দুই কর্মচারীকে কুবির সাবেক রেজিস্ট্রারের হুমকি, লিখিত অভিযোগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মচারীকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে 'শিক্ষক কর্তৃক হুমকি ও নিরাপত্তাসহ বিচার প্রার্থনা' করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি'র অফিস সহায়ক মো. জসিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদ বরাবর আবেদন করেন। সোমবার (৮ আগস্ট) এ আবেদন করা হয়।
আবেদনপত্র থেকে জানা যায়, গতকাল রোববার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের স্যার আমাকে (মো. জসিম উদ্দিন) আমার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কর্মচারীদের আন্দোলন বিরোধী গুটিকয়েক কর্মচারীদের পক্ষ নিয়ে আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন। আমার জানামতে উক্ত স্যারের সাথে আমি কখনো কোন খারাপ আচরন করিনি। এমতাবস্থায় আমি আমার চাকুরী ও ব্যক্তিগত জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। উল্লেখ্য, এই বিষয়ে আমার কাছে কল রেকডিং আছে।
এর আগে গত রোববার তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দীপক চন্দ্র মজুমদার ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিমকে মুঠোফোনে হুমকি দেয়া হয় বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী দিপক চন্দ্র মজুমদার ও মো. জসিম বলেন, ওনি কাল আমাদের ফোন দিয়ে হুমকি দিয়েছেন। উনার আচরণে আমরা দুঃখ পেয়েছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সাথে মো. জসিম উদ্দিনের ফোনালাপের রেকর্ড থেকে জানা যায়, অধ্যাপক তাহের জসিম উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন- 'চাকরিটা আমরা দিছি, এই জায়গার মধ্যে কারা সিগনেচার দিছে না দিছে এগুলোতে তোমরা ধইরা ধইরা বিচার-আচার করো, এই ক্যাম্পাসে আমি বেঁচে আছি। আমি তাহের ক্যাম্পাসে আছি এবং থাকবো। বেশি বাড়াবাড়ি করতেছো, এটার নাটের গুরু তুমি। আমি শুধু এটুকু বললাম। এগুলো আমার অনেকদিন ধরে কানে আসতেছে। আমি প্রফেসর ড. আবু তাহের এই ক্যাম্পাসে আমি আছি এটা বলে দিলাম। এটা মনে রাইখো।'
তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সাবেক রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমি কাউকে হুমকি দেই নি। তারা কর্মচারীরা নিজেদের মধ্যে গোলযোগ করছিলো, সমস্যা করছিলো। আমি শুধু বলেছি আমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক হোল্ডার, একটা পরিবার। নিজেদের মধ্যে এরকম সমস্যা করা যৌক্তিক না।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, কেউ কর্মচারী-কর্মকর্তা বা শিক্ষক কারো সাথে অশালীন আচরণ করবে এটা তো প্রত্যাশিত না। সবার সাথেই শালীনতার সাথে আচরণ করবে এটাই তো স্বাভাবিক।
এ বিষয়ে রসায়ন বিভাগের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক সৈয়দুর রহমান বলেন, বিষয়টি অনভিপ্রেত। একজন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী একজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অসৈজন্যমূলক আচরনের অভিযোগ করবে এটি আমার জন্যও লজ্জার। বিষয়টিকে অতীব গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করে এর সুরাহা করা দরকার। অন্যথায় ভবিষতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অশনিসংকেত। আবার অভিযোগকারী কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে করল কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার। আমার জানামতে কর্মচারী কর্তৃক একজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ এই প্রথম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, কেউ তো কাউকে ধমকানোর আইনত অধিকার নেই। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তো এরকম করা কোনোভাবেই উচিত না। এটা কাজের আদর্শের বহির্ভূত।
উল্লেখ্য, শিক্ষক থেকে রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের অপসারণ দাবি করে গত ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তার দফতরে তালা লাগিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জামান / জামান
স্কুলে ভর্তিতে ৬৩ শতাংশই কোটা, অভিভাবকদের আপত্তি
বাকৃবিতে গরুর মাংস উৎপাদনে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালা
জকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু কাল
ইবিতে 'মানবতা ও ইসলাম' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত
দুুুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে জবি শিবিরের ‘রান উইথ শিবির’ কর্মসূচি
ইবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক কমিটি গঠন
প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু, ৬৫ হাজার স্কুলে ক্লাস বন্ধ
ইবিতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা
জকসু নির্বাচন ছবি যুক্ত ভোটার তালিকার পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশনের
ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহ বাড়াতে বাকৃবিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সেমিনার
১৬ নভেম্বর এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ
ইবিতে সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার