একটি ছোট প্রতিষ্ঠান যেভাবে বড় প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠল

৩০ বছর ধরে সোনার গয়না তৈরি করেন গনেশ দেবনাথ। আগে কাজ করতেন তাঁতিবাজারে সোনার কারখানায়। গয়না তৈরির এই অভিজ্ঞতা থেকেই জুয়েলারি ব্যবসায় জড়িয়েছেন, প্রতিষ্ঠা করেছেন গৌরব জুয়েলার্স। সোনার ব্যবসায় একটি ছোট প্রতিষ্ঠান কিভাবে বড় জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে রূপ নিলো? সেই গল্প বলেছেন- গৌরব জুয়েলার্স এর স্বত্বাধিকারি- গনেশ দেবনাথ। লিখেছেন- ফয়েজ রেজা
ছোটবেলা থেকেই কারখানায় সোনার গয়না তৈরি করতেন গনেশ দেবনাথ। সারাদেশের ক্রেতাদের কাছ থেকে আসত ফরমায়েশ। ফরমায়েশ অনুযায়ী বিভিন্ন নকশার গয়না তৈরি করে দিতেন তারা। সেই সময়ের ক্রেতা বলতে ছিল সারাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরের সোনা ব্যবসায়ী। অনেক সময় নিজেরাও বাজারের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করে রাখতেন নানা নকশার গয়না। ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট পরিমাণের সোনা দিয়ে এবং গয়না তৈরির খরচ দিয়ে সেসব গয়না নিয়ে যেতেন এবং বিক্রি করতেন সারাদেশে। সেই সময়ে কারখানায় কাজ ছিল অনেক। কাজ অনুযায়ী ব্যবসায় লাভ ছিল কম। তবে ব্যবসায়ী হিসেবেও তেমন পরিচিতি ছিল না। বিশেষ করে সাধারণ মানুষ জানতেই পারতেন না, গয়নাগুলোর আসল কারিগর কে বা কারা? কাজের সঠিক মজুরি এবং ব্যবসায়ী হিসেবে সাধারণ মানুষদের কাছে পরিচিত হওয়ার ইচ্ছা থেকেই জুয়েলারি ব্যবসা শুরু করেন গৌরব জুয়েলার্স এর কর্ণধার গনেশ দেবনাথ। ব্যবসা শুরু করার অল্প দিনের মধ্যে পেয়েছেন কাঙ্খিত সেই পরিচিতি। এই পরিচিতির পেছনের কারণ- ‘ক্রেতাদের পছন্দ ও চাহিদা বুঝে গয়না তৈরি করে দেওয়া’ জানিয়েছেন- গৌরব জুয়েলার্স এর কর্ণধার গনেশ দেবনাথ।
তিনি জানিয়েছেন- গৌরব জুয়েলার্স এর প্রথম শো-রুম খোলা হয়েছিল রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে। গয়না তৈরি করার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকার কারণে অল্প সময়ের মধ্যে পেয়েছেন গ্রহণযোগ্যতা। ক্রেতাদের চাহিদা বা ফরমায়েশ অনযায়ী সোনার গয়না তৈরি করে দেয় গৌরব জুয়েলার্স। শো-রুমে তৈরি করা থাকে বহু নকশার গয়না। ক্রেতারা চাইলে যে কোনো সময় শো-রুম থেকে পছন্দ অনুযায়ী গয়না কিনতে পারেন। নিজস্ব কারখানা ও কারিগর থাকার কারণে অল্প সময়ে যে কোনো নকশার গয়না তৈরি করে দেওয়া যায়, এটাই গৌরব জুয়েলার্স এর বিশেষত্ব। অন্য জুয়েলার্স থেকে এখানেই ব্যতিক্রম।
এই সময়ের ক্রেতারা সোনার গয়না কেনার আগে বহু শো-রুম ঘুরে দেখেন। যেখানে ভালো নকশার গয়না পাওয়া যায়, সেখান থেকেই ক্রেতারা গয়না কিনেন। সোনার দামে তেমন পার্থক্য হয় না। দাম ও মান সব জায়গায় প্রায় সমান। পার্থক্য হয় নকশায়। গয়নার নকশায় যারা বেশি বৈচিত্র আনতে পারেন, তারাই ব্যবসায় ভালো করছেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে গয়না তৈরি করে রাখে গৌরব জুয়েলার্স। শো রুমে ঢুকেই যেনো ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী গয়না পায়, সেই চেষ্টা করেন। বড় বড় জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সাথে টিকে থাকতে পারার মূল রসায়ন এখানেই।
বর্তমান বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও সোনা তৈরি গয়নার ব্যবসায় ভালো করছে গৌরব জুয়েলার্স। এই বিষয়ে গনেশ দেবনাথ জানান- ‘সোনার গয়না কেনার আগ্রহ আছে মানুষের। সব সময়ের জন্য সোনার গয়না লাভজনক। সোনা কিনে কেউ কোনো দিন ঠকেনি, ঠকেও না। সে কারণে মানুষ যে কোনো ক্রান্তিলগ্নেও সোনার গয়না কেনে। বর্তমানে সোনার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষ সমন্বয় করে হয়তো পরিমাণে কম কিনছেন।’
অল্প সময়ে বেশি ক্রেতা ধরতে পারার কারণে এরই মধ্যে ঢাকায় ৪টি শো-রুম হয়েছে গৌরব জুয়েলার্স এর। পান্থপথ এর বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার নর্থ টাওয়ার ও নিউ মার্কেটে বাকি ৩ টি শো-রুম। বায়তুল মোকাররম, মিরপুরসহ ঢাকার আরও অনেক এলাকা আছে, যেখানে সোনার গয়নার ব্যবসার জন্য ভালো। ভবিষ্যতে সেসব এলাকায় নতুন শো-রুম শুরু করার ইচ্ছা আছে গৌরব জুয়েলার্সের।বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের ৪টি শো-রুমে কাজ করছেন ৪০ জন শ্রমিক। কারখানায় কাজ করছেন আরও ১০ জন কারিগর। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রতিদিন কিনছেন গৌরব জুয়েলার্স এর গয়না।
এমএসএম / এমএসএম

পূবালী ব্যাংকে শেখ হাসিনার লকার জব্দ

বরবটি-করলার সেঞ্চুরি, কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি

ব্রয়লার ১৬৫, ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম চড়া

৩০ বছর পর মাতারবাড়ী-মহেশখালীকে সাংহাই-সিঙ্গাপুরের মতো দেখতে চাই

এলপি গ্যাসের দাম কমলো ৩ টাকা

সবজির পর দাম বেড়েছে মুদি পণ্যের, চড়বে আলুর বাজারও

চট্টগ্রাম বন্দরে জট কমাতে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ১০০০ কনটেইনার বিক্রি

ডিজিটাইজেশন না হওয়ায় সময়ের কাজ সময়ে হয় না: এনবিআর চেয়াম্যান

ন্যূনতম কর একটা কালাকানুন: এনবিআর চেয়ারম্যান

শাহজালালে নারী যাত্রীর লাগেজ থেকে ১৩০ কোটি টাকার কোকেন জব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়বে ৪১ শতাংশ, বৈঠকে বসছে নৌ মন্ত্রণালয়

ইলিশের দেখা মিললেও দামে হাত পোড়ার জোগাড়
