ঢাকা সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রদল নেতা রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮-৬-২০২১ রাত ১২:৫৪

 সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিএনপির ক্ষমতায় আসারই ইচ্ছা নেই। ক্ষমতায় আসতে হলে ইচ্ছা, আগ্রহ থাকতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে পরিকল্পনা করতে হবে যে কী কী জায়গায় পরিবর্তন আনব। সেগুলো নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে ওহি নিয়ে। আর সে ওহি লন্ডন থেকে আসে। আমরা লক্ষ করছি, সম্প্রতি নির্বাচনে দাঁড়ানোর লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
তারেক রহমান এবং বিএনপিকে এমন মন্তব্য করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একটা ভদ্র, মার্জিত, শিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন। জিয়া পরিবার এবং আমাদের প্রিয় সাংগঠনিক অভিভাবক, আগামীর বাংলাদেশ তারেক রহমান লক্ষ লক্ষ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের আবেগের জায়গা। আপনি শিক্ষিত এবং ভদ্রলোক মানুষ হিসেবে বিএনপি আপনাকে সম্মান করে। আমাদের অভিভাবক তারেক রহমান আমাদেরকে সিনিয়র এবং ভদ্র মানুষদেরকে সম্মান করতে শিখিয়েছেন, এজন্যই ছাত্রদল এখনো পর্যন্ত মার্জিত ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে। ছাত্রদলকে সীমালঙ্ঘন করতে বাধ্য করবেন না। জিয়া পরিবার, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং লাখো তরুনের হৃদয়ের স্পন্দন তারেক রহমান কে নিয়ে কথা বলার সময়, সমালোচনা করার সময় আপনার বিবেক দিয়ে আগে ভেবে নিবেন, আপনি কি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সমালোচনা করছেন নাকি তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে সমালোচনা করে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নের দ্বায়িত্ব নিয়েছেন কিনা।
কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, আমরা ছাত্রদলের দ্বায়িত্বে আছি বলেই, আপনাদেরকে বার বার ভদ্র সমালোচনার আহবান জানাচ্ছি, কোন মিথ্যা প্রপোগান্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কোন নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে না। জিয়া পরিবার ও তারেক রহমান তাদের আবেগ, ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার জায়গা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের লক্ষ লক্ষ তরুণ শুধুমাত্র জিয়া পরিবার এবং তারেক রহমানের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। 
ছাত্রদলের এই সিনিয়র সহ-সভাপতি আরো বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিশ্বাস করে, দেশের ক্রান্তিলগ্নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীন বাংলাদেশের ধারক এবং একমাত্র তারেক রহমানই পারেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে বাংলাদেশের মানুষকে প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ দিতে। 
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের সকল এজেন্সিকে কাজে লাগিয়েও আমাদের নেতার নামে কোন দূর্নীতির প্রমাণ করতে পারেনি। তাহলে আপনি জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব তারেক রহমানের সমালোচনা করার দুঃসাহস পান কোথা থেকে? আওয়ামী লীগ আপনাকে পাগল বলে, আমরা আপনাকে পাগল বলতে চাই না; আমরা চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চাই, আপনি নিজেকে সংশোধন করুন। যদি কোন এজেন্সি আপনাকে দিয়ে এই সকল প্রোপাগান্ডা চালাতে বাধ্য করে, তাহলে আপনি তারেক রহমানের সাহায্য প্রার্থনা করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আপনার নিরাপত্তা দিবে। আর এর পরেও যদি আপনি এজেন্সি বা ব্যক্তিগত লাভের কারণে তারেক রহমানের সমালোচনা করার দুঃসাহস দেখান, তাহলে লক্ষ লক্ষ তরুনের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কোন কর্মী যদি আপনাকে লাঞ্ছিত করে, তার দায়ভার আপনাকেই নিতে হবে। আমরা আপনাকে সাবধান করে দিচ্ছি, আপনাকে সংশোধনের জন্য সময় দিচ্ছি, এর পরে কোন ভুল তথ্য  মিডিয়ার সামনে বললে, দলের হাইকমান্ড যদি নিষেধও করেন, তারপরও ছাত্রদল উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য সবসময় সজাগ থাকবে ইনশাআল্লাহ। 
