ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জুলাইয়ে এলো ১.৮৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২-৮-২০২১ বিকাল ৭:১০

চলতি বছরের জুলাই মাসে দেশে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার (১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা টাকার হিসাবে মুদ্রায় ১৫ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। তার আগের মাস জুনের চেয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার কম এবং আগের বছরের (২০২০ সালের জুলাই) একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম। গত বছরের জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার।

এদিকে হঠাৎ প্রবাসী আয় কমে যাওয়াকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে অনেক দেশে লকডাউন চলছে। এর ফলে প্রবাসীদের আয়ও কমেছে। এসব কারণে রেমিট্যান্স পাঠানো কিছুটা কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, সদ্যসমাপ্ত জুলাই মাসে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। জুলাইয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে ৪৩ কোটি ১৮ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে তিন কোটি ২২ লাখ ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪০ কোটি ১২ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৫ কোটি মার্কিন ডলার। এরপরে রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ কোটি ৯১ লাখ ডলার। এছাড়াও রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৪৮ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার এবং জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে পাঁচ কোটি ৯২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

সদ্যসমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। যা আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। অর্থবছরের হিসাবে এ যাবতকালে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ২০২০-২১ অর্থবছরে।

এদিকে জুলাইয়ে হঠাৎ প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে বহির্বিশ্বের অনেক দেশে লকডাউন চলছে। এর ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে প্রবাসীদের আয় কমেছে। এসব কারণে রেমিট্যান্স পাঠানো কিছুটা কমেছে। তবে প্রবাসীদের কাজ ঠিক থাকলে আয়ও বেড়ে যাবে।

জুন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় চার হাজার ৬৪২ কোটি ডলার; প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুত এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে সাড়ে ১১ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি যদি ১০০ টাকা দেশে পাঠান তবে তার সঙ্গে আরও দুই টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী।

এমএসএম / জামান

বাণিজ্য ঘাটতি কমলে শুল্ক কমানোর আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

ফেব্রুয়ারির পর চলে যেতে হবে, মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাই

মেডিকেল ভর্তিতে অটোমেশন : বেসরকারি স্বাস্থ্য শিক্ষা সেক্টর ধ্বংসের ষড়যন্ত্র

মাছের দাম চড়া, ভরা মৌসুমেও ইলিশ অধরা

পূবালী ব্যাংকে শেখ হাসিনার লকার জব্দ

বরবটি-করলার সেঞ্চুরি, কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি

ব্রয়লার ১৬৫, ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম চড়া

৩০ বছর পর মাতারবাড়ী-মহেশখালীকে সাংহাই-সিঙ্গাপুরের মতো দেখতে চাই

এলপি গ্যাসের দাম কমলো ৩ টাকা

সবজির পর দাম বেড়েছে মুদি পণ্যের, চড়বে আলুর বাজারও

চট্টগ্রাম বন্দরে জট কমাতে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ১০০০ কনটেইনার বিক্রি

ডিজিটাইজেশন না হওয়ায় সময়ের কাজ সময়ে হয় না: এনবিআর চেয়াম্যান

ন্যূনতম কর একটা কালাকানুন: এনবিআর চেয়ারম্যান