কাস্টমসের নষ্ট পণ্য পাচারঃ আটক ১৫ ট্র্যাক, অবশেষে মামলা
আইনি জটিলতায় চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা কাস্টমসের নষ্ট পণ্য ঘোষণার পরে মাটি চাপা দেওয়া পণ্য পাচার করছে একটি চক্র। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও নিলাম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কেএম করপোরেশনের নিরবতায় পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। সম্প্রতি পাচারকালে পুলিশের হাতে ১৫ ট্রাক পণ্য আটক হয়েছে। এই নিয়ে ডাম্পিং এর জমির মালিকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমসের উপ কমিশনার ব্যারিষ্টার বদরুজ্জামান মুন্সী।
মামলার আসামীরা হলেন নষ্ট পণ্য ডাম্পিং স্টেশনের জমির মালিক ইব্রাহিমের পুত্র আব্দুল মান্নান ও নুরুল আলমের পুত্র নুরুল কবির।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কাস্টমসের উপ কমিশনার ব্যারিষ্টার বদরুজ্জামান মুন্সী জানান আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল একটি শক্তিশালী চক্র নষ্ট পণ্যগুলো তুলে বাজারে বিক্রি করে পরিবেশ নষ্ট করছে, তখন থেকে আমরা নজর রাখছিলাম। এর ফলশ্রুতিতে গত মঙ্গলবার ভোর এসব মাল ভর্তি করা ১৫ টি ট্রাক আটক করা হয়েছে, থানায় মামলা করা হয়েছে। এসব অপরাধের সাথে আরো কেউ জড়িত থাকলে মামলার পরবর্তী তদন্তে বেড়িয়ে আসলে তাদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্ট অব্যহত থাকবে। তবে চোরাকারবারি চক্রটি খুবই শক্তিশালী, মামলা না করার জন্য তারা অনেক চেষ্টা করেছিল।
এব্যপারে ডাম্পিং স্টেশনের জমির মালিক ও মামলার প্রধান আসামী মো.আব্দুল মান্নানের মোবাইলে একাধিক বার কল দিয়েও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি।
জানা যায় আইনি জটিলতায় বন্দর উয়ার্ডে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়া ৩৮২ কন্টেননার পণ্য হালিশহরের ডাম্পিং ইয়ার্ডে মাটি চাপা দেওয়া হয়। কাস্টম সুত্রে জানা যায় কন্টেইরের পণ্যগুলো দীর্ঘনি পড়ে থাকায়, পঁচে নষ্ট হয়ে যায়, আবার অনেক পণ্যে বিষক্রিয়াও দেখা যেতে পারে, তাই দুর্ঘটনার বিষয়টি মাথায় রেখেই এগুলোকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু একটি সংঘবদ্ধ চক্র এসব কিছুর তোয়াক্কা না করে সেই পণ্য উঠিয়ে বাজারে বিক্রি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। এসব নষ্ট পণ্য পাচারের সময় গত মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ভোরে আনন্দবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে নষ্ট পণ্য ভর্তি করা ১৫ টি ট্রাক আটক করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে রাতের আধারে এসব পণ্য মাটি খুঁড়ে চুরি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে ট্রাকভর্তি করা হচ্ছিল। মূলত বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুকরের হাড় মিশ্রিত মিট অ্যান্ড বোন মিল বা এমবিএম আমদানি নিষিদ্ধ করে। প্রাণীর খাবার অনুপযোগী প্রাণিজবর্জ্য ও হাড় দিয়ে তৈরি করা এমবিএম নামের পণ্যটি মাছ ও হাঁস-মুরগির খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানিকৃত এসব পণ্য সম্প্রতি মাটিচাপা দিয়ে ধ্বংস করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এক কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, কিছুদিন আগে বিপুল পরিমাণ আমদানি নিষিদ্ধ ফিশফিড আনন্দবাজার ল্যান্ডফিল্ডে ডাম্প করেছিল কাস্টমস। কিন্তু একটি চক্র রাতের আঁধারে সেখান থেকে সেগুলো আবার সংগ্রহ করে পাচার করছে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১৫টি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য চলতি বছরের সেপ্টম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ৩৮২ কনটেইনার পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টম হাউস। সেই মোতাবেক ১১ সেপ্টম্বর (রোববার) থেকে নগরের আনন্দবাজারে সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং ইয়ার্ডে এসব পণ্য ধ্বংস করে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুসফিকুর রহিমকে আহ্বায়ক করে গঠিত ‘ধ্বংস কমিটি’র সদস্য সচিব ছিলেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন।
কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে একজন সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বিভাগের মনোনীত একজন সহকারী পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, বিজিবির সহকারী পরিচালক পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি, পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রামের একজন প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একজন প্রতিনিধি।
এমএসএম / এমএসএম
৫ ঘণ্টা পর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের কারণ শর্ট সার্কিট : প্রেস সচিব
যানজটে ৪০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, কাজ করছে ৭ ইউনিট
দুদককে চাপ প্রয়োগ করলে তালিকা প্রকাশ করা হবে : দুদক চেয়ারম্যান
পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন
ভালো নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে : সিইসি
ইতিহাসের সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালে : সানাউল্লাহ
ইতিহাসের সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালে : সানাউল্লাহ
ঘরে বসে মেট্রোরেলের কার্ডে অনলাইন রিচার্জ চালু
ভালো নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে : সিইসি
প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ দিনের কর্মবিরতি শুরু, বন্ধ পাঠদান
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও ঝুলে আছে প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতি
Link Copied