তিনি বলেন, আমাদের দল আমাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের মানুষের কল্যানে রাজনীতি করার জন্য উৎসাহিত করেন। গুরুজনকে সম্মান করার শিক্ষা দেন, মুরুব্বিদেরকে সম্মান ও সাহায্য করার জন্য নির্দেশনা দেন; তাই বলে মুরুব্বির রুপ ধরে আমাদের আবেগ নিয়ে খেলবেন আর আমরা চুড়ি পরে বসে থাকবো সেটা ছাত্রদল মানবে না। জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব, আপনি শুধু তারেক রহমানের সমালোচনা করেন, আপনি নিজেকে জাতির বিবেক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেন, কই; বিএনপি ও ছাত্রদলের শত শত তরুন গুম হয়েছে, খুন হয়েছে, সেটার সমালোচনা তো করেন না। এইতো সেদিন চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক, সুদর্শন ছাত্রনেতা সাইফুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে পায়ে গুলি করে দিয়েছে। ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে জীবন বাঁচাতে তার পা কাটতে বাধ্য হয়েছেন ডাক্তাররা। কই আপনাকে তো দেখলাম না সাইফুল বা সাইফুলের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। এবার শুনুন; সাইফুলের মতো শত শত তরুনের জন্য তাৎক্ষণিক উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা, শত শত নির্যাতিত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তারেক রহমান সর্বদা সজাগ থাকেন। আমরা তাকে জানাতে যতটুকু সময় নষ্ট করি, তিনি সাথে সাথে সময় নষ্ট না করে আগে কর্মীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন। দেশের কোন সমস্যা হলে, এতদূরে থেকেও সবার আগে তারেক রহমানই সোচ্চার হন। দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলেন বলে, সরকার মিডিয়ায় তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধ করেছে। কই জাফরুল্লাহ সাহেব; সে বিষয়ে তো আপনি কথা বলেন না। একজন বিচারক, শুধুমাত্র ন্যায়ের পক্ষে রায় দেওয়ার কারণে পুরো পরিবার সহ দেশে থাকতে পারেন না, কই আপনিতো সেই বিচারকের পক্ষে কথা বলেন না। বৌ-এর মৃত্যুর পর তার জানাযায় বিচারক স্বামী আসতে পারে না, মায়ের মৃত্যুর পর জানাযায় সন্তান আসতে পারেন না, কই তখন আপনার এত জাতির বিবেক বোধের কথা কই থাকে? আগে দেশকে ভালোবাসুন, দেখবেন আপনি মন থেকেই জিয়া পরিবার ও তারেক রহমানকে ভালোবাসতে বাধ্য। জিয়া পরিবার ও তারেক রহমান মানেই বাংলাদেশ।

এমএসএম / এমএসএম

নির্বাচনে অংশ নেবেন না মাহফুজ আলম

এনসিপিতে যোগ দিলেন আসিফ মাহমুদ

ঢাকা-১৭ আসনে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র জমা

আসন সমঝোতা নিয়ে অনিশ্চয়তা, ৩০০ আসনে নির্বাচনের ইঙ্গিত ইসলামী আন্দোলনের

বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে আট দলের সঙ্গে নির্বাচন করব : নাহিদ ইসলাম

জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিলো এলডিপি ও এনসিপি

তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত

জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটে যাচ্ছে এনসিপি, এলডিপি ও এবি পার্টি

এনসিপি থেকে এবার পদত্যাগ করলেন তাজনূভা জাবীন

অফিস কার্যক্রম শুরু করলেন তারেক রহমান

ঢাকা-১৭ আসন থেকেও নির্বাচন করবেন তারেক রহমান

এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন তাসনিম জারা

ভোটার হলেন ব্যারিস্টার জাইমা রহমান