চীন প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চল নগরায়ন সৃষ্টি ও দারিদ্র্যমোচন করে চলেছে
জানা গেছে, তিন গিরিখাত নির্মাণের আগে ছোছিং থেকে ইছাংগামী ছয় শতাধিক কিলোমিটার নদীপথে পানির স্রোত অনেক বেশি ছিল, নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাও ছিল অনেক। রাতে নদীপথে যাওয়া যেতো না। একদল মানুষ মোটা দড়ি দিয়ে জাহাজ টেনে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পার করতো। তিন গিরিখাত জলাধার নির্মাণের পর নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে, স্রোত মন্থর হয়েছে। ছোছিং থেকে ইছাংগামী নদীপথ তৃতীয় শ্রেণীর নৌপথ থেকে প্রথম শ্রেণীর নৌপথে পরিণত হয়েছে। যেন-মেঠোপথ বদলে গিয়ে জলপথে পরিণত হয়েছে। নৌপথের নিরাপত্তা বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ এলাকায় নৌ-দুর্ঘটনা হয়না বললেই চলে।
ছাংচিয়াংয়ের উচ্চ অববাহিকার পানির স্রোত কমে যাওয়ায় জাহাজের পণ্য বহনের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অতীতে এ নদীতে সাধারণত ৩০০০ টনের জাহাজ চলত। এখন ৫০০০ টনের জাহাজ বেশি দেখা যায়। নৌপথের অবস্থা ভালো হওয়ায় জাহাজের কিলোমিটার প্রতি তেল খরচ আগের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ কমেছে। ২০০৩ সালে তিন গিরিখাত বাঁধ চালু হওয়ার পর দেশে জিনিস পত্রের দাম বাড়লেও, তিন গিরিখাত দিয়ে নৌপরিবহনে কোন খরচ হয়না। বরং,ব্যয় সাশ্রয় হয়। যা তিন গিরিখাত প্রকল্পের বাস্তব কল্যাণ।
তিন গিরিখাত ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎকেন্দ্র
২০০৩ সালের জুলাই মাসে তিন গিরিখাত জলসেচের বিদ্যুৎ উৎপাদন-কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এর বার্ষিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ঘণ্টায় ৮৮২০ কোটি কিলোওয়াট।
ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নজর কাড়ে। চলমান জেনারেটরে লাল বাতি জ্বলতে দেখা যায়। দূরের দেওয়ালে চীনের জাতীয় পতাকা উজ্জ্বলতা ছড়ায়। তিন গিরিখাত প্রকল্প দেখে ‘বড় দেশের ভারী প্রকল্প’ কথাটির অর্থ আরও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।
তিন গিরিখাতের দু’তীরের পাহাড়ি অঞ্চলে থুচিয়া জাতির অনেক লোক বসবাস করেন। তিন গিরিখাত প্রকল্প নির্মাণের কারণে দু’তীরের লোকজনকে স্থানান্তর করতে হয়েছে। তাদের ভালোভাবে পুনর্বাসন করার ক্ষেত্রে চীন সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে।
থিয়েন লোং শান ৪৭ বছর বয়সী থিয়েন লোং শান ছিংচিয়াং নদীর পাশে বড় হয়েছেন। এখন তিনি ছিংচিয়াং পর্যটন স্থানে কাজ করেন। তিনি জানান, জলাধার নির্মাণের জন্য সরকার নদীর দু’তীরের অধিবাসীদের সুষ্ঠুভাবে স্থানান্তর করেছে। প্রথমে অর্ধেক অধিবাসীদের পাহাড়ি অঞ্চলে স্থানান্তর করা হয়। তাদের জীবনযাপনের সুবিধার্থে স্থানীয় সরকার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে বা অন্যত্র স্থানান্তর করে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ফলের বাগান করেছেন, কেউবা গ্রামীণ হোটেল খুলেছেন, কেউ আবার স্থানীয় পর্যটন কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছেন।
দেশের পরিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে থিয়েন লোং শান বলেন, ‘আমার ছোটবেলায় বিদ্যুৎ ছিল না। বাড়িতে কেরোসিন বাতি জ্বলত। আমরা ম্যাচ ব্যবহার করতাম। এখন আমরা কম্পিউটার, ড্রোন, ক্যামেরা-সহ নানা উচ্চমানের সরঞ্জাম ব্যবহার করি। অল্প কয়েক দশকের মধ্যে আমরা প্রাচীন জমি চাষের পদ্ধতি পরিবর্তন করে আধুনিক সভ্যতার পর্যায়ে পা রেখেছি।
আমি অনেক আনন্দিত। আমি গর্বিত যে, আমার জন্মস্থান ত্যাগ করিনি। আমি স্বদেশের আকাশ-পাতাল পরিবর্তন দেখেছি। চীন সরকারের নগরায়ন প্রতিষ্ঠা, প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের দারিদ্র্যমোচন এবং বর্তমান গ্রামাঞ্চলের পুনরুত্থান নীতি আমাদের দেশের উন্নয়নে প্রকৃত সহায়তা দিয়েছ আমরা এর সুবিধাভোগী।” সূত্র:সিএমজি।
এমএসএম / এমএসএম
ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তদন্তের আহ্বান ভারতের
ধর্ষণের দায়ে ইরানে দুই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
ত্রিপুরায় নিজ অস্ত্রের ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ফায়ারে’ বিএসএফ সদস্য গুলিবিদ্ধ
যুক্তরাজ্যে গ্রেটা থুনবার্গ গ্রেপ্তার
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা
১৫ বছর পর বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ফের চালু করছে জাপান
ভেনেজুয়েলার আরও এক ট্যাংকার জাহাজ জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বের দীর্ঘতম রাস্তা : ৩০ হাজার কিলোমিটার পথ, নেই কোনো ইউ-টার্ন!
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে এক দিনে ৯৪ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার
ইউক্রেনের বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৭
পর্তুগালে নাগরিকত্ব আইনের কিছু ধারা আটকে দিল আদালত
যুক্তরাষ্ট্রে বিমান দুর্ঘটনা, ক্রীড়া তারকাসহ নিহত ৭
সৌদিআরবে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৫ পালন
Link Copied