মাদকমুক্ত দেশ গড়তে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে 'অত্যাবশকীয় পণ্য আইনে' সিগারেটকে তালিকাভুক্ত করে রাখাটা 'ডাবল স্ট্যান্ডার্ড' উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমি ৫০ বছর ধরে ধূমপান করেছি। গত তিন বছর তা বন্ধ করেছি।
এখন ভাবি, এই সময়ে বিষাক্ত ধোঁয়ার মাধ্যমে কত ক্ষতি করেছি। তামাকের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তা তো কেবল টাকার হিসেবে হয় না। কত জীবন থেমে যাচ্ছে। এগুলো আলোচনায় আনা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী তামাক নিয়ন্ত্রণে যে আইন করার কথা বলেছেন, আমার অবস্থান থেকে ১০০ ভাগ সততার সঙ্গে কাজ করবো। যেখানে যতটা প্রয়োজন, আমার পক্ষ থেকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যতটা সাহায্য প্রয়োজন, করবো। আমাদের শুধু তামাক নয়, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তিনি বলেন, যাকে মুক্ত করতে হবে তাকে এসেন্সিয়াল পণ্য তালিকায় রাখার তো প্রয়োজন নেই। সিগারেট পণ্য হিসেবে একদিকে গুরুত্বপূর্ণ, অপরদিকে মানুষের জন্য ক্ষতিকর। একদিকে অনেকে বলছেন অর্থনীতিতে এর গুরুত্ব রয়েছে, অন্যদিকে বলা হচ্ছে তামাকমুক্ত করার কথা। আমাদের মধ্যে দুই রকম একটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড তৈরি হয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে এসে একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এছাড়া তামাকের খারাপ দিকটি বাদ দিয়ে কোনো ভালো গুণ আছে কিনা, বা এখান থেকে কোনো ওষুধ তৈরি করা যায় কিনা সে বিষয়ে এখন ভাবা যেতে পারে।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের সহযোগিতায় ও ঢাকা আহছানিয়া মিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী দেশকে তামাকমুক্ত করতে শতভাগ সততার সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।
সচেতনতার প্রয়োজন উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, তামাক মুক্ত করতে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে পারলেই আমরা অর্ধেক লড়াই জিতে যাবো। পাশাপাশি বিকল্প কর্মক্ষেত্রও তৈরি করতে হবে। আমি যেই এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়ে এসেছি সেই এলাকায় অনেক মানুষ বিড়ি তৈরি করে। সেখানে অনেক শ্রমিক কাজ করে। এখানে অনেক মানুষের জীবিকা জড়িত। আমি অনেক চেষ্টা করছি তারা যেন এই কাজ থেকে বেরিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরে চলে আসে। তারা অনেকে এসেছেও। সুতরাং তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করতে হবে।
তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার স্বাস্থ্য, জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে উল্লেখ করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দ্রুত পরিবর্তন ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন উপস্থিত বক্তারা। এছাড়া অবিলম্বে অত্যাবশকীয় পণ্য আইন সংশোধন করে সিগারেটকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হকসহ বিশিষ্টজনেরা।
প্রীতি / প্রীতি
লটারিতে ৬৪ জেলার এসপি পদায়ন করলো সরকার
সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সব বাহিনী প্রস্তুত : সিইসি
আগুনে ভস্মীভূত ঘর, দাঁড়িয়ে আছে শুধু সিঁড়িটি
বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় জার্মানি
মাসের পর মাসের চেষ্টায় জমেছিল দেড় লাখ টাকা, আগুনে সব শেষ
৫ ঘণ্টা পর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের কারণ শর্ট সার্কিট : প্রেস সচিব
যানজটে ৪০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, কাজ করছে ৭ ইউনিট
দুদককে চাপ প্রয়োগ করলে তালিকা প্রকাশ করা হবে : দুদক চেয়ারম্যান
পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন
ভালো নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে : সিইসি