ইভিএম নিয়ে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি ইসি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে পাওয়া প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি। সিদ্ধান্তগুলো নিবন্ধিত ২৮টি দল, আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ শীর্ষ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ইভিএম ব্যবহার নিয়ে দলগুলোয় আপত্তি ও সমর্থন রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে এখনও স্থির কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি ইসি।ইসির জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
ভোটে অংশগ্রহণ, ইভিএম, আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচনকালীন সরকার— এ চারটি বিষয়ে ইসির অবস্থান এখানে তুলে ধরা হয়েছে।ইসি জানায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চাইলেও কোনো দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করতে পারে না এবং সে ধরনের কোনো প্রয়াস নেবে না ইসি। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অসামরিক বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা অপ্রতুল হতে পারে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা মোতায়েনের প্রস্তাবটি যৌক্তিক মনে করে ইসি।
ইভিএম ব্যবহার নিয়ে দলগুলোয় আপত্তি ও সমর্থন রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে এখনও স্থির কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি ইসি। রাজনৈতিক দল ছাড়াও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিচার বিশ্লেষণ করে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ইসি ভিন্নভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় বলে মনে করে ইসি। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রয়োজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনকালী সরকারের সময়ে ইসির অধীনে ন্যস্ত করতে সংবিধানের আলোকে বিবেচিত হওয়া প্রয়োজন।
নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সংবিধান ও আইনে দেওয়া ক্ষমতা সততা, সাহসিকতার সঙ্গে প্রয়োগ করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে ইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল স্বাক্ষরিত ‘ইসির সঙ্গে নিবন্ধিত দলগুলের সংলাপ থেকে প্রাপ্ত মতামত ও পরামর্শ এবং কমিশনের পর্যালোচনা ও মতামত’ শীর্ষক এ সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে— মতামতগুলো কমিশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিচার বিশ্লেষণ করে দেখেছে। রাজনীতিতে গণতন্ত্রের সুস্থ চর্চা প্রয়োজন বলে নির্বাচন কমিশনও অভিন্ন প্রত্যাশা পোষণ করে। এ অভিন্ন প্রত্যাশা ও বাস্তবায়নে ইসি, সরকার, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দলসহ সবার ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এ সারসংক্ষেপের বিষয়ে ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ইসির নির্দেশনায় সংলাপে অংশ নেওয়া ২৮টি দলকে পাঠানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছেও ইসির পর্যালোচনা ও মতামত পাঠানো হয়েছে।
১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এ সংলাপে ২৮টি দল অংশ নেয়। দুটি দলকে সেপ্টেম্বরে সংলাপে অংশ নেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। ৯টি দল সংলাপে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছে।
এমএসএম / এমএসএম
পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের
লটারিতে ৬৪ জেলার এসপি পদায়ন করলো সরকার
সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সব বাহিনী প্রস্তুত : সিইসি
আগুনে ভস্মীভূত ঘর, দাঁড়িয়ে আছে শুধু সিঁড়িটি
বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় জার্মানি
মাসের পর মাসের চেষ্টায় জমেছিল দেড় লাখ টাকা, আগুনে সব শেষ
৫ ঘণ্টা পর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের কারণ শর্ট সার্কিট : প্রেস সচিব
যানজটে ৪০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, কাজ করছে ৭ ইউনিট
দুদককে চাপ প্রয়োগ করলে তালিকা প্রকাশ করা হবে : দুদক চেয়ারম্যান
পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন