেলিমের আইনজীবী।

আজ দুপুর ২টার দিকে আদালতে সশরীরে উপস্থিত হবেন হাজী সেলিম। এরপর এ আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কারাগারে উন্নত চিকিৎসা ও প্রথম শ্রেণির ডিভিশন চেয়ে আরো দুইটি আবেদন করা হয়েছে।

আবেদনে হাজী সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে হার্ড সার্জারির সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ বাকশক্তিহীন অবস্থায় রয়েছেন হাজী সেলিম। তিনি দেশ ও বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলে থাকলে চিকিৎসার অভাবে ও বাকশক্তিহীনের কারণে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে যে কোনো শর্তে তার জামিন আবেদন করছি। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না। তাই আপিল শর্তে আত্মসমর্পণপূর্বক তার জামিন আবেদন করছি।

গত ২৫ এপ্রিল দুপুর ৩টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে হাইকোর্ট থেকে মামলার নথি এসে পৌঁছায়। এদিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে রায়ের নথি পাঠানো হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানিয়েছিলেন, আইন অনুযায়ী আজ থেকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আর হাইকোর্টের রায়ের ফলে তার সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা নেই।

এর আগে হাজী সেলিমকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতের দেয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট। ২০২১ সালের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ পায় রায়।

এছাড়া জরিমানার টাকা অনাদায়ে হাজী সেলিমকে আদালত আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় এবং রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়। আত্মসমর্পণ না করলে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া জব্দ করা হাজী সেলিমের সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয়।

জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এরপর ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল হাজী সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন।

এরপর হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয়া হয়। শুনানি শেষে চূড়ান্ত রায় দেয় হাইকোর্ট। সেখানে বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছরের কারাদণ্ড কমিয়ে ১০ বছর বহাল থাকে।

জামান / জামান

শেখ হাসিনার মামলায় তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তা

সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ঢাকা মো: রফিকুল ইসলামের সাথে কোর্ট রিপোর্টাস এসোসিয়েশন ঢাকার সৌজন্য সাক্ষাৎ

আনিসুল হকের সাবেক পিএস তৌফিকা করিমের ১১৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

কুষ্টিয়ায় ৬ হত্যা : ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি ১৪ অক্টোবর

আবু সাঈদ হত্যা : ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

শেখ হাসিনার মামলায় মূল তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

শেখ হাসিনার সঙ্গে তাপস-ইনু-কামালের ফোনালাপ শুনলেন ট্রাইব্যুনাল

বিসিবি সভাপ‌তির চি‌ঠির কার্যকারিতা স্থগিত, নির্বাচনে বাধা নেই

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

বিচারের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের ফয়সালা করতে হবে : ট্রাইব্যুনালে নাহিদ

৫ আগস্ট পদত্যাগ করেননি শেখ হাসিনা, দাবি স্টেট ডিফেন্সের

ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন আবু সাঈদকে বাঁচাতে আসা সেই আয়ান