ঢাকা শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

জবি শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে পিকনিকের চাঁদা উত্তোলন


ইউছুব ওসমান, জবি  photo ইউছুব ওসমান, জবি
প্রকাশিত: ১৭-১-২০২৩ বিকাল ৫:৬
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র আটকে রেখে বাধ্যতামূলকভাবে পিকনিকের চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর পিকনিক বা বার্ষিক বনভোজনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও মানবিক বিবেচনায় অনেক শিক্ষার্থীকে নেয়া হয়। পরবর্তীতে সেই টাকার জন্য তাদের চাপ দেয়া হয়। এমনকি এই টাকার জন্য সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফি দেয়ার পরও শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের জন্য বনভোজনের আয়োজন করে থাকে। সেখানে শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা ধরা হয়। সেই টাকা অনেক শিক্ষার্থীরই সাধ্যের বাইরে থাকে। মানবিক বিবেচনার কথা বলে বিভাগগুলো সেই সময় চাঁদার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ছাড় দিলেও পরীক্ষার আগে সেই টাকা আদায়ের জন্য পরীক্ষার এডমিট কার্ড আটকে রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যানসহ বেশ কয়েকটি বিভাগে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
ভর্তি ও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করলেও যেসব শিক্ষার্থী পিকনিকের চাঁদা দেয়নি তাদের এডমিট কার্ড বিভাগে আটকে রাখা হয়। অন্যদের এডমিট কার্ড দেয়া হলেও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করেও এডমিট কার্ড না থাকা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে সম্মুখীন হতে হয় বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
 
এদিকে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক বনভোজনে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে কিনা সে ব্যাপারে জানতে চাইলে মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আকরাম উজ্জামান বলেন, 'এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কোনো শিক্ষার্থী যেতে চাইলে যাবে, নইলে যাবেনা। সবার অংশগ্রহণের জন্য আমরা বলে থাকি।'
 
বনভোজনে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যেসব শিক্ষার্থী পিকনিকে গিয়েছিল এবং পিকনিক কমিটিতে যারা ছিল তাদের সাথে কথা বলো। আমি কিছু বলতে পারছিনা।' এই কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
 
পরীক্ষার ফি পরিশোধ করার পরেও বনভোজনের টাকার জন্য বিভাগগুলো এডমিট কার্ড আটকে রাখতে পারবে কিনা সে ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, 'এডমিট কার্ডের সাথে শুধুমাত্র পরীক্ষার ফি এর সম্পর্ক। কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফি পরিশোধ করলেই সে এডমিট কার্ড পাবে। কোনো জরিমানা বা বিলম্ব ফি তো সে তার সাথেই দিয়ে দেয়। এর সাথে অন্য কোনো ফি বা টাকার জন্য এডমিট কার্ড আটকে রাখার কোনো নিয়ম নেই। আমরা বিভাগগুলোকে এডমিট কার্ড দিয়ে দেই। তারা কিজন্য আটকে রাখবে সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারছিনা।'
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কিংবা নিয়ম-নীতিমালায় বনভোজনের বাধ্যতামূলক কোনো নিয়ম আছে কিনা জানতে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, 'এমন কোনো নিয়ম নেই।'

এমএসএম / এমএসএম

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি