ডিসেম্বরে চালু হবে মেট্রোরেল
ঢাকার যানজটমুক্তির স্বপ্ন নিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল চলাচলের সময় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষের সাথে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে মেট্রোরেল। চলবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, ডিসেম্বর মাসে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পযর্ন্ত মেট্রোরেল চলবে। প্রতিটা ল্যান্ডিং স্টেশনে পার্কিং স্পেস করতে বলেছেন। এয়ারপোর্ট থেকে এয়ারপোর্ট রেল স্টেশন পযর্ন্ত আন্ডারপাস করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানসহ সংশ্লিষ্ট সচিব উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠছে মেট্রোরেল মেগা প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব। প্রস্তাবনা অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে দেড় বছর, ব্যয় বাড়বে ১১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। একই সঙ্গে দৈর্ঘ্য বাড়বে ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার। মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ মেট্রোরেলের ব্যয় নির্ধারিত ছিল ২১ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা।
উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার অংশের কাজ বলতে গেলে শেষ। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এ অংশে মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন করা হবে। কাজ চলছে প্রকল্পের বাকি অংশেও। তবে মতিঝিল ছাড়িয়ে মেট্রোরেলের রুট কমলাপুর পর্যন্ত নেয়ায় প্রকল্পের কাজ বেড়ে গেছে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার ধরে মেট্রোরেলের রুট দাঁড়াচ্ছে ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার। কাজ বাড়ার কারণে বেড়েছে ব্যয়ও। ডিপিপির দ্বিতীয় সংশোধন প্রস্তাবে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা।
প্রকল্প সংশোধনের কারণ : ১৩ থেকে ১৭টি নতুন করে স্টেশন প্লাজার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, মতিঝিল থেকে কমলাপুর লাইনে সিভিল ওয়ার্কস ও রোলিং স্টকস মডিফিকেশন কাজ করা হবে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে ভূমির পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি, জেনারেল পরামর্শক খাতে জন মাসের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি, পুনর্বাসন সহায়তা পরামর্শক, মেইন লাইনে সিভিল এবং স্টেশন ওয়ার্ক কাজ করা হবে।
ইনস্টিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট কন্সালটেন্সি , বৈদেশিক ঋণের সুদ, রোলিং স্টক অ্যান্ড ইক্যুইপমেন্ট, প্রাইস কন্টিনজেন্সি, সিভিল এবং বিল্ডিং ওয়ার্ক কাজ করা হবে। মেইন লাইনে সিভিল এবং স্টেশন ওয়ার্ক ইত্যাদি খাতের ব্যয় বাড়ানো এবং প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ১ বছর ৬ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে।
আগের প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুসারে, ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ের মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকাই ছিল জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার ঋণের। বাকি টাকা সরকারি তহবিলের। নতুন করে যে ব্যয় বাড়ছে, সেখানে জোগানের জন্য জাইকা থেকে ঋণ চাওয়া হবে আরও তিন হাজার ৮১ কোটি ১১ লাখ টাকা। সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে আট হাজার ৪০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। নতুন অর্থ জাইকা দিলে তাদের ঋণ দাঁড়াবে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ প্রকল্পে সরকারি তহবিলের ব্যয় দাঁড়াবে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির প্রাথমিক মেয়াদকাল ছিল ১ জুলাই ২০১২ থেকে ৩০ জুন ২০২৪। তবে কাজ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্প শেষ করতে সময় লাগবে আরও এক বছর ছয় মাস। সেক্ষেত্রে এটির মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
সময় ও ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্প প্রস্তাবনা সংশোধন প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বাড়তি অংশে ভূমি অধিগ্রহণ, নির্মাণ ও ইঅ্যান্ডএম সিস্টেম সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্টের (টিওডি) জন্য ভূমি বরাদ্দ ও নকশা তৈরি, ট্রেন পরিচালনার বিদ্যুৎ খরচ এবং এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া স্টেশনে যাত্রী ওঠানামার জন্য লিফট, এস্কেলেটর ও সিঁড়ি তৈরি, ফুটপাত নির্মাণ, পরামর্শক ব্যয় এবং আনুষঙ্গিক কার্যক্রম চলবে। এসবের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় ও ব্যয় বাড়ানো হয়।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠছে মেট্রোরেল মেগা প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব। প্রস্তাবনা অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে দেড় বছর, ব্যয় বাড়বে ১১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। একই সঙ্গে দৈর্ঘ্য বাড়বে ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার। মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ মেট্রোরেলের ব্যয় নির্ধারিত ছিল ২১ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা।
উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার অংশের কাজ বলতে গেলে শেষ। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এ অংশে মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন করা হবে। কাজ চলছে প্রকল্পের বাকি অংশেও। তবে মতিঝিল ছাড়িয়ে মেট্রোরেলের রুট কমলাপুর পর্যন্ত নেয়ায় প্রকল্পের কাজ বেড়ে গেছে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার ধরে মেট্রোরেলের রুট দাঁড়াচ্ছে ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার। কাজ বাড়ার কারণে বেড়েছে ব্যয়ও। ডিপিপির দ্বিতীয় সংশোধন প্রস্তাবে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা।
প্রকল্প সংশোধনের কারণ : ১৩ থেকে ১৭টি নতুন করে স্টেশন প্লাজার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, মতিঝিল থেকে কমলাপুর লাইনে সিভিল ওয়ার্কস ও রোলিং স্টকস মডিফিকেশন কাজ করা হবে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে ভূমির পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি, জেনারেল পরামর্শক খাতে জন মাসের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি, পুনর্বাসন সহায়তা পরামর্শক, মেইন লাইনে সিভিল এবং স্টেশন ওয়ার্ক কাজ করা হবে।
ইনস্টিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট কন্সালটেন্সি , বৈদেশিক ঋণের সুদ, রোলিং স্টক অ্যান্ড ইক্যুইপমেন্ট, প্রাইস কন্টিনজেন্সি, সিভিল এবং বিল্ডিং ওয়ার্ক কাজ করা হবে। মেইন লাইনে সিভিল এবং স্টেশন ওয়ার্ক ইত্যাদি খাতের ব্যয় বাড়ানো এবং প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ১ বছর ৬ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে।
আগের প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুসারে, ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ের মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকাই ছিল জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার ঋণের। বাকি টাকা সরকারি তহবিলের। নতুন করে যে ব্যয় বাড়ছে, সেখানে জোগানের জন্য জাইকা থেকে ঋণ চাওয়া হবে আরও তিন হাজার ৮১ কোটি ১১ লাখ টাকা। সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে আট হাজার ৪০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। নতুন অর্থ জাইকা দিলে তাদের ঋণ দাঁড়াবে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ প্রকল্পে সরকারি তহবিলের ব্যয় দাঁড়াবে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির প্রাথমিক মেয়াদকাল ছিল ১ জুলাই ২০১২ থেকে ৩০ জুন ২০২৪। তবে কাজ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্প শেষ করতে সময় লাগবে আরও এক বছর ছয় মাস। সেক্ষেত্রে এটির মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
সময় ও ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্প প্রস্তাবনা সংশোধন প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বাড়তি অংশে ভূমি অধিগ্রহণ, নির্মাণ ও ইঅ্যান্ডএম সিস্টেম সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্টের (টিওডি) জন্য ভূমি বরাদ্দ ও নকশা তৈরি, ট্রেন পরিচালনার বিদ্যুৎ খরচ এবং এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া স্টেশনে যাত্রী ওঠানামার জন্য লিফট, এস্কেলেটর ও সিঁড়ি তৈরি, ফুটপাত নির্মাণ, পরামর্শক ব্যয় এবং আনুষঙ্গিক কার্যক্রম চলবে। এসবের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় ও ব্যয় বাড়ানো হয়।
এমএসএম / জামান
পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের
লটারিতে ৬৪ জেলার এসপি পদায়ন করলো সরকার
সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সব বাহিনী প্রস্তুত : সিইসি
আগুনে ভস্মীভূত ঘর, দাঁড়িয়ে আছে শুধু সিঁড়িটি
বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় জার্মানি
মাসের পর মাসের চেষ্টায় জমেছিল দেড় লাখ টাকা, আগুনে সব শেষ
৫ ঘণ্টা পর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের কারণ শর্ট সার্কিট : প্রেস সচিব
যানজটে ৪০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, কাজ করছে ৭ ইউনিট
দুদককে চাপ প্রয়োগ করলে তালিকা প্রকাশ করা হবে : দুদক চেয়ারম্যান
পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন
ভালো নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে : সিইসি
Link Copied