জবি ছাত্রলীগ : নেতাদের অনুপস্থিতে কর্মীদের মহড়া, যে কোনো সময় ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে প্রায় এক মাস হতে চলল। যদিও গত এক মাসে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে আসেননি। কিন্তু আধিপত্য ধরে রাখতে আগের মতোই ক্যাম্পাসে শোডাউন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বসছে অনুগত কর্মীদের নেতৃত্বে আড্ডা। কমিটির কার্যক্রম না থাকায় এসব শোডাউন ক্যাম্পাসে তৈরি করছে ভীতিকর পরিবেশ।
এদিকে, কমিটির কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় জবি ছাত্রলীগের বঞ্চিত ও অমূল্যায়িত নেতারাও ক্যাম্পাসে আসছেন। এতে তাদের সাথে স্থগিত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুগত কর্মীদের মধ্যে যে কোনো সময় ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা।
মঙ্গল ও বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, ক্যাম্পাসে কাঁঠালতলা, ক্যান্টিনের সামনে, শহীদ মিনারের সামনে এবং রফিক ভবনের সামনে নিজ নিজ গ্রুপের কর্মীদের নিয়ে আলাদা আলাদা শোডাউন শেষে আড্ডা দিয়েছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা। অনেকে এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যে কোনো সময় সংঘর্ষ কিংবা বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নেতা হওয়ার পরই ইব্রাহিম ফরাজি ও এসএম আক্তার হোসেনের চাল-চলনে অনেক পরিবর্তন আসে। কমিটি হোয়ার পর থেকেই তারা চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির দিকে ঝুঁকে পড়েন। প্রতিদিন প্রকৌশল দপ্তর আর ভিসি ভবনে দৌড়াদৌড়ি করে তাদের কর্মকাণ্ড শেষ করতেন। স্বার্থ হাসিল না হলে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথেও দুর্ব্যবহার করতেন।
এদিকে নিয়মিত প্রোগ্রামে না আসলে সকলের সামনে কর্মীদের চড়-থাপ্পর মারার অভিযোগ আছে ইব্রাহিম আক্তারের বিরুদ্ধে। কর্মীদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ না দেওয়ার হুমকি দিতেন সরাসরি। কমিটির অন্যান্য নেতাদের মূল্যায়নই করতেন না তারা।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে অসাংগঠনিক আচরণের কারণে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের রোষানলে বেশ কয়েকবার পড়েছিলেন স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম আক্তার হোসেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সাথেও ভালো সম্পর্ক নেই ইব্রাহিম ফরাজীর।
এদিকে অভিযোগ উঠছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপে আগে যারা সক্রিয় ছিল কিন্তু এখন সক্রিয় নয় তাদেরকে ফোনে নানা ভাবে কনভেন্সড ও হুমকি দেয়া হচ্ছে। এমন একটি অডিও রেকর্ড এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। অডিও রেকর্ড নিয়ে জানতে চাইলে ভূক্তোভোগী এক নারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী জানান, আমি আগে সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজীর সাথে ছাত্রলীগ করতাম। কিন্তু কমিটির স্থগিত হওয়ার পর আমি তাদের সাথে শোডাউনে না যাইনি। এটা নিয়ে সভাপতির কর্মী মেহেদী হাসান জনি আমাকে ফোন করে হুমকি দেন এবং নানা আপত্তিকর কথা বার্তা বলেন। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা আগে সাধারণ সম্পাকের গ্রুগ করলেও এখন নিষ্ক্রিয় আছেন। এতে তাদের কে নানা সময়ে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন সধারণ সম্পাদকের আস্থাভাজনরা।
স্থগিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত সাঈদ বলেন, কোনো ব্যক্তির কর্মের দায়, কখনোও সংগঠন নিবেনা। তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার জন্য কেন্দ্র উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক আমরা সেটাই চাই।
স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি কামরুল হোসাইন জানান, বর্তমান কমিটির ইব্রাহীম-আকতারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো সত্য হলে তাদেরকে বাদ দেওয়া হোক। আর মিথ্যা হলে যারা অপপ্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফৌজিয়া আফরিন প্রিয়ন্তী বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানাব। কেন্দ্রের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছি, লিখিতভাবেও জানাব। এই কমিটির আন্ডারে আমরা থাকতে চাই না।
জবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনকে এ বিষয়ে জানার জন্য ফোন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। স্থগিত কমিটির সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি কে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একাধিক সহ-সভাপতির সাথে কথা বলে জানা গেছে, আপাতত সেন্ট্রাল কমিটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে কিছু ভাবছে না। কমিটির কার্যক্রম স্থগিত থাকার পরও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীদের শোডাইনের ফলে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এর দ্বায়ভার ছাত্রলীগ নিবে কিনা জানতে চাইলে তারা জানান, দ্বায়ভার এড়ানোর জন্যই তো কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটলে স্থগিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাকের কর্মীরা এমন ঘটনা ঘটালে তাদেরকেই ব্যক্তিগতভাবে এর দ্বায়ভার নেয়া লাগবে।
কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এর দ্বায়ভার কে নিবে এমন প্রশ্নের জবাবে জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা সবদিকে সতর্ক আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই জড়িতদের আইন অনুযায়ী কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে। এছাড়া ক্যাম্পাসে মাদক ইস্যুতে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি।
এমএসএম / জামান

ডাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মাহিন, সমর্থন দিলেন বাকেরকে

ইবিতে ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে নেতৃত্ব উন্নায়ন কর্মশালা

ধ*র্ষ*ন হুমকির প্রতিবাদে গোবিপ্রবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ঢাবি ছাত্রীকে গণধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

সেই আলী হুসেনকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার

নীলফামারিতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

গোবিপ্রবি উপাচার্যের কাছে ছাত্রদলের চার দফা দাবী

এবার রেলপথ অবরোধ করলেন বাকৃবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

চবি ও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

এলজিইউডি'কে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিতে জাককানইবি'তে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথ বাহিনী মোতায়েন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি

ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে স্থানীয় ও চবি শিক্ষার্থীরা, প্রক্টরসহ আহত অনেকে
Link Copied