ঢাকা বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫

জবি ছাত্রলীগ : নেতাদের অনুপস্থিতে কর্মীদের মহড়া, যে কোনো সময় ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা


ইউছুব ওসমান, জবি  photo ইউছুব ওসমান, জবি
প্রকাশিত: ২৮-৭-২০২২ দুপুর ১২:২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে প্রায় এক মাস হতে চলল। যদিও গত এক মাসে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে আসেননি। কিন্তু আধিপত্য ধরে রাখতে আগের মতোই ক্যাম্পাসে শোডাউন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বসছে অনুগত কর্মীদের নেতৃত্বে আড্ডা। কমিটির কার্যক্রম না থাকায় এসব শোডাউন ক্যাম্পাসে তৈরি করছে ভীতিকর পরিবেশ।
 
এদিকে, কমিটির কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় জবি ছাত্রলীগের বঞ্চিত ও অমূল্যায়িত নেতারাও ক্যাম্পাসে আসছেন। এতে তাদের সাথে স্থগিত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুগত কর্মীদের মধ্যে যে কোনো সময় ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা। 
 
মঙ্গল ও বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, ক্যাম্পাসে কাঁঠালতলা, ক্যান্টিনের সামনে, শহীদ মিনারের সামনে এবং রফিক ভবনের সামনে নিজ নিজ গ্রুপের কর্মীদের নিয়ে আলাদা আলাদা শোডাউন শেষে আড্ডা দিয়েছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা। অনেকে এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যে কোনো সময় সংঘর্ষ কিংবা বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে। 
 
অনুসন্ধানে জানা যায়, নেতা হওয়ার পরই ইব্রাহিম ফরাজি ও এসএম আক্তার হোসেনের চাল-চলনে অনেক পরিবর্তন আসে। কমিটি হোয়ার পর থেকেই তারা চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির দিকে ঝুঁকে পড়েন। প্রতিদিন প্রকৌশল দপ্তর আর ভিসি ভবনে দৌড়াদৌড়ি করে তাদের কর্মকাণ্ড শেষ করতেন। স্বার্থ হাসিল না হলে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথেও দুর্ব্যবহার করতেন।
 
এদিকে নিয়মিত প্রোগ্রামে না আসলে সকলের সামনে কর্মীদের চড়-থাপ্পর মারার অভিযোগ আছে ইব্রাহিম আক্তারের বিরুদ্ধে। কর্মীদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ না দেওয়ার হুমকি দিতেন সরাসরি। কমিটির অন্যান্য নেতাদের মূল্যায়নই করতেন না তারা। 
 
এদিকে ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে অসাংগঠনিক আচরণের কারণে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের রোষানলে বেশ কয়েকবার পড়েছিলেন স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম আক্তার হোসেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সাথেও ভালো সম্পর্ক নেই ইব্রাহিম ফরাজীর। 
 
এদিকে অভিযোগ উঠছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপে আগে যারা সক্রিয় ছিল কিন্তু এখন সক্রিয় নয় তাদেরকে ফোনে নানা ভাবে কনভেন্সড ও হুমকি দেয়া হচ্ছে। এমন একটি অডিও রেকর্ড  এই প্রতিবেদকের  হাতে এসেছে। অডিও রেকর্ড নিয়ে জানতে চাইলে ভূক্তোভোগী এক নারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী জানান, আমি আগে সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজীর সাথে ছাত্রলীগ করতাম। কিন্তু কমিটির স্থগিত হওয়ার পর আমি তাদের সাথে শোডাউনে না যাইনি। এটা নিয়ে সভাপতির কর্মী মেহেদী হাসান জনি আমাকে ফোন করে হুমকি দেন এবং নানা আপত্তিকর কথা বার্তা বলেন। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা আগে সাধারণ সম্পাকের গ্রুগ করলেও এখন নিষ্ক্রিয় আছেন। এতে তাদের কে নানা সময়ে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন সধারণ সম্পাদকের আস্থাভাজনরা। 
 
স্থগিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত সাঈদ বলেন, কোনো ব্যক্তির কর্মের দায়, কখনোও সংগঠন নিবেনা। তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার জন্য কেন্দ্র উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক আমরা সেটাই চাই।
 
স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি কামরুল হোসাইন জানান, বর্তমান কমিটির ইব্রাহীম-আকতারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো সত্য হলে তাদেরকে বাদ দেওয়া হোক। আর মিথ্যা হলে যারা অপপ্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
 
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফৌজিয়া আফরিন প্রিয়ন্তী বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানাব। কেন্দ্রের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছি, লিখিতভাবেও জানাব। এই কমিটির আন্ডারে আমরা থাকতে চাই না।
 
জবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনকে এ বিষয়ে জানার জন্য ফোন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। স্থগিত কমিটির সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি কে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 
 
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একাধিক সহ-সভাপতির সাথে কথা বলে জানা গেছে, আপাতত সেন্ট্রাল কমিটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে কিছু ভাবছে না। কমিটির কার্যক্রম স্থগিত থাকার পরও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীদের শোডাইনের ফলে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এর দ্বায়ভার ছাত্রলীগ নিবে কিনা জানতে চাইলে তারা জানান, দ্বায়ভার এড়ানোর জন্যই তো কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটলে স্থগিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাকের কর্মীরা এমন ঘটনা ঘটালে তাদেরকেই ব্যক্তিগতভাবে এর দ্বায়ভার নেয়া লাগবে।
 
কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এর দ্বায়ভার কে নিবে এমন প্রশ্নের জবাবে জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা সবদিকে সতর্ক আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই জড়িতদের আইন অনুযায়ী কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে। এছাড়া ক্যাম্পাসে মাদক ইস্যুতে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি।

এমএসএম / জামান

খাতা দেখা শেষ, ১৮ অক্টোবরের আগেই এইচএসসির ফল

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025